শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার কৌশল | শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়।
শারীরিক ফিটনেস প্রতিটি মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা অনেকেই শারীরিক ফিটনেস নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনাই করি না। অতিরিক্ত খাবারের ফলে আমাদের যে শারীর িক ফিটনেসটা ধীরে ধীরে অবনীতির দিকে যায় সে বিষয়ে আমাদের কোন চিন্তাই থাকে না। আমরা একটু ভালো-মন্দ খাবার পেলেই মন ভরে তৃপ্তি সহকারে খেয়ে ফেলি।
শারীরিক ফিটনেস আমাদের প্রত্যেকেই ধরে রাখা বাঞ্জনীয়। কেননা অতিরিক্ত খাবার-দাবারের ফলে শারীরিক ফিটনেস যদি অবনতির দিকে ধাবিত হয় অর্থাৎ মোটা হয়ে যায় তাহলে হাঁটাচলা কাজকর্ম করতে অনেকটাই অসুবিধার সম্মুখীন হয়। আজকে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে শারীরিক ফিটনেস কিভাবে ধরে রাখবেন এবং কি কি কৌশল অবলম্বন করলে শারীরিক ফিটনেস বজায় থাকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার কলাকৌশল।
আমাদের প্রত্যাহার কার্যক্রমের ফলে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি হলে দ্রুত মেদ বাড়তে থাকে এবং এর মাধ্যমে শরীরের ফিটনেস ধরে রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। আমি বেশ কিছু কৌশল গুলো আপনাদের জন্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
- আমাদের প্রত্যেকেই সকালে হালকা জোগে এবং দ্রুত গতিতে হাটার অভ্যাস করতে হবে। এর ফলে শরীরকে যে গঠন থাকে তা বজায় থাকবে এবং অতিরিক্ত চর্বি শরীর থেকে ঝরে পড়বে।
- আমরা অফিস আদালতে ব্যবহারযোগ্য লিফট ব্যবহার না করে মাঝে মাঝে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠানো করতে হবে।
- আমরা যারা নাচ গান করতে ভালবাসি তাদের ক্ষেত্রে নাচ একটি ভালো শরীরের জন্য কসরত হিসেবে কাজ করবে।
- শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার ক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমরা প্রত্যেকেই পরিষ্কার থাকার অভ্যাস গড়ে তুলবো, যেমন ঘর পরিষ্কার, কাপড় চোপড় পরিষ্কার ইত্যাদি।
- আমরা প্রত্যেকেই চা পছন্দ করি এবং কমবেশি সবাই চা খেয়ে থাকি তাই প্রত্যাহার চা খাওয়ার জন্য গ্রিন টি ব্যবহার করতে হবে।
- যারা বেশি তৈলযুক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেতে পছন্দ করেন খাবার শেষে ঠান্ডা পানীয় পান করবেন না।
- খাবার খাবার সময় ভালোভাবে চিবিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- যেসব ব্যক্তি চিনে বেশি খেতে ভালোবাসেন তাদের ক্ষেত্রে চিনি খাওয়া বর্জন করতে হবে।
- আমেজ জাতীয় মাছ নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- বিশেষ করে রাতের খাবার খাবার সময় বেশি সময় নিয়ে খাবার খাবেন না অর্থাৎ বেশি রাতে খাবার খাবেন না দ্রুত খাবার সেরে ফেলতে হবে।
- নিয়মিত অন্তত আট ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার দশটি উপায়।
শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার জন্য যেসব দশটি উপায়ে রয়েছে সেসব উপায়গুলো সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুন,
- নাকের পলিপাস এর ঘরোয়া চিকিৎসা | বিনা অপারেশনে নাকের পলিপাস চিকিৎসা ।
- হাতের একজিমার লক্ষন | হাতের একজিমা দূর করার উপায়।
- ঢোক গিলতে গেলে কানে শব্দ হয় কেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাঃ িক শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ প্রতিটি মানুষের শরীরে সর্বনিম্ন ৬ থেকে ৮ লিটার পানি প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রতিদিন সে পর্যায়ে অনেক পানি পান করা হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু একটু করে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
এছাড়াও পানি আমাদের শরীরে হজমের শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে এবং শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা বেশি কে শক্ত করে এবং শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখে। সাধারণত পানি পান করার পাশাপাশি মাঝেমাঝে ডাবের পানিও পান করতে পারেন অথবা ফলের রস এবং আখের রস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নিয়মিত রাতে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলা ঃ আমরা সাধারণত আজকাল তাই সব মানুষেই সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি এজন্য নিয়মিত রাতে ঘুমটাও ঘুমাতে পারে না। বিশেষ করে ইউটিউব ফেসবুক চ্যাটিং এসব বিষয়গুলো রাত্রেই সময় ধরে করে থাকি। এক্ষেত্রে আমাদের শরীরে জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং রাতের খাবারটি ও তাড়াতাড়ি। খেতে পারে না
