হাতের তালুতে ঘামাচি | হাতে ঘা হলে করণীয় ।

আসসালামুয়ালাইকুম, সম্মানিত মা ও বোনেরা আপনারা যারা দীর্ঘদিন যাবত হাতের তালুতে ঘামাচি এই সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য আমার এই পোস্টটি লেখা। বিশেষ করে আবহাওয়া জনিত কারণে যেমন গরম এর সময় হাতের তালুতে কিংবা পায়ের বিভিন্ন অংশে গুটি গুটি ঘামাচি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাদের করণীয় কি বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

দের তালুতে বা পায়ে অথবা শরীরের বিভিন্ন অংশে গুটি গুটি ঘামাচি হলে অনেকেই বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকেন এবং পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এমত অবস্থায় কোন সুফল পাচ্ছেন না এখন কি করবেন। আশা করছি আমার এই পোস্টটি সম্পন্ন করলে আপনি একটি সুন্দর সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।

হাত এবং পায়ে বিশেষ করে গরমের সময় এই সমস্যাটি ফুটে উঠে। এটি একটি অস্বস্তিকর অসুখ। বিশেষ করে গরমের সময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গুটি আকারে এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুটে ওঠে। হাতের তালুতে ঘামাচির প্রসঙ্গে বিভিন্ন চিকিৎসক বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করে থাকে, গরমের সময় অনেকে ই হাত এবং পায়ের তালু লালচে আঁকা ধারণ করে এবং গুটি গুটি ফুসকুড়ি দেখা দেয় যা ঘামাচির নাই পরিণত হয়।

শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘামাচি একটি চর্ম জনিত রোগ। গরমের সময় ঘামাচি হলে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে চুলকায় এবং জ্বালা অনুভূত হয়ে থাকে। এই রোগটি বড়দের চেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব বিস্তার লাভ করে। ত্বকের নিচের গ্রন্থি যেগুলো রয়েছে সেখানে স্টেপ এপি ডারমাইডিস নাম প্রকার জীবাণু জন্ম নেই। তাছাড়া মানুষের গরমের সময় শরীর বেশি ঘাম হয়ে থাকে।

আবর্জনা ধুলোবালি এবং কোন কারণে যখন গ্রন্থগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ঘাম বাইরে নিঃসৃত হতে পারে না। তখন সেখানে ব্যাকটেরিয়া নামক জীবাণু বিস্তার করে এরপর আস্তে আস্তে লাল আকার ধারণ করে গোটা ফুসকুড়ি মতো হয়ে খামাচির রূপ নেই।

হাতের তালুতে ফুসকুড়ি সাধারণত একটি চুলকানি জাতীয় উপসর্গ যা বিভিন্ন সময় হয়ে থাকে এবং এটি জ্বালাপোড়ায় ব্যথা জনিত হয়। এ ক্ষেত্রে বলা যায় যে ফুসকুড়িয়া যদিও গুরুতর অবস্থা লক্ষণ নয় তবে এটি মাত্র সংক্রমণ এর লক্ষণ যা বিভিন্ন সংস্পর্শে আসতে পারে। যদি আপনার তালুতে বা আপনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি হয় অথবা দিনের বেলায় হাতে অথবা মানুষের সংস্পর্শে এবং বিভিন্ন বিরক্তি কর সংস্পর্শে আছে তখনই এই প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

হাতের তালুতে ফুসকুড়ি বিশেষ করে এলার্জির পাদুর্ভাব ঘটে থাকে এটি একটি গুরুত্ব এনা ফিলাপটিক নামক রোগ। এক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে এর চেয়েও যদি আপনার হাত অথবা অন্যান্য স্থানে ঘামাচির মত ফুসকুড়ি দেখা দেয় তাহলে নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে তা দূর করতে হবে। এছাড়াও আরো পরামর্শ থাকে যে ভালো একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করা।

অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের হাতে ছোট ছোট গুটির আকার ধারণ করে তাছাড়া কারো কারো হাতে ছোট ছোট গুটি বা ের ফুসকুড়ির মত দানা দেখা দেয়। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক যা চুলকানোর সময় অস্বস্তিকার ভাব মনে হয়। হাতের ছোট ছোট গুটি চুলকানোর সময় ফেটে গেলে পানির মতো সাদা পদার্থ বেরিয়ে আসে এক্ষেত্রে হাতে চুলকানোর সময় গুটিগুলো ফেটে যাওয়ার ফলে ঘা এর উপসর্গ হয়।

এখানে বলা হয় যে এই রোগের ক্ষেত্রে অনেক রোগী বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এরা চিকিৎসা গ্রহণ না করে বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনে ব্যবহার করে থাকেন। বা অন্যান্য কবিরাজি গাছগাছড়া ও অন্যান্য অসুর দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। এক্ষেত্রে কোন ফলাফল পাওয়া যায় না পরে হয়তো রোগটি ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং একটি পর্যায়ে গিয়ে বড় আকার ধারণ করে থাকে।

হাতের আঙ্গুলের চিপায় ঘা হলে আপনার করণীয় গুলো কি কি তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ও অনেকগুলো ঘরই ও ঘরোয়া পদ্ধতিতেও এর প্রতিকার করা যায় বা সাময়িকভাবে এ রোগটিকে দমন করা যায়। নিচে কিছু করণীয় গুলো উল্লেখ করা হলো

পরিশেষে বলা যায় যে উপরোক্ত করণীয়গুলো ব্যবহারের ফলে বা মেনে চলার ফলে আশা করছি আপনি একটি সুন্দর সুফল পাবেন। এরপরে যদিও আপনার কোন উপকার না পান তাহলে অতি দ্রুত ভালো একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করাটাই বাঞ্জনীয়। অনেক চরম রোগের ক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হয় না সেক্ষেত্রে কোন ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করাটাই ভালো হবে।