চোখের নিচে কালো দাগ কোন রোগের লক্ষণ।
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত মা ও বোনেরা লেখা শুরুতে আপনাদের জানাই সাদর আমন্ত্রণ। আমাদের আজকের বিশেষ হচ্ছে অধিকাংশ মানুষের চোখের নিচে কালো কালো দাগ পড়ে যায়। আর এসব দাগগুলো কেন হয় এর লক্ষণ গুলো কি কি কোন রোগের জন্য হয়। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানবো।
আমি আর বেশি কথা না বলে মূল আলোচনায় ফিরে যাব, মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আপনাদেরকে আমি ছোট্ট একটি রিকোয়েস্ট করব আপনার যদি চোখের নিজের কালো দাগের লক্ষণ বা সে ধরনের কোন সমস্যার সমাধান খুঁজতে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমি বলব আমার এই পোস্টটিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নেবেন।
পোষ্ট সুচিপত্রঃ
- অপ্রযাপ্ত ঘুমের কারণ।
- নির্দিষ্ট বয়সের প্রভাব।
- ডি হাইড্রেশন বা পানিসূন্যতা।
- বংশগত কারণ।
সম্মানিত পাঠক চোখের নিচে কালো দাগ এর লক্ষণগুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। আজকে আমরা চোখের নিচে কালো দাগের লক্ষণ গুলো কি কি এবং সমাধানের উপায় কি তা জানার চেষ্টা করব। প্রথমেই বলব আপনার চোখের নিচে কালো দাগ এর লক্ষণগুলো সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট না হয়ে থাকে। যেমন,
- সূর্যের অতিমাত্রা তাপের কারণে চোখের নিচের কালো দাগ পড়ে যায়।
- বিশেষ করে একটি নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে যখন বার্ধক্য চলে আসে সে সময় চোখের নিচের কালো দাগের লক্ষণগুলো ফুটে ওঠে।
- চোখের নিচে কালো দাগের লক্ষণগুলো বা কালো দাগ পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে যাদের ধূমপান এর অভ্যাস রয়েছে তাদের দ্রুত এই লক্ষণগুলো ধরা পড়ে।
- চোখের নিচে কালো দাগ এর আরও লক্ষণ গুলো আলোচনা করতে হলে থাইরয়েড এর অবস্থার জন্য চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়।
- মানুষের দেহে পানি শুন্যতার কারণে চোখের নিচের কালো দাগ পড়ে যায়।
- বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে চোখের নিচের কালো দাগ লক্ষণগুলো বোঝা যায়।
অপ্রযাপ্ত ঘুমের কারণ।
অপ্রযাপ্ত ঘুম এর কারণ স্বাভাবিক সবার সময় থেকে কয়েক ঘন্টা বেশি জেগে থাকা অভ্যাসের কারণে সাধারণত চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ঘুম আপনার ত্বককে সাধারনের তুলনায় নিস্তেজ ও সাদা ফ্যাকাশে করে তুলতে পারে। এবং এতে করে আপনার চোখের নিচে কালো যে টিস্যু বা রক্তনালী রয়েছে তা সাধারণের তুলনায় দৃশ্যমান।
তাছাড়া ঘুমের অভাবে আপনার চোখের নিচে একপ্রকার তরল পদার্থ জমে যেতে পারে যা চোখের নিচে দাগ পড়তে অনেকটাই বিশেষ ভূমিকা রাখে।
নির্দিষ্ট বয়সের প্রভাব।
সাধারণত নির্দিষ্টের বয়সের কারণে চোখের নিচে কালো দাগ এর বিশেষ কারণ হতে পারে। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বক এবং অন্যান্য গ্রন্থিগুলো পাতলা হতে থাকে। বয়সের সঙ্গে ত্বকের ইস্তিস্হপকত বজায় রাখা প্রয়োজনীয় এবং ছবি ও কলেজের পরিমাণ হাস্য পেতে থাকে।
প্রচন্ড চুলের ঘর্ষণ লাগা।
বিশেষ করে প্রচন্ড চুলের ঘর্ষণের ফলে এলার্জির কারণে সৃষ্ট চুলকানির ফলে চোখের চারপাশে ত্বকরা বা চুলকানোর ইচ্ছা পোষণ করে। এক্ষেত্রে এ অবস্থার আর অবনতি হতে পারে। ফোলা ভাব ও রক্তনালী গুলো আস্তে আস্তে ভেঙে যেতে পারে।
ডি হাইড্রেশন বা পানিসূন্যতা।
ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা এমন একটি লক্ষণ যা কিনা। চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে অনেকটাই সহায়তা প্রদান করে থাকে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সরবরাহ না থাকলে চোখের নিচে ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায় এবং তার ভেতর থেকে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।
বংশগত কারণ।
বিশেষ করে জ্বীনের কারণে অনেকেরই কালো দাগ লক্ষণ পাওয়া যায়। মানুষ শৈশবে অন্ধকার বৃত্তগুলো লক্ষ্য করতে পারবে এবং এটি বড় হওয়ার সাথে সাথে আরো খারাপ হয়। তবু এটা সবসময় হয় না অনেক সময় বংশগত কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে থাকে।
আরো পড়ুন,
সম্মানিত ভাই ও বোনেরা চোখের নিচের কালো দাগের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে। তা একটি পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করে শেষ হবার নয়। আপনি যদি ইতিমধ্যে চোখের নিচের কালো দাগ লক্ষণ এবং দাগগুলো নিয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজতে থাকেন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি ভালভাবে পড়ে পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url