মাথা ব্যথার কারণ | মাথা ব্যথা কমানোর উপায় ।
আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা আমাদের সবার মাঝে কমেন্ট একটি সমস্যা হচ্ছে বা কমন একটি রোগ হচ্ছে মাথা ব্যথা। আর এই মাথাব্যথা যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে। আমরা হয়তো অনেকেই শুনে থাকবো যে মাইগ্রেশন নামক একপ্রকার শব্দের কথা। শুধু কি তাই মাইক্রোসেন ছাড়াও অনেক কারণে ই মাথাব্যথা হয়ে থাকে।
আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব মানুষের মাথা ব্যথা কিসের জন্য হয় এর কারণ কি কি। আর এ কারণগুলো জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পোস্টটি সম্পন্ন ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল আলোচনার ফিরে যাই।
আরো পড়ুন,
মানুষের মাথাব্যথার পিছনে বিশেষ করে যে দুটি কারণ রয়েছে সে দুটি হল এক খুবই পরিচিত কারণ একটি হল মাইগ্রেন এবং অন্যটি হলো টেনশন। যা কিনা মানুষ মাইগ্রো সেন ের প্রভাবের চেয়েও ৭০ থেকে ৮ ০% মানুষ টেনসনে ভুগে থাকেন। এবং ১১ থেকে ১৫ শতাংশ মাথা ব্যথার কারণ হচ্ছে মাইগ্রেশন।
মাইগ্রেশন এবং টেনশন ছাড়াও যেসব কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে যেমন ধূমপান, মাদকাসক্তি হলে, অনিয়মিত এবং অতিরক্ত ঘুমালে বা ঘুমের ওষুধ সেবন করলে, এছাড়া অতিরিক্ত আবহাওয়া জনিত কারণ যেমন গরমের প্রভাবে মাথা ব্যথা, শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি, ক্ষুধার্ত থাকা এবং অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত জমে থাকার রাগ কে মাথা ব্যথা।
আপনি যখন অতিরক্ত রেগে যাবেন তখন আপনার ঘাড়ের পিছনের মাংসপেশিগুলো এবং শরীরের ত্বকগুলো অতিরিক্ত টানটান হয়ে মাথার চারদিকে টেনে ধরার আশঙ্কা হয়ে পড়ে। হতে পারে আপনার দুশ্চিন্তা জনিত এবং অতিরিক্ত রাগের কারণে মাথাব্যথা কারণ।
করণীয় কি?
এই পরিস্থিতি আপনাকে অতিরিক্ত রেখে যাওয়ার আগেই ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে নাক দিয়ে শ্বাস নিবেন এবং মুখ দিয়ে তা বের করে দেবেন। এতে করে একটি উপকার হবে যে আপনার মাথা ব্যথা এবং ঘাড়ের পেশিগুলো শিথিল হয়ে যাবে।
দেহের অঙ্গভঙ্গের কারণে মাথাব্যথা।
আপনি প্রায় কাজের ফাঁকে বা অন্যান্য সময় আরাম করার জন্য বসে থাকেন। এখানে বসে থাকার জন্য আমরা কোন নিয়মকানুন মেনে চলি না। যেমনঃ কাঁথ হয়ে বসা বা কুজো হয়ে বসা এক্ষেত্রে পিঠের উপরের দিকে ঘাড় এবং কাঁধের রগগুলোতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে যা থেকে মাথা ব্যথা কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
করণীয় কি?
এক্ষেত্রে আপনি দীর্ঘক্ষণ বা দীর্ঘ সময় ধরে একাধারে বসে থাকবেন না। আপনি চাইলে কিছু সময় পর পর বসার ধরন পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়া আপনি একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ গড় পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।
দীর্ঘ সময় ধরে ফোন ব্যবহার করা।
মাথাব্যথার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে ফোন ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে আপনি যখন প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রয়োজনীয় বেশি কথা বলবেন সে থেকে আপনার স্নাইগুলো আস্তে আস্তে অকেজো হয়ে পড়ে। কারণ অতিরিক্ত কথা বলতে গেলে বা শ্রবণ শক্তি দ্বারা মাথার পেশিশক্তি বাসনায় তন্ত্র গুলো আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যায়।
করণীয় কি?
এক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য যে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ফোনে কথা বলবেন না। এছাড়া ফোনে কথা বলার সময় জোরে কথা বলা যাবে না যা কিনা মাথার হাইগুলো শব্দ দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আপনাকে সেই দিকটা ভালোমতো খেয়াল রাখতে হবে।
আবহাওয়া জনিত কারণ।
অনেক সময় আমরা রোদ বাতাস বা গরম আবহাওয়াতে কাজ কাম করে থাকে। এক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা হতে পারে। কারণ অতিরক্ত গরমের কারণে মাথার স্নায়ুতন্ত্র গুলো অল্পতেই তাপ গ্রহণের ফলে উত্তপ্ত হতে থাকে এর ফলে খুব অল্প সময়ে মাথাব্যথা শুরু করে। এছাড়া অতিরক্ত গরম আবহাওয়ার কারণে শরীর থেকে ঘাম বের হতে থাকে।
করণীয় কি?
আকাশ মেঘলা হলে এ সময় যদি আপনার মাথা ব্যথা করে তাহলে খুব সতর্কতার সহিত থাকতে হবে। এছাড়াও যদি বাতাসের আর্দ্রতা কারণে মাথাব্যথা হয় তাহলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গরমের সময় তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে আপনার মাথা ব্যথা হলে তা গরম আবহাওয়া থেকে সুরক্ষিত জায়গায় অবস্থান করতে হবে।
পরিশেষে বলা যায় যে আপনার মাথা ব্যথার কারণ গুলো উল্লেখিত বিষয়ের উপরেই হয়ে থাকে এছাড়াও কারো কারো বিভিন্ন ধরনের মাথাব্যথা হয় যা স্বাস্থ্য ব্যাধি এবং উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে সেগুলোকে। দমন করা সম্ভব।
সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা আমি বেশ কিছু উপরে মাথাব্যথার কারণ এবং এর উপায় সমূহ আলোচনা করেছি যদি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানতে পেরেছেন কি কারনে মাথাব্যথা হয় এবং মাথা ব্যথা করলে এর প্রতিকার গুলো কি কি ধন্যবাদ সবাইকে।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url