হাত পা ঝিমঝিম করার কারণ ও প্রতিকার

হাত-পা ঝিমঝিম আমাদের প্রায় সময় করে থাকে। এই সময়ে মনে হবে যে হাত পা অবশ হয়ে কোন আর কাজ করছে না, ভালোমতো রাতে ঘুমও হয় না। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বা ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী এই রোগের নাম পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি জাতীয় রোগ। আমরা প্রায় সময় হাতের চেয়ে পায়ে বেশিরভাগ ঝিমঝিম অনুভব করে থাকি।
হাত ঝিনঝিন করার ঔষধহাত পা অবশ হওয়ার কারণ ও প্রতিকারবাম হাত ঝিনঝিন করার কারণহাত ঝিনঝিন করার কারণ কিশরীর ঝিমঝিম করার কারণ ও প্রতিকারহাত পা অবশ হওয়ার প্রতিকারহাত পা ঝিন ঝিন করার চিকিৎসাহাত পা ঝিন ঝিন করার হোমিও চিকিৎসা

এ সময়ে প্রায় অবসর জন্য রোগীর পা থেকে সেন্ডেল বা জুতো খুলে নিলে রোগী তা টেরও পায় না। এই রোগের অন্যতম কারণ হলো ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, থাইরয়েড রোগ, ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি কারণ জনিত এই রোগ লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। যা পরবর্তীতে মানুষকে অনেকটাই চলাফেরায় অসহনীয় করে তোলে যা আপনি চাইলেও পরবর্তীতে তা আর চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ দূর করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।

আরো পড়ুন,

এই রোগের লক্ষণগুলো আপনি সহজেই অনুভব করতে পারবেন যাদের বিশেষ করে হাত-পা ঝিমঝিম করে এবং হাত-পা অবশ হয়ে যায়, ব্যথা অনুভূতি হয়, হাত পায়ের শক্তি কমে যেতে থাকে ইত্যাদি লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। যা একটি মানুষ খুব সহজেই এই রোগের উপস্থিতি বুঝতে পারেন। এ সময় রোগের ক্ষেত্রে যা করণীয় তা ভালোমতো চিকিৎসা গ্রহণ করাতে হবে এবং চিকিৎসা অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।

তাছাড়া বার্ধক্য আসা মাত্রই এই রোগটি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে যা ভবিষ্যতে রোগীর ক্ষেত্রে প্যারালাইসিস বা হাঁটাচলা করায় জটিলতা আকার ধারণ করতে পারে। অতিরিক্ত ক্লান্ত হলে বা শরীরের পুষ্টির ঘাটতি জড়িত কারণে এ রোগ বেশি দেখা দিয়ে থাকে। যা আপনি চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম এবং পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে আপনার শরীরকে এবং হাত-পা ঝিমঝিম রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে পারেন।

এ রোগের চিকিৎসার জন্য প্রথমেই রোগীকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে যেসব ওষুধ সেবন করা হচ্ছে রোগের পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি হচ্ছে কিনা। রোগীর এই জাতীয় ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো বন্ধ না হয় তাহলে সাথে সাথে সেসব ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে রোগীকে ইনসুলিন জাতীয় ইঞ্জেকশন গ্রহণ করতে হবে।

এরপরে রোগীকে চেয়ে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে যদি ইনসুলিনের প্রভাবে রোগী সুস্থতা অনুভব করে তাহলে মাঝে মাঝে তাকে চেকআপের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ বা শরণাপন্ন হতে হবে সেক্ষেত্রে ওষুধ কমানো বা বাড়ানো প্রয়োজন হলে তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগীর ক্ষেত্রে যদি ভিটামিনের অভাব দেখাতেই তাহলে পুষ্টিকর খাওয়ার খেতে হবে এবং ওষুধের মাধ্যমে তা পূরণ করা যেতে পারে।

রোগীকে এই জাতীয় রোগের জন্য দীর্ঘদিন যাবত ওষুধ সেবন করতে হতে পারে এক্ষেত্রে গোলেন বাড়ি সিনড্রোম নামে এক ধরনের ফেরিফেরের নিরপ্যাথিক ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে রোগীর হঠাৎ করে ৪ হাত-পা অবশ হয়ে যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে রোগকে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

অনেক সময় রোগী সাধারণত মনে করে যে হয়তো অতিরিক্ত পরিশ্রমের ক্ষেত্রে এ ধরনের হাত-পা ঝিমঝিম করে থাকে সেক্ষেত্রে রোগী সাধারণত কোন চিকিৎসা প্রয়োজন মনে করে না। তাই এই অসুখটি ধীরে ধীরে রোগের শরীরে জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে। যা পরবর্তীতে বা একটি সময় এ রোগের পাদুর্ভাব লক্ষণ গুলো ফুটে ওঠে।

এক্ষেত্রে রোগীকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কেননা মানুষের জন্য কোন রোগ বালাই ভালো নয় এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। হাত-পা ঝিমঝিম করার জন্য সাধারণত যেসব ওষুধগুলো ডাক্তাররা সাজেস্ট করে থাকে তা নিয়মিত সেবন করতে হবে। পুষ্টিকর জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে কেননা অনেক সময় হাড়ের ক্যালসিয়ামের শূন্যতা দেখা দিতে পারে।

হাত পা ঝিমঝিম করার ক্ষেত্রে রোগী দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে পারে না। সে সময় মনে হবে তার পায়ের শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলেছে এক্ষেত্রে হাত পা ঝিমঝিম লক্ষণ হলে রোগীকে নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায় াম করতে হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে হাত-পা ঝিমঝিম এর লক্ষণগুলো দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করে অসৎ সেবন এর মাধ্যমে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url