চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা | নতুন চুল গজাতে কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন।
চুল মানুষের জন্য আল্লাহ তায়ালার দেওয়া এক বড় নিয়ামত। চুল মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই চুলের যত্ন সবাই নিতে চায়, কেননা চুল বিহীন একজন মানুষকে দেখতে তেমন একটা ভালো লাগে না। সবাই কম বেশি পছন্দ করে তার মাথায় পর্যাপ্ত পরিমাণ চুল থাকলে তাকে স্মার্ট দেখায়। তাই ছেলে মেয়ে উভয়ই চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাগল। শুধু চুল নয় মানব দেহে প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেই অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ।
আজকে আমি চুল নিয়ে কথা বলব বা আলোচনা করব। যারা চুলের যত্নে কি ব্যবহার করবেন কোনটা ব্যবহার করলে ভালো হবে অনেক প্রশ্ন করে থাকেন কিন্তু উত্তর খুঁজে পান না। আমি আজকে আপনাদের মাথায় চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কিভাবে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। দয়া করে আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়বেন তাহলে বুঝতে পারবেন আপনাদের চুলের পরিচর্যা করনীয় কি চলুন আলোচনায় ফিরে যায়ভ
পোষ্টসুচিপত্রঃ
- চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার
- চুলের যত্নে কালোজিরার ব্যবহার
- পেঁয়াজের রস কি চুল গজায়
- পেঁয়াজের রস দিয়ে চুলের যত্ন
চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার।
চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ, আপনি কিভাবে আপনার চুলে মেথি ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল। প্রথমত ৩ টেবিল চামচ মেথি, এক কাপ পানিতে সারা রাতে ভিজিয়ে সকালে পানিটুকু ছেকে নেবেন। এরপরে চুল শ্যাম্পু করার পর এই পানিটুকু দিয়ে চুলগুলোকে খুব সুন্দর ভাবে ধুয়ে ফেলবেন। মেথি এইরূপ ব্যবহার কন্ডিশন করে এবং চুলে মশারাইজিং এর কাজ ব্যাপকভাবে করে থাকে।
আরো পড়ুন,
এই পদ্ধতিতে চুলকে নরম এবং মেনেজেবল করে আরো প্রফুল্ল জাতীয় সিল্ক এবং চকচকে করে তুলতে মেথির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন এই ভিজনমেধের বিচি মিহি করে অথচ চিকন আকারে বেটে নিন। এরপরে ১ টেবিল পরিমাণ নারিকেল তেল বা টক দই মিশিয়ে চুলের সাথে ঘোরা সহ সম্পূর্ণ তুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ফেলুন। তারপরে এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলবেন তাহলে দেখবেন অনেকটাই চুল সিল্ক এবং মুসলিম।
১ টেবিল চামচ মেথি গুড়া সঙ্গে ১ টেবিল চামচ আমলকির পাউডার ভালোভাবে মিশিয়ে ফেলুন। এরপরে যা করতে হবে দুই চামচ পরিমাণ লেবুর রস এর সাথে মেথি এবং আমলকির পাউডার মিশিয়ে ভালোমতো পেস্ট তৈরি করে ফেলবেন। এরপর মিশ্রণটি আপনার চুলে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন এরপর সিম্পল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।
চুলের যত্নে কালোজিরার ব্যবহার।
চুলে কালোজিরার ব্যবহার খুবই গুরুত্ব। কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিতে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করে থাকে এবং চুল পড়া রোধ করে প্রচুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পুতুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যাপকভাবে ভূমিকা রয়েছে আমি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনি চাইলে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল তেলের সাথে এক চা চামচ কালোজিরা তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে নেবেন এরপর ভালোভাবে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন।
এরপরে যা আপনার করণীয় ১০ থেকে ২০ মিনিট আলতো ভাবে চুল গুলোকে মেসেজ করতে থাকুন। মেসেজ করার এক ঘন্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন যাতে আপনার চুল গুলো উসকো খুজখ না থাকে এতে আশা করা যায় ভালো উপকার পাবেন
পেঁয়াজের রস কি চুল গজায়।
আপনারা চলে যাবেন বিশেষ করে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করে থাকেন তা আদৌ পেঁয়াজের রস চুলের জন্য উপকার না ক্ষতি তাকেও কখনো ভেবে দেখেননি। কেননা পেঁয়াজের রস চুলে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতে কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমন কোন তথ্য কোথাও প্রকাশিত হয়নি যে পেঁয়াজের রস চুলের জন্য খুব উপকার বয়ে আনবে।
পেঁয়াজের রস টাকে চুল বাজাতে সাহায্য করে এরকম কোন তথ্য পাওয়া যায়নি যা আজকাল অনেক কান ঘষা হয়ে আসছে। বিশেষ করে পুরুষ ও মহিলাদের প্যাটার্ন হেয়ার লস বা দৈনিক অতিরিক্ত চুল পড়ার ক্ষেত্রে কোন ইতিবাচক প্রভাব ফেলে না এই পিয়াজের রস। তাই বলা যায় পেঁয়াজের রস চুল পড়ার ক্ষেত্রে বা চুল গজানোর ক্ষেত্রে কতটুকু ভূমিকা পালন করবে তা পরীক্ষণীয় নয়।
পেঁয়াজের রস দিয়ে চুলের যত্ন।
পিয়াজের রস দিয়ে চুলের যত্ন কতটুকু উপকার পাবেন তা আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে। আপনার চুল যদি শুষ্ক হয়ে যায় অর্থাৎ এই পরিস্থিতিতে আপনার করণীয় কি। সে ক্ষেত্রে বলবো আপনার চুল যদি সুস্থ হয়ে যায় তাহলে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তা সমাধান করতে পারেন। নিচে আলোচনা করলাম কিভাবে কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনার চুলগুলো থেকে রক্ষা করবেন এবং পেঁয়াজ দিয়ে কিভাবে আপনার চুলগুলো যত্ন নিবেন।
চুলকে শুষ্ক বা উসকো অবস্থা থেকে রক্ষার জন্য যেসব পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে তা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
- প্রথমে যে পদক্ষেপটি গ্রহণ করতে হবে এক কাপ পানি বা জল এর সহিত কিছু পিঁয়াজের টুকরা ভালোভাবে পুঁজি করে দশ মিনিট সেদ্ধ করে নেবেন।
- সেদ্ধ অবস্থায় পেয়াজগুলো আপনি ঠান্ডা হয়ে গেলে তা পানি থেকে পেঁয়াজগুলোকে সরিয়ে ফেলুন।
- এরপরে আপনি ওই পানিতে কিছু গোলমরিচ দিয়ে নেবেন তবে উল্লেখ্য থাকে যে পরিমাণ মতো গোল মরিচ নিতে হবে যা ক্ষতি প্রভাব না ফেলে।
- এরপর পেঁয়াজে মিশ্রিত জল পরবর্তী সংরক্ষণের জন্য বোতলে ভরে ব্যবহার করতে পারেন।
- চুলে লাগানোর পর প্রায় 2 ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলবেন দেখবেনা
পরিশেষে বলা যায় যে চুলে যত্নে মেথি কালোজিরা এবং পেঁয়াজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ব। তাই আপনি চাইলে উপরোক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনার চুলকে কিভাবে শুষ্কতা থেকে এবং কালোজিরা ও মেথি ব্যবহার করে চুলকে রেহাই করবেন বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন। সে বিষয়ে অবশ্যই একটি সুন্দর ধারণা পেয়ে গেছেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url