যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়, যা সঠিকভাবে অনুসরণ করে আপনি সহজেই লাইসেন্স অর্জন করতে পারেন। নিচে ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো:

যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করা হয়। BSP BRTA gov bd driving license ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে ২০২৪ brta.gov.bd ড্রাইভিং লাইসেন্স online www.brta.gov.bd driving licence check ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে 2024 ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

শিক্ষানবিশ (লার্নার) ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ:

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • নির্ধারিত আবেদন ফরম: বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে তা পূরণ করতে হবে।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট: নিবন্ধিত চিকিৎসকের কাছ থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে, যেখানে দৃষ্টিশক্তি, রঙ চেনার ক্ষমতা, শ্রবণ ক্ষমতা ও শারীরিক সক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য থাকবে।
  • ন্যাশনাল আইডি, জন্ম সনদ বা পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি: আপনার পরিচয় প্রমাণের জন্য এই ডকুমেন্টগুলোর সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
  • ফি জমাদানের রশিদ: বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে ৩৪৫ টাকা ফি জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
  • ছবি: সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া:

  • উপরোক্ত কাগজপত্রসহ বিআরটিএ’র সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
  • আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর, আপনাকে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে, যা দিয়ে আপনি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ:

শিক্ষানবিশ লাইসেন্স পাওয়ার পর, আপনি বিআরটিএ বা অন্যান্য স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ২-৩ মাসব্যাপী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন। এই প্রশিক্ষণ আপনাকে সড়ক নিরাপত্তা ও যানবাহন চালনার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ:

  • প্রশিক্ষণ শেষে, আপনাকে বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে, যা তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়:
  • লিখিত পরীক্ষা: সড়ক পরিবহন আইন ও যানবাহন সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা।
  • মৌখিক পরীক্ষা: লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক প্রশ্নোত্তর।
  • ফিল্ড টেস্ট: বাস্তব পরিবেশে যানবাহন চালিয়ে দক্ষতা প্রদর্শন।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু:

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, নিম্নলিখিত কাগজপত্রসহ স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে:
  • আবেদন ফরম: নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট: পুনরায় রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের দেওয়া।
  • পরিচয় প্রমাণ: ন্যাশনাল আইডি, জন্ম সনদ বা পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি।
  • ফি জমাদানের রশিদ: নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রশিদ।
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি: সদ্য তোলা ১ কপি।

ফি সমূহ:

  • শিক্ষানবিশ লাইসেন্স: ৩৪৫ টাকা।
  • স্মার্টকার্ড অপেশাদার লাইসেন্স: ২,৩০০ টাকা।
  • স্মার্টকার্ড পেশাদার লাইসেন্স: ১,৪৩৮ টাকা।

সেবা প্রাপ্তির সময়সীমা:

সাধারণত, শিক্ষানবিশ লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৮০-৯০ দিন সময় লাগে।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ:

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হওয়ার পর, আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে। টেম্পোরারি লাইসেন্সের মাধ্যমে আপনি মূল লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।

নিরাপত্তা ও আইন মেনে চলা:

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির পর, সড়ক নিরাপত্তা বিধি ও ট্রাফিক আইন মেনে চলা আবশ্যক। এতে আপনার ও অন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

সতর্কতা:

লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া ও ফি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। সর্বশেষ ও সঠিক তথ্যের জন্য বিআরটিএ’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url