চুলের আগা ফাটার কারন | চুলের আগা ফাটা দূর করার উপায় ।
চুলের আগা ফাটার কারণ ও এর প্রতিকার অনেকগুলোই রয়েছে। কি কি উপায়ে আপনার চুলের আগা ফেটে যায় এবং এতে করণীয় কি এই পোস্টটি পড়লেই আপনারা জেনে যাবেন। কিভাবে চুলের আগা হাটার রোধ করতে পারবেন। চুলের বিশেষ করে আগা ফাটা রোধের জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন নারিকেল তেল গরম করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন এতে অনেকটাই উপকার পাবেন।
অনেকেরই চুল অল্পতেই লালচে অর্থাৎ বাদামী ধুসর লালচে হয়ে যায় । কেননা উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবে চুলের আগা অর্থাৎ গোঁড়া থেকে একবারে চলে অগ্রভাগ অনেকগুলোই ফেটে যাওয়ার উপস্থিতি মেলে এ পর্যায়ে আপনি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই আপনার চুলের আগা ফাটা রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
পোস্টস সূচিপত্রঃ
- চুলের আগা ফাটার কারন
- চুলের আগা ভাঙ্গা রোধ
- চুলের রুক্ষতা দূর করার উপায়
- চুলের আগা ফাটা রোধ করার উপায়
চুলের আগা ফাটার কারন।
মানুষের চুলের আগা ফাটা কারণ অনেক প্রকারই হয়ে থাকে। মানুষের অগোছালো জীবন যাপন করা, চুলের অযত্নে বিশেষ করে জীবন যাপনে অনিয়ন্ত্রণ যেমন, রোদ ও ধুলোর মতো বিভিন্ন কারণে চুলে ধীরে ধীরে আদ্রতা হারিয়ে প্রাণহীন হয়ে যায়। সেখান থেকে শুরু করে জন্ম হয় আগা হাঁটার সমস্যা। বিশেষ করে এ পর্যায়ে আরো পদক্ষেপ হতে পারে ডিমের হেয়ার মার্কস ব্যবহার চুলের যত্নে সপ্তাহে অন্তত একদিন হিয়ার মাস ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন,
- চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা | নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন।
- শিশুর অপুষ্টি দূর করার উপায় | নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধির উপায় ।
- সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য হাদিস| সন্তানের প্রতি পিতা মাতার হক কয়টি
- ত্বক ও চুলের যত্নে এলোভেরা | এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম | অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা ।
এই পর্যায়ে অনেকটাই চুলের স্বচ্ছতা তৈরি করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। বিশেষ করে চুলের আগা ফাটার আরো বিশেষ কারণ হতে পারে যেমন গরম পানিতে চুল ধুয়ে দিলে যেমন যেসব ব্যক্তিরা রাতে গোসল করেন তারা অনেকেই সময় ঠান্ডা লাগবে এই ভয়ে গরম পানি ব্যবহার করে থাকেন। এই অভ্যাসের ন্যাচারাল মাইচারাইজার ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে এবং এর প্রেক্ষিতে চুলের স্বচ্ছতা কমে যায় ফলে আগা ফাটা শুরু করে।
চুলের আগা ভাঙ্গা রোধ।
চুলের আগা ভাঙ্গা রোগ কিন্তু খুবই বাজে একটা সমস্যা বলে বলা যায়। কেননা বিভিন্ন কারণে চুলের আগা ভেঙ্গে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে তার মধ্যে উল্লেখ করা যেতে পারে যে অতিমাত্রায় বা অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক উপাদান যেমন শ্যাম্পু, জেল, ইত্যাদি ব্যবহার করা। নিয়মিত যারা এসব উপাদান চলে ব্যবহার করেন তারা চুলের আগা ফাটা ছাড়া আরো নানা দ্রুত সমস্যা করার আশঙ্কায় রয়েছে।
চুলের আগা ফেটে গেলে চুলের অগ্রভাগে লালচে অংশে রূপার মত রূপ ধারণ করে। তাছাড়া চুলের আগা ফেটে গেলে চুলের বাড়ন্ত বা লম্বা হওয়ার রোধ কমে যায়। তাই চুলের আগা ফেটে গেলে মন খারাপের কোন আশঙ্কা না করে উপরোক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
চুলের রুক্ষতা দূর করার উপায়।
বর্ষাকালে বিশেষ করে আবহাওয়া যখন ঠান্ডা পরিস্থিতি থাকে সেই মুহূর্ত খানে দেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ফিরে আসে প্রাণ। আর সেই প্রাণের কথা বলতে গেলে চুল ও ত্বকের কথা না বললেই নয়, বিশেষ করে ভেজা চুল ঠিকমতো না শুকালে বিশেষ করে শীতকালে যদি আপনার চুল সঠিক মত না শুকায় তাহলে শুকনো বাতাসের আদ্রতার কারণে চুল অনেক নিয়ে পড়ে বা রুখ্য হয়ে যায়।
শীতকালে কিভাবে চুলের রুক্ষতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন সে বিষয়ে আমি আপনাদের কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলব অবশ্যই আপনারা চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
- আপনি শীতকালে চুলের জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
- বিশেষ করে hair জেল হেয়ার ড্রপ অতিমাত্রায় ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- রাতে গোসলের সময় গরম পানি বা জল ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
- আপনি আপনার চুলে চাল দুধ ও মধু পেস্ট করে ব্যবহার করতে পারেন।
- চুলের রুক্ষতা আগা ফাটা দূর করার আরো একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো ডিমের কুসুম ব্যবহার করতে পারেন।
- নারকেল তেল এর সঙ্গে কয়েক ফোটা কাস্ট ওয়াইল লিস্ট মিশিয়ে চলে ব্যবহার করতে পারেন।
- পাকা কলা পেস্ট করে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
- অ্যালোভেরা জেলের সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের আগা ফাটা রোধ করার উপায়।
চুলের আগা ফাটা রোধ করার জন্য বাজারে অনেকেই অনেক ধরনের পণ্য সম্প্রীতি ব্যবহার করে থাকেন। হয়তো কেউ তার প্রতিকার পেয়ে থাকে আবার হয়তো কেউ প্রতিকার পান না। আমার মতে কয়েকটি পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা চুলের আগা ফাটা রো দ করতে পারি। ভূমিকা পালন করে বিশেষ করে মধু। এই মধু মহা চুলের আগা ফাটা রোগের জন্য মহা ওষুধ ধরে নিতে পারেন।
বিশেষ করে মধু, টক দই, ও অলিভ অয়েলের একসঙ্গে মিশিয়ে একটি হেয়ার মাক্স তৈরি করে নিতে পারবেন এরপরে ভালো করে কাজ ও চুলে লাগিয়ে নিতে পারেনভ এতে করে কয়েক ঘন্টা রেখে দিন এরপর শ্যাম্পু করে পানিতে ধুয়ে ফেলুন। আশা করি উপরের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে চুলের আগা ফাটা রোধ করা যেতে পারে।
শেষ কথা সম্মানিত ভাই ও বোনেরা চুল প্রত্যেকটি মানুষের সম্পদ সবাইকে তার যত্ন নিতে হবে। আশা করছি আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যদি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন আপনার চুলের রোগ এর কারণ কি এবং কি কারণে হয়ে থাকে। তাছাড়া কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে চুলের আগা ফাটা রোগ দূর করতে পারবেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url