ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা | বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত ফিনান্সার ভাই ও বোনদের জন্য আজকে আমার এই পোস্টটি লিখা। আপনারা অনেকেই আমার কাছে জানতে চেয়েছেন যে ফ্রিল্যান্সিং তালিকার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনগুলো।

আজকাল বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ভিত্তিক কাজ হয়ে থাকে যা সবগুলোকেই আমরা ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে ধরতে পারি না। কেননা যেসব সেক্টরের অর্থ উপার্জন করা যায় সেইসব ওয়েবসাইট বা অনলাইন প্লাটফর্মকে আমরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। আমি এই পোস্টের শুরুতেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্রেসের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটপ্লেস তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

ফাইবারঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে প্রথমে বলতে গেলে ফাইবারের কথা বলতেই হবে। কেননা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ফাইবার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ অবধি অনেক অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে আসছে।

আপওয়ার্কঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে অফ অরকো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দিপক্ষে চুক্তি দ্বারা কোন কাজ সম্পাদন করেই থাকে আপওয়ার্ক এবং ফাইবার এর মতো মার্কেটপ্লেসগুলো।

Guru.com: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য guru.com একটু জনপ্রিয় মাধ্যম বা সাইট। আপনি অন্যান্য সাইটের মতোই ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো ডটকমে পেয়ে যাবেন।

ফ্রিল্যান্সার ডটকমঃ বর্তমান বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য financer.com অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর মতই ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা ফিন্যান্সের ডটকমে অনেক জনপ্রিয়।

পিপলপার আওয়ারঃ দিন দিন ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেস ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকাল বিশ্বে মার্কেট প্লেসে ফ্রিল্যান্সার এর কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সাইট থাকলেও পিপুল পার আওয়ার অন্যতম।

আপনি যদি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং ইমেডেবল সেক্টর এর খোঁজ করে থাকেন তাহলে প্রথমেই পেয়ে যাবেন ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরটি। কেননা বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি হয়তো জানেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারন্যাশনাল সোসিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং এর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

যা ইমেইল এবং এর সঙ্গে ডিজিটাল বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেখানে ঘরে বসেই এ প্লাটফর্ম ব্যবহার করা যায়। এবং যেকোনো ধরনের পণ্য বা প্রচারণা বা অ্যাডভার্টাইজিং এর জন্য খুব সহজেই এই সেক্টরে কাজ করা হয়। আপনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম তাঁদেরকে করলে দেখতে পাবেন যে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাবসেক্টর অর্থাৎ যত দিন ধীরে ধীরে এগোচ্ছে মানুষ ততই অনলাইনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ী যারা তাদের পণ্য বা সেবা সামগ্রীকে অনলাইনের মাধ্যমে বিস্তারিত সেবা দানের মাধ্যমে মানুষের কাছে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। অনেক রিসার্চ করে দেখা গেছে যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলোর মধ্যে যেসব কাজ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং এর মত আলাদা আলাদা কাজ সকল সেক্টরে বিদ্যমান।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যেসব ডিমান্ডেবল কাজগুলো রয়েছে শুধু ডিজিটাল মার্কেটিং নয় অন্যান্য সেক্টর ও বিদ্যমান যা অনেক ফ্রিল্যান্সার সেগুলোর সাথে যুক্ত। আমি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর তালিকা এই অংশে খুব সংক্ষিপ্তভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বর্তমানে যেসব সাইটগুলো ডিমান্ডেবল সেসব সাইটগুলোর কথা খুব সহজেই চলে আসবে যেমন ফাইবার ফ্রিল্যান্সার ডটকম gru.com। ইত্যাদি সাইট সংক্ষিপ্ত যা তা দক্ষতা থাকলে সেখানে আপনি ভালো কেরিয়ার হিসেবে করতে পারবেন।

কন্টেন্ট রাইটিংঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ ডিমান্ডেবল সেক্টর খুঁজতে গেলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং যেমন একটা পেছপ্তভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর যেসব ডিমান্ডেবল সেক্টর গুলো রয়েছে তা তুলে ধরা হলোঃঃ

ডাটা এন্ট্রিঃ আপনি যদি বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডিবান্ডেবল কাজ করতে যান বা তাদেরকে করে থাকেন তাহলে ডাটা এন্ট্রি খুব সহজে পেয়ে যাবেন। আপনার যদি ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে কোন জ্ঞান থাকে বা দক্ষতা অর্জন করে থাকেন তাহলে যেসব ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হয়েছে তা মার্কেটপ্লেস রয়েছে সেগুলোতে আপনি অনায়াসে কাজ পেয়ে যাবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডিমান্ডেবল কাজই হলো ডাটা এন্ট্রিনে ফেলে দিতে পারবেন না। কেননা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কন্টেন রাইটিং এর কাজ অনেক রয়েছে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ বর্তমানে ফ্রান্সিং ডিমান্ডেবল সেক্টরের মধ্যে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট খুবই জনপ্রিয় সাইট। কেননা এই সাইটে যাদের ফ্রিল্যান্সিং কাজে কোন রকমের অভিজ্ঞতা আছে বা কম অভিজ্ঞতা কিন্তু আগ্রহ আছে তারা ভার্চুয়াল ইজ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এই জন্য আপনাকে অবশ্যই সময় নিয়ে কাজ করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি খেয়াল করলে দেখা যাবে যে আমরা অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়া পিছনে অনেক সময় ব্যয় করে থাকে। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে এই মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করে আয়ের উৎস খুঁজে আনতে পারে।

কেননা বর্তমান সময়ে রিসার্চ করলে দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যকে ক্রেতার নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য বা ব্র্যান্ডিং করার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে বেছে নেই। আমরা খুব সহজে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কোম্পানির গুলোর পণ্যের ব্র্যান্ডিং বা প্রচারণার মাধ্যমে করতে পারি।