নাকের পলিপাস কেন হয় | নাকের পলিপাস এর লক্ষণ ।

নাকের পলিপাস একটি সাধারন কোন অসুখ নয়। এটি সাধারণত নাকের ভেতরে মাংস সংক্রমিত একটি। রোগ । সাধারণত আনুন আশিক পলিপের কারণে অজানা কিছু সংক্রমিত রোগ তবে এটি বারবার সংক্রমণ বা প্রদয়ের কারণ বলে ধারণা করা হয়। নাকের সাইনাসের থেকে এই রোগ উৎপন্ন হয়ে থাকে। আনন্যাসিক স্লেমা যখন বিশেষ করে মাংসের মধ্যম অঞ্চলে বহিীর মুখে ল তরল সংগ্রহের ফলে ফুলে যায়।

আর এই বহুমুখী তরল সংগ্রহের ফলে আরন্যসিক গহ্বর বা সাইনাসের সংক্রমণ সৃষ্টি করে থাকে। আজকে আমরা জেনে নিব নাখের পলিপাসের কারণ গুলো কি কি এবং নাকের পলিপাসের জন্য লক্ষণগুলো কি? চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় ফিরে যায়।

নাকের ভেতরে মাংসপিণ্ড বেড়ে যাওয়ার ফলে পলিপ নামক এক ধরনের রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। এছাড়া নাকের ভেতরে নানা কারণে ধুলোবালি ইত্যাদির কারণেও পলিপ হয়ে থাকে । নাকের ভিতরে মাংস কোনক্রমে বেড়ে গেলে রোগের শ্বাস প্রশ্বাস নিতে অনেকটাই অসুবিধা হয়ে থাকে । এক্ষেত্রে যদি বেশি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নাকের মাংস কেটে ফেলে দেওয়াই উত্তম হবে।

এখানে একটি কথা না বললে নয় নাকের ভেতরে পলিপের গায়ে যে সিনেমা ঝিল্লি থাকে এতে রক্তনালী দেখতে অনেকটা ব্যাংকের ছাতার মতো হয়ে থাকে । যা এই ব্যাঙের ছাতাকে পলিপ নামে নামকরণ করা হয় । নাকের পলিপসের কারণে রোগী অনেক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে যেমন বারবার জ্বর হয় সর্দি শ্বাস নিতে কষ্ট তা ছাড়া নাক দিয়ে জল পড়া ইত্যাদি কারণে রোগী ভোগে থাকেন ।

নাকের পলিপাশের যেসব লক্ষণগুলো রয়েছে তা সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করে বোঝানো সম্ভব নয় কেননা পলিপের লক্ষণ গুলির মধ্যে রয়েছে বিশেষ করে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া । এবং সাইনোসাইটিস, নাক দিয়ে ঘন তরল স্রাব বের হয়ে যাওয়া, এছাড়া রোগী যখন নাক দিয়ে কথা বলে সে সময় কষ্ট অনুভব করা, খাস নেওয়ার সময় ইত্যাদি লক্ষণ অনুভূতি হয় ।

আমরা সাধারনত নাকের ফলে পাশের কারণগুলো উপলব্ধ করতে পারে না কেননা সাধারণ কিছু সমস্যা থেকে এই নাকের পলিপাসের লক্ষণগুলো প্রকাশিত হয়ে থাকে । কথায় আছে ছোট বিন্দু পানির ফোঁটা একত্রে হলে একটি পাত্র পূর্ণ করাও সম্ভব হয় তেমনি নাকের বিভিন্ন ছোট ছোট সমস্যা থেকে বড় আকার রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় । আমরা প্রতিনিয়ত নাকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি । আর সমস্যা থেকে হতে পারে নাকের পলিপাসের কারণ ।

আমরা অনেক সময় দেখি যে, সাধারণত যে সর্দি বা ঠান্ডা লেগে থাকে সে ক্ষেত্রে সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে সেটিকে দ্রুত সারিয়ে ফেলি । অনেক সর্দি নাকের ভেতরে পেকে গেলে সে সর্দি একটি সময়ে পূজার মতো আকার ধারণ করে । এইরূপ সর্দি যদি আপনার বা আমার দীর্ঘদিন চলতে থাকে তাহলে স্থায়ীভাবে একটি সময় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় । আর এই নাক বন্ধ হওয়ার কারণে একটি সময় নাকের ভেতরে পলিপ তৈরি হয় আর এই পলিপ থেকেই নাকের পলিপাসের জন্ম নেই ।

নাকের পলিপাসের জন্য সাধারণত আপনাকে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসার গ্রহণ করতে হবে । প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে আপনি চিরতরে পলিপাসের মতো একটি সংক্রমিত রোগকে চিরবিদায় জানাতে পারেন । এর জন্য আপনাকে অবশ্যই নাক দিয়ে গরম ভাব নিতে হবে । এরপরে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল নাকের ভালো মানের ড্রপ ব্যবহার এবং সাথে অ্যালার্জি জাতীয় যেসব ওষুধ পাওয়া যায় সেগুলো নিয়মিত সেবন করতে হবে ।

এক পর্যায়ে যদি আপনি এসব চিকিৎসা গুলো নিয়মিত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই অনেকটা নাকের পলিপাস থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে পারবেন । এছাড়া আপনি যদি মনে করেন যে আপনার নাকের পলিফাজটি অনেকটাই গুরুতর আকার ধারণ করেছে তাহলে কোন একজন বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন ।

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি নাকের পলি পাস এর জন্য যেসব রোগের লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে পারবেন এবং যত দ্রুত সেই লক্ষণগুলো জাস্টিফাই করে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে নাকের পলিপাস থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ।