মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ | মাথা ব্যথা কমানোর কয়েকটি উপায়।
মানুষের মাথার মূল্য অনেক, এই মাথা দিয়ে অনেক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়, আবারও কেউ এই সামান্য মাথা দিয়ে অনেক বড় বড় আবিষ্কার করে থাকেন। তাই যদি বলা যায় মাথা অতি সামান্য কিন্তু তার মূল্য অনেক দামী। আর এই দামে বা থাকে কেউ তা ভালো কাজে লাগিয়ে থাকে আবার কেউ মন্দ কাজে লাগায়। চিন্তা শক্তিধারা কিন্তু এ মাথা দিয়ে করতে হয়।আর এই চিন্তাশক্তির ধারণা থেকেই শুরু হয় মাইগ্রেশন বা মাথাব্যথা।
সম্মানিত ভাই ও বোনেরা হ্যাঁ আমি আজকে মাথা ব্যাথার কারণ এবং কোন কোন বিষয়ের জন্য মাথা ব্যথা বেশি হয়সেটি নিয়ে আলোচনা করব। সেই সাথে মাথা ব্যথা কমানোর কিছু গোপন টিপস বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে আপনারা মাথা ব্যথা কমাবেন সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
- মাথা ভারী লাগার কারণ
- মাথা ব্যাথা ও বমি কোন রোগের লক্ষণ
- মাথা যন্ত্রণা কমানোর উপায়
- মাথা ব্যাথা হলে করণীয়
মাথা ভারী লাগার কারণ।
মাথা ভারী লাগার কারণ , কি কারনে মাথা ভারী লাগে তা আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা আবার কেউ কেউ হয়তো জেনে থাকবো। তো আজকে আমি মাথা ভারী লাগার কারণগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
- হঠাৎ করে মুখে, হাত এবং পায়ের মতো শরীরের একটি অংশ দুর্বলতা, আশারতা, বা পক্ষপাতের মত সমস্যা দেখা দিতে হবে এর মানে মনে করবেন যে উনি স্টক বা ব্রেইন।
- মাথার পিছনের দিক ক হয়ে থাকে টেনশন হেডেক।
- মাথা ব্যথা পেছনের আরেকটি বড় কারণ হলো বা সমস্যা হচ্ছে চোখের সমস্যা হলে সেই উপসর্গ কেবল চোখের আটকে থাকে না বরং এটি মাথায় গিয়ে প্রভাব ফেলে।
- অনেক সময় ঠান্ডা লাগার কারণে ও মাথা ব্যথা হতে পারে উপযুক্ত চিকিৎসা হলেই সেটি সেরে যেতে পারে।
- ঘুম কম হলে বা নিয়মিত ঘুমের সমস্যা থাকলে মাথা ভারে লাগার কারণ হতে পারে।
- মাথাব্যথা রোগের লক্ষণগুলো আপনি আবারো ভার্টি গো বা নড়াচড়া বা ঘোরার অনুভূতি বুঝতে পারবেন।
- এরপর অস্থিরতা ও ভারসাম্য হারানো অনুভূতি।
- ভারি মাথার অনুভূতি। ভাসমান অনুভূতি।
- দাঁড়ানো বা দ্রুত মাথা নড়াচড়া করার সময় হালকা অথবা মাথার এ ধরনের অনুভূতি ট্রিগার বা খারাপ হতে পারে। প্রথমত হালকা মাথা ব্যাথার এ জাতীয় লক্ষণগুলি পৃথক ঘটায় ১৫বৃত্তি হতে পারে এবং এর বিভিন্ন কারণ হতে পারে যা চিকিৎসা পরামর্শ দ্বারাই ভালো হওয়া সম্ভব।
মাথা ব্যাথা ও বমি কোন রোগের লক্ষণ।
মাথাব্যথা বমি এইসব হচ্ছে মাইগ্রেশন এর প্রধান লক্ষণ। মাথার যেকোনো এক পাশে মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের ব্যাথা হতে পারে। অনেক সময় ব্যথা তীব্রতা এত বেশি হয় যে বমি বমি ভাবও হতে পারে। অনেকের আবার এইসব লক্ষণ এবং উপসর্গ ছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ থাকে যা কিনা -ঘাম, মনোযোগিতহীনতা, অনেক বেশি গরম বা অনেক বেশি ঠান্ডা অনুভব করা, পেটে ব্যথা সর্বশেষ বলা যেতে পারে ডায়রিয়া হওয়া।
আরো পড়ুন,
মাথা ব্যথা ও বমি কোন রোগের লক্ষণ যদি বিস্তারিত জানতে চাই বা জানতে হয় তাহলে আপনাকে পড়তে হবে পুরো পোস্টটি। আপনার মাথাব্যথা ক্রান্তি ভাব বমি বমি ভাব খাবারের অরুচি এগুলো কিন্তু গুরুতর রোগের লক্ষণ ধরে নিতে হবে। মাথা ব্যথা সাময়িকভাবে স্বাভাবিক হতে পারে আমাদের প্রত্যেকেরই হয়ে থাকে তবে প্রত্যেকটা মাথাব্যথা ব্যাপার কিন্তু সাধারণ নয়, এ কথা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে।
এরকম মাথা ব্যাথা হতে পারে অন্য কোন গুরুতর বা অতিরক্ত অন্য ক্ষেত্রে লক্ষণ। এই জন্য আপনাকে জানতে হবে আপনার হঠাৎ মাথাব্যথা বা বমি ভাব কিসের লক্ষণ হতে পারে।
মাথা যন্ত্রণা কমানোর উপায়।
