রুক্ষ চুলের হেয়ার প্যাক। রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায়।

চুলের রুক্ষতা থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন জনে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষার জন্য হয়তো কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন আবার কেউ ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের রুক্ষতা দূর করে থাকেন। যাদের চুল রুক্ষ হয়ে গেছে কিন্তু বিভিন্ন চিকিৎসা এবং পদ্ধতি ব্যবহার করেও চুলকে মসৃন করতে পারছেন না।

আমি তাদের উদ্দেশ্যে আজকে এই পোস্টটিতে আলোচনা করব বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে রুক্ষ চুলকে মসৃণ করে ফেলতে পারবেন খুব সহজে। আপনি যদি এই পোস্টটি কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন রুক্ষ চুলের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করে কিভাবে মুশরন করা যায়।

চুলের যত্নে হেয়ার প্যাক ব্যবহারের জন্য প্রথমেই আমি কয়েকটি উপাদানের কথা উল্লেখ করব আপনি যদি নিয়মিত হেয়ার প্যাক গুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার দুঃখ চোর মুচল হয়ে যাবে। জুলুম জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে হেয়ার প্যাক ব্যবহার।

ডিম এবং হেনা ব্যবহারের ফলে আপনি আপনার চুলকে রক্ষা থেকে মিশ্রণ খুব সহজে করে ফেলতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে এক টেবিল চামচ মেথির বীজ জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারারাত। এরপরে আপনার যা করণীয় সকালে মেসির বীজ ভালোভাবে গুড়া করে নিয়ে সে সাথে এক কাপ খাটি গরুর দুধ এবং একটি ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। 

এই মিশ্রণটি পুরো চুলে এবং মাথার তাকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে যাতে করে কোন জায়গায় ফাঁকা না থাকে। এরপর কিছুক্ষণ উপকরণটি তুলে লাগিয়ে রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুলগুলোকে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করার ফলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার চুল রুক্ষ থেকে কতটা মসৃন হয়েছে।

রুক্ষ চুলের হেয়ার প্যাক তৈরির জন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতির রয়েছে আপনি যেকোন ো পদতি গ্রহণ করতে পারেন তার মধ্যে আমি একটি পদ্ধতি আলোচনা করব। প্রথমত আপনাকে আপনার রুক্ষ চুলের হেয়ার প্যাক তৈরির জন্য কিছু পরিমান ঘৃতকুমারী এবং কিছু পরিমাণ কোকোনাট অয়েল হেয়ারমাক্স নিয়ে দিতে হবে। ঘৃতকুমারী রস অতিরিক্ত আদ্রতা আপনার চুলকে শুষ্ক করে দেয়। 

ঘৃতকুমারী এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা আপনার চুলকে ভেতর থেকে সজীব গড়ে তুলবে। রুক্ষ চুলের হেয়ার প্যাক রুক্ষ চুলের হেয়ার প্যাক তৈরীর জন্য যে সব উপাদান গুলো প্রথমত নিবেন, ঘৃতকুমারীর রস দুই টেবিল চামচ এবং নারিকেল তেল তিন টেবিল চামচ নিয়ে সাথে একটি বাটির মধ্যে সব উপাদান ঢেলে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। 

আপনার চুল ও মাথার ত্বককে সবটুকু উপকরণ ভালোভাবে মাখিয়ে। এমন ভাবে উপক্রণটি মাথায় প্রবেশ করাবেন যাতে কোন জায়গায় ফাঁকা না থেকে যায়। এরপরে আপনি একটি তোয়ালে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি উপরোক্ত উপকরণটি সঠিকভাবে তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই বুঝতে পারবেন যে আপনার রুক্ষ চুল কিভাবে আগের চেয়ে অনেকটাই মসৃণ হয়ে গেছে। 

উপরোক্ত পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার রুক্ষ চুল খুব সহজেই মুসলিম করে দিতে পারবেন। এর জন্য কোন বাড়তি সহ্য হবে না এবং কোন চিকিৎসা করেও পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

আপনি আপনার চুলকে মোলাইনম করার জন্য বাড়িতে হেয়ার মাক্স তৈরি করে খুব সহজেই চুলের সাথে জুতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। চুলকে মোলায়েম করার জন্য আপনি মূল উপকরণ হিসেবে পাখা কলা ব্যবহার করতে পারেন। এর সাথে কিছু পরিমাণের মধু নিয়ে নিতে পারেন। কলার মধ্যে রয়েছে ন্যাচারাল ওয়েল কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন। চুলের মোলায়েম ভাব বজায় রাখার পাশাপাশি এই উপকরণ চুল হাইড্রেট রাখে এবং স্কাল্প বা মাথার তালু অনেক সমস্যা দূর করে থাকে।

আপনি আপনার চুলকে মোলায়েম করার জন্য আরও কিছু পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন যেমন এক কাপ টক দই ভালো করে ফ্যাক্ট করে নিতে হবে এরপর তার সাথে ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটিকে ভালো করে চুলে লাগিয়ে ফেলুন। পরবর্তী সময়ে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করে ফেলুন। 

তাছাড়া আরও বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেমন দুটি ডিমের কুসুম এবং দুটি চামচ অলিভ অয়েল এর সঙ্গেকিছু পরিমাণ পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। মিশ্রণটি চুলে লাগে এক থেকে দুই ঘন্টা রেখে দিন এরপর ঠান্ডা পানিতে শ্যাম্পু করে এক সপ্তাহ একবার করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

চুল নিয়ে কম বেশি আমাদের সবারই দুশ্চিন্তা থেকেই যায়। আমরা যারা ত্বক ও চুল নিয়ে সচেতন তারা কিন্তু নিয়মিত। অনেক সময় শখের চেয়ে বেশি আমাদের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় চলে যত্ন নেওয়া। চুলের যত্নে যেকোনো প্রোডাক্ট বাছাই করার আগে আমাদের অবশ্যই অনেকের কাছে ফাস্ট চয়েস থাকে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো। কারণ প্রাকৃতিকভাবে চলে যত্ন নিলে এর একদমই তোর সাইড ইফেক্ট থাকে না।

চুলের যত্নে হিয়ার মাক্স নানাস রকম সমস্যা সমাধান করে থাকে। বিশেষ করে পর্যাপ্ত পরিমাণের প্রোটিন সরবরাহ করে। চুলকে কমল করে এবং সাইন ইন লোক দেই। যাদের চুলের টেক্সটারে সমস্যা থাকে তা রিপেয়ার সাহায্য করে। প্রতিদিন নানা কারণে চুল ড্যামেজ হয়ে যায় যেমন বাইরে ধুলাবালি ময়লা চুলকে নিষ্প্রাণ করে ফেলে। হিয়ার্মাস ব্যবহার করলে এ সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব।

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি আপনার চুলকে সতেজ এবং রুক্ষ চুল মুশরুল করার জন্য উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অবনমন করতে পারেন। অবশ্যই চুলকে সতেজ রাখতে হলেও আপনাকে উপরের কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করলেই আপনার চুল রুক্ষ এবং অনুসরন করলে চুলের রুক্ষ দেয়া থেকে সহজে পরিত্রাণ পেতে পারেন।