পাকা পেঁপে খেলে কি হয় । পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

পেপে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বহু গুণ উপকারী ফল। পেপেতে, সাধারণত থাকে ফোলেট, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, প্যান্টোথেনিক এসিডের মত উপকারী বিভিন্ন উপাদান। আপনি যদি নিয়মিত পাকা পেঁপে খেতে পারেন তাহলে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম ও কিছু উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীলে মিলে যাবে।

আমরা সাধারণত শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে যেসব ফল সেসব ফলগুলোই শরীরের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে থাকে। সেই তুলনায় পাকা পেঁপে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পেঁপে কাঁচা যেমন সবজি বা রান্না কাজে ব্যবহার করে থাকি। তাছাড়া কাঁচা পেঁপে বিভিন্ন উপকরণ তৈরিতে আমরা সাধারণত ব্যবহার করে থাকি। পাকা পেঁপে খেটে যেমন খুব সুস্বাদু তেমনি বিভিন্ন ধরনের এনজাইম ও খাবার হজমের সহায়তা করে থাকে। বিশেষ করে প্রচুর পানি ও দ্রবণীয় ফাইবার পাকা পেঁপে শূন্যতা দূর করে থাকে। তাছাড়া যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত পাকা অথবা কাঁচা পেঁপে খেতে পারলে তাদের ক্ষেত্রে খুব উপকার আসবে।

পাকা পেঁপের পুষ্টিগুণ আমি পূর্বেই হয়তো ভূমিকাতেই আলোচনা করেছি এরপরেও আরো বেশ কিছু উপকার আসে সেই রকম নাম গুলো উল্লেখ করলাম। পাকা পেঁপে হজম শক্তি বাড়ার সাথে সাথে যাদের মেদ বা ওজন বেশি তাদের ক্ষেত্রেও অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাকৃতিকভাবে আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য পাকা পেঁপে আমরা বেসে নিতে পারি। এতে প্রচুর পরিমাণ কলেস্টরেল কমিয়ে থাকে।

সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে একটি ফল হল টাকা পেঁপে বা কাঁচা পেঁপে। খালি পেটে পেঁপে খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে এবং খিদে আর পাবে না। পেটে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার পটাশিয়াম ও আন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা খুব হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। খালি পেটে পেটে খাওয়া আপনার হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। 

পুষ্টিগুণের কারণে সবাই এই ফলটি অধিক পছন্দ করে থাকেন। তাই সারা বছর বাজারে পাতে পাওয়া যায়। তবে এখন থেকে কিছু বছর আগে পেঁপের কদর তেমন একটা ছিল না বা চাহিদা হতে অনেকটা ছিল না। মনে করে পড়ে থাকত কিন্তু এখনই এমন অবস্থা হয়েছে যে পেটের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে গেছে। বিভিন্ন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদ, সকালের রোজ খাবার তালিকায় টাকা পেঁপে রাখার দিন। 

কারণ প্রতিদিন এক বাটি পাকা পেঁপে দিয়ে সকালের নাস্তা করলে নানা শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে কেপিতে রয়েছে ভিটামিন এবিসি এবং কে। তাছাড়া পেপে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জাতীয় প্রোটিন। তাই বলা যায় যে পাকা পেঁপে খেলে হজমের সমস্যা কমে যায়।

আমরা সচরাচর জানি পেঁপে একটি উপকারী ফল। পেঁপে উপকারী ফল হলেও অনেক সময় বা অনেকটা ক্ষেত্রে ই খাওয়া নিষিদ্ধ। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে তাকা থেকে খাওয়া মোটেও উচিত নয়। কাঁচা হোক বাধা পাকা বা পাকা হোক গর্ভ অবস্থায় এসব ফল না খাওয়াটাই উচিত। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পেপাইন থাকে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলির মধ্যে একটি হলো প্রাথমিক প্রসবের কারণ হতে পারে। 

এর পিছনের কারণ হলো পেপার দেখতে অন্য একটি অনুর সাথে খুব মিলে যা এই ভূমিকাটি সম্পাদন করে। যার জন্য আপনার শারীর িক বা শরীর প্যাপিং থেকে দূরে থাকে। ল্যাটেক্র একটি সাধারণ এলার্জি।, সাধারণ এলার্জির কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছেন নাক দিয়ে পানি পড়া মুখের জায়গায় ফলাফলা ভাব এবং ত্বকে ফুসকুড়ি উঠানো।, যাইহোক কখনো কখনো এলার্জির প্রতিক্রিয়া শ্বাসকষ্ট এবং এনাফিলাক্সিসের। 

কারণ হতে পারে। এ ধরনের ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসার মনোযোগ হওয়া উচিত। কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে যেমন সবুজ পেঁপে শালা বা পেঁপের বীজ যুক্ত পেঁপের সুমধুর রয়েছে এমন খাবার থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।

এই পর্যায়ে পাকা পেঁপে খাওয়ার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীতা কি তা হয়তো উপরে পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। বিশেষ করে মহিলাদের পিরিয়ড বা মাসিকের সময় পেঁপে খাওয়া কি কি উপকারিতা রয়েছে। যেমন বেশি তে রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে পারে। তাছাড়াও পেঁপের ক্যারোটিন উপাদান আপনাকে ব্যথা বা ক্রাম থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। হজমের উপশম করে এবং পেঁপে সেই সমস্ত মহিলাদের সাহায্য করতে পারে যারা গুরুতর খিচুনি এবং অনিয়মিত ঋতুস্রাব ভোগেন।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে পাকা পেঁপেঁটে কিছু পরিমাণ সায়নো জেনিক গ্লাসোসাইড পাওয়া যায়। এই আমিন ও এসিড এর পচনতন্ত্রের হাইড্রোজেন সায়ানাইড তৈরি করতে পারে। অতিরক্তকে পাকা পেঁপে খেলে অনিয়মিত হৃদয় স্পন্দনের রোগের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি এলার্জিতে ভোগেন তাহলে এলার্জি যুক্ত ব্যক্তি যারা লেক্টিস এলার্জিতে ভুগছেন তাদেরও পেঁপে থেকে এলার্জি হতে পারে।