মাথাব্যথা ও যন্ত্রণা দূর করা বা কমানোর উপায় বিভিন্ন জনে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করে থাকবেন। একেকজনের মতামত কিন্তু একে ক রকম হয়ে থাকে। তাই বলবো মাথা যন্ত্রণা দূর করার জন্য যেসব উপায়গুলো রয়েছে আপনি একটু স্টাডি করেই তা গ্রহণ করতে পারে। আজকে আমি মাথা যন্ত্রণা কমানোর যেসব উপায়গুলো রয়েছে তা কয়েকটি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি তা জেনে নেয়া যায়।
- প্রথমত আপনি প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন কেননা জল পানের বিকল্প অন্য কিছু হতে পারে না। আপনার শরীরে যদি জল বা পানির ঘাটতি থাকে তাহলে বিভিন্ন সমস্যা শরীরে দেখা দিতে পারে। তাই বলবো মাথা ব্যথা কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি কপাল করা।
- এরপর আপনি পরিমাণ মতো ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে পারেন কেননা ম্যাগনেসিয়াম খাবার অনেকটাই মাথা ব্যথার কমানোর বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- মাথার ব্যথার যন্ত্রণা কমানোর জন্য আপনাকে মধ্যপন থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা মাথা ব্যথার একটি বিশেষ যন্ত্র হচ্ছে মদ্যপান। জীবন যুদ্ধক্ষেত্রের অস্ত্র হয় তার মূল ভূমিকা সেইরকম মাথা ব্যথার মূল ভূমিকায় পালন করার মধ্য পান। তাই আপনাকে যত সময়ের মধ্য পান করতে হবে।
- নিয়মিত সঠিক সময়ে সঠিক ঘুম না হলে অনেকটা মাথাব্যথা তীব্রতা বেড়ে যায়। তাই মাথা ব্যথার কারণ কমানোর জন্য আপনাকে সঠিক সময় নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
- এছাড়া আরো মাথাব্যথার কারণ বা লক্ষণগুলো আপনারা আরো অন্যান্য পাঠকের আলোচ্যুতি পেয়ে যেতে পারেন। তাই বলবো আপনার যদি মাথা ব্যথার অনেকটাই তীব্র দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে আপনি আমার কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। আশা করি মাথা ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন।
মাথা ব্যাথা হলে করণীয়।
মাথা ব্যথা অতিমাত্রায় হলে যা করবেন তা আমি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনি যদি অতিরিক্ত মাথাব্যথায় ভোগেন তাহলে নিচে দেওয়া বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন। দেখবেন অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার মাথা ব্যথা দূর হয়ে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতি বা পদক্ষেপগুলোঃ
- পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করুনঃ আপনি যত বেশি পানি পান করবেন আপনার শরীরটা ততটাই বৃদ্ধি পাবে। কারণ জল বা পানি শরীরকে অনেকটাই বিভিন্ন ওষুধ থেকে রক্ষা করে। তাই মাথা ব্যাথা দূর করনের জন্য পানি পান করার বিকল্প অন্য কিছু হতে পারে না।
- মাথা ব্যথাই মালিশ করাঃ অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে হাতের আঙ্গুল দিয়ে মাথা মালিশ করতে পারেন এতে দেখবেন কয়েক সেকেন্ড পরেই আপনার মাথা ব্যথা দূর হয়ে গেছে।
- মাথা ব্যথা দূর করণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমঃ মাথাব্যথা দূর করনের জন্য আপনাকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ। ঘুমাতে হবে। কানাডা ঘুমোচ্ছে একটি মানুষের শরীরের জন্য অমূল্য সম্পদ। তাই আপনার মাথা ব্যাথা দূর করনের জন্য আপনাকে নিয়মিত ঘুমাতে হবে।
- প্রাণভরে শ্বাস নেওয়াঃ মাথা ব্যথা দূর করার জন্য আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্বাস গ্রহণ করুন।
শেষ কথাঃ মাথা ব্যাথা রোগের লক্ষণ এবং কি উপায়ে কমাবেন তা হয়তো ইতিমধ্যে আমার উপরের পোস্টটি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পেরেছেন। আপনার মাথা ব্যথা রোগের লক্ষণ গুলো কি কি এবং কি কি উপায় গ্রহণ করে মাথা ব্যাথা কমানো যায়।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url