চোখের পাতার নিচে ফোলা । চোখের নিচে ফোলা কমানোর উপায়।

সুপ্রিয় দর্শক আসসালামুয়ালাইকুম, চোখ আল্লাহ তায়ালার দেওয়া প্রতিটি মানুষের কাছে একটি নিয়ামত। এই চোখের দ্বারায় আমরা পৃথিবীর সুন্দর শ্যামল প্রকৃতির স্বাদ অনুভব করতে পারি। আর এই চোখ যদি মানুষের বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরত থাকে তাহলে
জীবনে সবকিছু অস্বস্তী করব না হয়। চোখের পাতা ফুলে যাওয়া ব্যথা করা ইত্যাদি কারণে চোখ নানা রকম সংক্রমণ ব্যাধি হয়ে থাকে।

আজকে আমি পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব চোখের পাতার নিচে ফুলে গেলে কি করবেন এবং কি কারনে ফুলে যায়। এর ও লক্ষণ গুলো কি? কি উপায়ে চোখের পাতা ফোলা কমানো যায় এবং তার প্রতিকার গুলো কি কি।

চোখের নিচে ফোলা কোন রোগের লক্ষণ।

সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা মানুষের চোখের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয় যেমন আন্ডার আই ব্যাগ বা চোখের নিচে ব্যাগের মতো হয়ে ফুলে যায়। এটি অনেক কারণে হতে পারে। বিশেষ করে আমরা যদি বলতে চাই তাহলে অ্যালার্জি, যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, অবসাদ কিংবা কিছু কিছু মানুষের বংশগত কারণও হতে পারে। 

আমি এখানে বলব যে কারণ যেটাই হোক না কেন? আপনার দেহের যে কোন জায়গা বা অংশে বিশেষ করে চোখের নিচে পাতা অন্যান্য শরীরের অংশের চেয়ে বিশেষ করে দশগুণ পাতলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে চোখের যত্ন নিতে হয় অত্যন্ত সতর্কতার সহিত।

সাধারণত চোখের পাতা খোলা ফোলার যেসব লক্ষণগুলো রয়েছে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি লক্ষণীয় যেমন

মানুষের চোখের পাতা বিভিন্ন কারণে ফুলে যেতে পারে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো।

ঘুম না ভালো হওয়ার কারঃ ঃ- যারা অতিরক্ত রাত জেগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে এই কারণগুলো দেখা যায়। যেমন চোখের নিচে ফুলে যাওয়ার একটাই বড় কারণ রেগুলার ঠিকমতো ঘুম না হলে চোখের পাতা ফুলে যেতে পারে। অন্তত দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা ঘুমে রাতে ঘুম না ঘুমিয়ে পরল জেগে থাকার চেষ্টা করলে এক্ষেত্র অয়ানি ধরে রাখতে শুরু করে।

প্রয়োজনের তুলনায় লবণ খেলো।

যারা বিশেষ করে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত লবণ খেয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এই কারণগুলো ধরা পড়ে। একজন মানুষ দিনে এক থেকে দেড় চামচ বেশি লবণ খাওয়ার মোটেও উচিত নয়। এতে রান্না হোক বা অন্যান্য উপায় হোক। আপনি যখন অতিরিক্ত লবণ খাবেন তখন আপনার ভিতরে সুপ্ত কণাগুলো চোখের ফলে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে 

চোখের নিচে ফোলা কমানোর ঔষধঃচোখের নিচে ফোলা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি ঘরোয়া ভাবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে চোখের নিচের যে ফোলা ভাব বা চোখের ফোলা ভাব গুলো দূর করে নিতে পারবেন। 

বিশেষ করে ঠান্ডা দুধ আপনার চোখ যদি সব সময় ফুলে থাকে বা ফোলা ফোলা ভাব হয়ে থাকে তাহলে ঠান্ডা দুধ চোখের জন্য অনেকটাই উপকারী। আপনি চাইলে ফ্রিজে রেখে দুধগুলোকে ঠান্ডা করে নিতে পারেন এরপর তোল বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে বল বানিয়ে দুধে মিশিয়ে নিতে হবে এরপরে চোখের ফোলা অংশে 20 থেকে 30 মিনিট লাগিয়ে রেখে দিন।

অন্যদিকে চোখের নিজের কালো দাগ কমানো বা ফোলা ভাব কমাতেও আই ক্রিমের গুরুত্ব অনেক। আপনি চোখের নিচের কালো দাগ এবং ফোলা ভাগ কমাতে রাতে বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন।

সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা চোখের নিচে ফলা কমানোর বিশেষ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে যেগুলো নিয়ে আমি আলোচনা করব। আপনি যদি সেই সমস্যায় সম্মুখীন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সে পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে পদ্ধতি গুলো কি কি?

ঠান্ডা কম্প্রেস ব্যবহার করা :-চোখের নিচে ফোলা ভাব কমানোর জন্য আপনি একটি ঠান্ডা কমপ্লেস ব্যবহার করতে পারেন। এই ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে চোখের নিজের ফোলা ভাব কমানোর জন্য অনেকটাই ব্যবহৃত এবং ব্যাপক গুরুত্ব পূর্ণ।

ঠান্ডা পানি পান এড়িয়ে চলা: আপনি রাত্রে সবার আগে অর্থাৎ ঘুমানো যাওয়ার আগে বিশেষ করে ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন। এক্ষেত্রে চোখের নিচে ফোলা কমানোর জন্য ঠান্ডা পানি পান না করা অনেকটাই উপকারী।

পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমানোর অভ্যাস করা: আপনি যদি চোখের ফোলা ভাব কমানোর কথা ভেবে থাকেন তাহলে রাতে অটো পরিমাণের ঘুমাতে হবে। তা না হলে আপনি প্রাথমিক যতই চিকিৎসা গ্রহণ করেন না কেন পরিমাণ মতো না ঘুমালে চোখের ফোলা ভাব কমানো সম্ভব নয়।

সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা উপরোক্ত চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে চোখের ফোলা ভাব এর লক্ষণ এবং কারণ ও নিয়ম গুলো যদি যথাযথ পালন করা হয় তাহলে চোখের নিচের ফোলা ভাব অনেকটাই চিকিৎসার কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।