এক্ষেত্রে আপনাকে অতি দ্রুত সময়ে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। রাত্রে খাবার শেষে আপনি এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে নিতে পারেন কেননা গরম দুধে ভালো ঘুম হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি ঘুমানোর জন্য বিশেষ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন যেমন ঘুমানোর সময় ঘরের লাইটটি বন্ধ করে দিয়ে অন্ধকার রাখতে পারেন। এতে দ্রুত ঘুম ভালো হবে।
সঠিক সময়ে খাবার অভ্যাস গড়ে তোলাঃ সাধারণত সারাদিন কাজকর্মে ক্লান্তি বোধ করি এ সময় ভালোভাবে খাবারটাও খেতে পারি না। এতে করে খাবারের প্রতি অনিহার জন্ম নেই এবং খাবার কম খেয়ে থাকি বা হয়তো অনেকেই ক্লান্তি ভরে খাবারও অনেক খেয়ে থাকেন। এসব অভ্যাসগুলো দ্রুত বর্জন করতে হবে।
এখানে আপনি খাবারের জন্য খাদ্য তালিকা তৈরি করে নিতে পারেন এবং সেখান থেকে যেসব খাবারগুলো শরীরের ফিটনেস এর জন্য ক্ষতিকর সেগুলো বাদ দিতে পারেন যেমন চিপস, ঠান্ডা পানি, চকলেট জাতীয় খাবার এক্ষেত্রে মনে রাখতে পারেন যেগুলো প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার সেগুলো আপনি এড়িয়ে চলতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল গ্রহণঃ আমরা সাধারণত খাবারে অনিয়মের কারণে আমাদের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এর ফলে শরীরে জমে অতিরিক্ত মেদ, এ ক্ষেত্রে আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত ওজন ও বেদ তৈরি হয় তাহলে সেটি কমানোর চেষ্টা করুন।
আপনি ওজন কমানোর জন্য একাধিক উপায় থাকলে তা গ্রহণ করতে পারেন এবং এজন্য যেটি সঠিক উপায় সেটিকে বেছে নিতে পারবেন। প্রয়োজনে একজন ভালো ডাইটেসিয়ান নিয়মিত যোগাযোগ করার অভ্যাস করতে পারেন।
শারীরিক ফিটনেস ব্যায়ামঃ আপনি শারীরিক ফিটনেস রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। যেসব মানুষ সারাদিন কাজকর্ম ব্যস্ত থাকার কারণে নিজের শরীরের প্রতি সময় দিতে পারে না সেসব ব্যক্তির ক্ষেত্রে শরীরে বাধে নানার ব্যাধি। এক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন।
প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে আপনার দৃষ্টি শক্তি ও বাড়তে থাকবে এবং শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে ডান করার জন্য বেচে নিতে পারেন একটি নির্দিষ্ট জায়গা যেখানে আপনি আপনার শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন।
শারীরিক ফিটনেসে মেডিটেশনঃ আমরা সাধারণত মেডিটেশন অর্থ বলতে বুঝি যে ধ্যান করা। আপনি প্রতিদিন চাইলে মেডিটেশন অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ীভাবে ধ্যানের মাধ্যমে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখতে পারেন। মেডিটেশন এর মাধ্যমে আপনার মানসিক চাপ কমে আসবে এবং যে কোন কাজের ক্ষেত্রে এনার্জি ফেল করতে পারবেন।
অ্যালকোহল খাবার বর্জনঃ শারীরিক ফিটনেস রাখার এটি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ জীবন অ্যালকোহল জাতীয় খাবার পরিহার করা। অ্যালকোহল গ্রহণের জন্য শরীরের টকসিন এর পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর ফলে মানুষের হৃদপিন্ডে ও ফুসফুসে চলাচল গতি কমিয়ে ফেলে। এছাড়া যারা অ্যালকোহল নিয়মিত গ্রহণ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল গ্রহণের জন্য ধীরে ধীরে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়ে থাকে।
বাইরের খাবার বর্জনঃ শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার জন্য এটি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কেননা আমরা প্রায় সবাই বাসা বা বাড়ির খাবার না খেয়ে বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করি। এক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে বাইরে যে কোন জায়গায় থেকে খাবার খেলে শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সে ক্ষেত্রে আপনার একটু কষ্ট হলেও বাড়িতে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
জাতীয় খাবার বর্জনঃ আজকাল প্রায় প্রতিটি মানুষ তামাক এর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। ধূমপান প্রতিটি মানুষের জন্য একটি ক্ষতিকর এবং প্রতিদিন এটি গ্রহণ করলে ক্ষতি সম্মুখীন হয়ে থাকে। ধূমপানের মাধ্যমে আপনি শুধু নিজের ক্ষতি করছেন না এতে আপনার পরিবার-পরিজন ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আবদ্ধ জায়গা থেকে বাইরে ঘোরার অভ্যাসঃ আমরা প্রায় সবাই কাজকর্মের জন্য একই ঘরে আবদ্ধ থাকি বা একই কর্ম স্থানে আবদ্ধ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আমাদের শরীরে অনেকটাই ক্ষতির প্রভাব পড়ে থাকে। এতে করে আপনি চাইলে প্রতিদিন একঘেয়েমি দূর করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার জীবন ধরা পরিবর্তন করার জন্য মাঝে মাঝে বাইরে ঘোড়ার অভ্যাস করুন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url