ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?



বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, এবং এর সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থ গ্রহণের জন্য নির্ভরযোগ্য ও সুবিধাজনক পেমেন্ট মাধ্যমের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।বর্তমানে, বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পেমেন্ট মাধ্যম হলো পেওনিয়ার (Payoneer)।
আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয় সাইট কোনটিবর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি *সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে?ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কোনটিবাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সাইটফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহসবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ
পেপ্যাল (PayPal) বাংলাদেশে সরাসরি সেবা প্রদান না করায়, পেওনিয়ার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রথম পছন্দ হিসেবে বিবেচিত হয়।citeturn0search1

পেওনিয়ার (Payoneer):

পেওনিয়ার একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম, যা ফ্রিল্যান্সারদের তাদের উপার্জিত অর্থ সহজে এবং দ্রুত গ্রহণ করতে সহায়তা করে।এর মাধ্যমে আপওয়ার্ক (Upwork), ফাইভার (Fiverr) সহ অন্যান্য জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করা যায়।পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করা যায়, যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক

পেওনিয়ার ব্যবহারের সুবিধাসমূহ:

  • সহজ ব্যবহার:পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট খোলা এবং ব্যবহারের প্রক্রিয়া সহজ ও সরল।
  • দ্রুত পেমেন্ট:মার্কেটপ্লেস থেকে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট আসতে সাধারণত ১-২ দিন সময় লাগে। এরপর স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগে।
  • নিরাপত্তা: পেওনিয়ার উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করে, যা ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ সুরক্ষিত রাখে।
  • ডেবিট কার্ড সুবিধা:পেওনিয়ার ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলন করা যায়, যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আরও সুবিধাজনক।

পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া:

  • পেওনিয়ার ওয়েবসাইটে যেয়ে আপনি অ্যাকাইন্ট করতে হলে  এবং "Sign Up" বাটনে ক্লিক করুন
  • ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, ইমেইল, পাসওয়ার্ড এবং যোগাযোগের ঠিকানা প্রদান করুন।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করুন।
  • ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে, আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় হবে এবং আপনি এটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন।

পেওনিয়ার ছাড়াও অন্যান্য পেমেন্ট মাধ্যম:

পেওনিয়ার ছাড়াও বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা আরও কিছু পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন, যেমন:
  • স্ক্রিল (Skrill): স্ক্রিলের মাধ্যমে সহজে পেমেন্ট গ্রহণ ও স্থানান্তর করা যায়। তবে, পেওনিয়ারের তুলনায় এর ব্যবহার কিছুটা সীমিত।
  • ওয়াইজ (Wise): ওয়াইজ দ্রুত এবং কম খরচে আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুবিধা প্রদান করে। তবে, এটি এখনও পেওনিয়ারের মতো জনপ্রিয় নয়।
  • বিকাশ (bKash):বিকাশ মূলত স্থানীয় লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিছু ফ্রিল্যান্সার রেমিট্যান্স ফিচারের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করেন, তবে আন্তর্জাতিক লেনদেনে এর ব্যবহার সীমিত।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পেওনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় পেমেন্ট মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এর সহজ ব্যবহার, দ্রুত পেমেন্ট প্রক্রিয়া এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তার মূল কারণ।তবে, ফ্রিল্যান্সারদের তাদের প্রয়োজন ও সুবিধা অনুযায়ী পেমেন্ট মাধ্যম নির্বাচন করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url