ফাইবার গিগ মার্কেটিং | কিভাবে গিগ তৈরি করতে হয় ।
ফাইবারে গিগ মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। আপনি যদি ফাইবার মার্কেটিং এ নতুন হয়ে থাকেন তাহলে ফাইবারে কিভাবে গিগ মার্কেটিং করবেন সে প্রসেসটি আমি এই পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি আমার এই প্রশ্নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে ফাইবার গিগ মার্কেটিং করবেন কিভাবে তা স্পষ্ট জেনে যাবেন।
ফাইবার গিগ মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে কিছু ক্লিক ভিউ আসলেই ফলাফল শূন্য হয়ে যায়। এছাড়া ফাইবার গিগ রাঙ্কিং ধীরে ধীরে আরো পিছিয়ে পড়ে। এর ফলে ফাইবার গিগ মার্কেটিং বিষয়টাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এখানে বলাই বাহুল্য যে বেশ কিছু পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ফাইবার মাত্র অর্ডার আছে ৮০% সার্চ করে নিজের মার্কেটপ্লেস থেকে। আবার মাত্র ২০% সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মার্কেটিং হয়।
তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে বা প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে আমরা এত কষ্ট করে পোস্ট করছি কেন? । ফাইবার সেলার টুইটারে গিগ মার্কেটিং করছে। ধারণা তো এই বছরে শুরুর দিকে যেসব প্রোফাইল রয়েছে এ পর্যন্ত টুইট করা হয়েছে প্রায় আট হাজার বারের ওপর। আমি উদাহরণস্বরূপ একটি পোস্ট বা একটি ওয়েবসাইটের উল্লেখ করতে পারি যে কোন এক ব্যক্তি সে ১৮০০ জনকে ফলো করে।
আরো পড়ুন,
এর বেশির ভাগই হচ্ছে কোন না কোন রিলেটেড এর কাজ করেছে। সেখানে তার মাত্র ফলোয়ার হচ্ছে ৬৮০ জন এবং বেশিরভাগ কাজ তার রিলেটেড না। এবং সেই লাইক দিয়েছে প্রায় ১১ হাজার এর বেশি। কেননা সেই লাইকগুলো দিয়েছে সে নিজেও জানে না কিসের জন্য দেওয়া হয়েছে।
ম্যাক্সিমাম সময় আমরা দেখতে পাই যে নতুন কেউ হয়তো কোন ওই মতে একটা ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলেছে এরপর গিগ মার্কেটিং এর কাজ শুরু করেছে। বেশ কিছুদিন পরে সে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে কিক মার্কেটিং এর সম্বন্ধে ভালো ধারণা নিয়ে গিগ মার্কেটিং এর কাজ শুরু করেছে এর ফলে সে ইস্পামিং শুরু করেছি।
এইরকম হাজার হাজার দেশী বা বিদেশি সেলার রয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের বেশির ভাগ সময় নষ্ট করে প্রতিনিয়তই ফাইবার গিগ মার্কেটিং করে ঝরে পড়ে। এখানে আরো বলায় ভালো যে দক্ষ ব্যক্তির কাজের অভাব থাকেনা। তাই বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করে ফাইবার গিগ মার্কেটিং এর কাজ করে থাকে। নিচে কিছু কৌশল গুলো তুলে ধরা হলোঃ
টুইটার মার্কেটিংঃ ফাইবার গিগ মার্কেটিং করার জন্য আপনি অবশ্যই একটি টুইটার একাউন্ট বা প্রোফাইল করে ফেলবেন। যেই আপনি পোস্ট লিখছেন সেই প্রসঙ্গে ভালোভাবে একটি প্রোফাইল সাজিয়ে তুলুন।
গিগ নিস সিলেকশনঃ যে প্রসঙ্গে আপনি গিগ তৈরি করেছেন সেই প্রসঙ্গে লোগো তৈরি করুন এবং সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আর্টিকেল এর একটি অনুচ্ছেদ বা তথ্য তুলে ধরুন।
প্রতিনিয়ত ফলোয়ার তৈরিঃ যে যেই প্রসঙ্গে আপনার গিগ হবে সেই প্রসঙ্গ রিলেটেড ফলোয়ার তৈরি করুন। যাদের আপনি ফলো করবেন সে ব্যক্তিরা যদি আপনাকে সাত দিনের মধ্যে ফলো ব্যাক না করে তাহলে সেইসব ব্যক্তিকে আনফলো করে দেবেন।
থার্ড পার্টি সফটওয়্যারঃ আপনি মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যার রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে ফাইবার গিগ মার্কেটিং করতে পারবেন।
গিগ তৈরি করবেন যে ভাবে।
প্রথমে আপনি গিগ তৈরি করার সময় অভার ভিউ টাইটেল অপশনে আপনাকে গিগের একটি শিরোনাম বা নাম দিতে হবে। ফাইবারে সাধারণত গিগ শিরোনামের অংশে I Will এই শব্দটুকু আগে থেকেই দেওয়াই থাকে অর্থাৎ গিগ এর শুরুতেই I Will শব্দটি পেয়ে যাবেন। ধরুন আপনি একজন ইনস্টাগ্রাম incluser এর জন্য গিগ তৈরি করবেন।
সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই I Will কথাটি বাদ দিয়ে বাদবাকি টাইটেল দিতে হবে। যেমন I Will Instagram Influencer লিখতে হবে। এরপরে গিফটের বিভাগ এবং উপবিভাগ নির্বাচন করে যেসব ধরণ আপনি নির্বাচন করবেন সেই সব ধরনের সেবা প্রদান করতে হবে। গিগ এর বিভিন্ন অপশন গুলো নির্বাচন করতে হবে এবার গীগ এর মেটা গুলো সংগতিপূর্ণ অপশন গুলো নির্বাচন করে দিতে হবে।
এর পরের অংশে আপনার দিকের সংহতিপূর্ণ অংশদিক বিবেচনা করে ছয়টি ট্যাগ নির্বাচন করতে হবে। আপনি যেসব বিষয়ে কেক তৈরি করবেন সেই বিষয়ে দিক নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের দেওয়ার ট্যাগগুলো ধারণা নিয়ে নিতে পারেন। তবে এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে যে কারো এর কোন অংশ যাতে কপি বা নকল করা না হয়। এতে করে আপনার অ্যাকাউন্ট পরবর্তীতে বাতিল হতে পারে। সবকিছুর ঠিকমতো দেওয়া হলে সেভ বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url