বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় | বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির খাবার।
বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার এবং ওজন বৃদ্ধি করার জন্য যেসব মায়েরা হতাশাগ্রস্থ ভোগেন তাদের উদ্দেশ্যে আমি আজকের এই পোস্টটি লিখলাম। আপনাদের বাচ্চাদের ওজন এবং স্বাস্থ্য যদি খুবই খারাপ হয় তাহলে আপনারা কয়েকটি পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনাদের বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ভালো করে দিতে পারেন। নবজাতক বাচ্চা খুব কমল এবং কাদামাটির মতো হয়ে থাকে।
সম্মানিত মা ও বোনেরা স্বাস্থ্যই মূলত সম্পদ। হোক সেটি বড় অথবা ছোটদের। আমি আজকে ছোট বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নিয়ে এবং তাদের দৈহিক ওজন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। ছোট বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য যেসব করণীয় আপনারা তা আমার এই পোস্টটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে জেনে নিতে পারবেন। চলুন আমি আর কথা না বাড়িয়ে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য এবং ওজন বৃদ্ধি করার জন্য যা করনি তা আলোচনা মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
- বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির চার্ট।
- বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার দোয়া।
- গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির উপায়।
- বাচ্চাদের মোটা হওয়ার ঔষধ।
- বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির খাবার।
বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির চার্টঃ
প্রতিটি বাবা মায়ের মতই আপনারও শিশুর আদর্শ ওজন সম্পর্ক চিন্তিত ও দ্বন্দ্বে থাকা স্বাভাবিক। প্রথমবার সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে মা ও বাবার জীবন ভাবেন শিশুর ওজন স্বাভাবিক তালিকার মধ্যে আছে কিনা। শিশুর বুদ্ধির সাথে সাথে তার সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য ও বিকাশের একটি নির্দেশক হয়ে ওঠে নবজাতক শিশুর ওজন। অবশ্যই এক বছর ধরে শিশুর ওজনের নির্দিষ্ট বিকাশ ও পরিবর্তন দেখা যায়।
আরো পড়ুন,
শিশুর বৃদ্ধির বা বেড়ে ওঠা বলতে মূলত শারীরিক মানুষের আর সামাজিক বিকাশকে বোঝায়। একেক মানুষ যেমন একেক রকম তেমনি একেক শিশুর বেড়ে ওঠার হারও এক এক রকম। তবে শারীরিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু দৃশ্যমান পরিমাপ রয়েছে, যা দ্বারা সঠিক বৃদ্ধি হচ্ছে কিনা তা বোঝা যায়।
বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার দোয়াঃ
মা-বাবার কাছে সন্তান হল হৃদয়ের স্পন্দন। পৃথিবীতে সন্তান যখন প্রথম চোখ মেলে, তখন মা বাবার খুশির অনন্ত থাকে না। এর সঙ্গে তার সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে মা-বাবার বাড়তিচিন্ত্য যুক্ত হয়ে যায়। শিশু সন্তানের সুস্থতা ও অসুস্থতার, ভালো-মন্দ ও উন্নতি এবং অবনতির বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয় সব সময়। আল্লাহ তাআলা প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছে সন্তান একটি বড় নেয়ামত।
আর এই নিয়াম ভালো রাখার জন্য বাবা-মায়ের দেওয়া কয়েকটি দোয়া ও শিখিয়ে দিয়েছেন। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান এবং হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর জন্য আল্লাহর নিকট দুয়ার মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। অপরদিকে হযরত ইসমাইল আলাইহিস সাল্লাম ও ইসাহাকের জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
দোয়ার বাংলা উচ্চারণ দেওয়া হলঃ
বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়তানিন, ওয়া হাম্মাতিন, ওয়ামিন কুল্লি আই নিন লাম্মাতিন।
অর্থ। আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার দ্বারা প্রত্যেক শয়তান বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টি অনিষ্ট থেকে আশ্রয় কামনা করছি।( বুখারী, হাদিস 3371)
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির উপায়ঃ
গর্ভবতী মহিলারা দেখতে পান যে তারা তাদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মাসিক সময় বেশিরভাগ ওজন বাড়ে। প্রথম প্রবাসী কে মহিলারা শরীরব্য অবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে এবং ওজন অগত্য দেখায় না।
একবার শিশুর বিকাশ বৃদ্ধি শুরু হলে, সে সময় একজন মহিলার শরীরের মোট ওজনের প্রায় ২৫ থেকে ২৬ ভাগ বৃদ্ধি পেতে পারে। যেহেতু আপনার শরীরেও প্রসবের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন এবং ওজন বৃদ্ধির সাধারণত স্তনের মত শরীরের অংশ টাই ঘটে থাকে, যা শিশু জন্মের জন্য পুষ্টি সঞ্চয় শুরু করতে থাকে।
একজন গর্ভবতী মায়ের নিজের সুস্থতার পাশাপাশি একটা শিশু সুস্থ জন্ম দেওয়ার জন্য গর্ভকালীন সময় শুরু থেকে সুষম খাদ্য অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। কারণ প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত শিশুর ওজন নেওয়ার হার কম থাকলেও এ সময়টাতে শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে। তার সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সবকিছুই সৃষ্টি হয় শুরুর দিকেই এবং ছয় মাসের পর থেকে শিশুর ওজন নেওয়ার হাত ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
সাধারণত পাঁচ মাসের আলট্রাসনোগ্রাফিতে শিশুর ওজন যদি ৩০০ গ্রাম থেকে ৩৬০ গ্রাম হয় এবং সাত মাসের শিশুর ওজন এক কেজি বা তারও বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে বাচ্চার ভালোমতো বেড়ে উঠেছে। কারণ শেষ তিন মাসের বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি বেশি হয়।
নিচে কিছু বাঁচার বৃদ্ধি হওয়ার জন্য যেসব খাবারগুলো রয়েছে সেসব খাবারের নাম উল্লেখ করা হলো।
প্রোটিন বা সরকার জাতীয় খাবার। হাই প্রোটিন ও শর্করা জাতীয় খাবার গর্ভের সন্তানের জন্য ভীষণ উপকারী। আপনি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় মাংস ডিম বা ডাল প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে সেসব খবরগুলো খেতে পারেন।
ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার। ক্যালসিয়াম শুধু হাড় এবং দাঁতের গঠনে সহায়ক ভুমিকা পালন করে তাই নয়। ক্যালসিয়াম এর অভাবে গর্ভে শিশুর সময়ে আগেই এবং কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাই গর্ভবতী মাকে অন্তত দুই গ্লাস দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার বা পানীয় চিজ পায়েস সেমাইসহ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় এমন খাবার খেতে দিতে হবে। অর্থাৎ প্রত্যাহার খাবার নিয়মে কমলার জুস, পালং শাক, ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন
বাচ্চাদের মোটা হওয়ার ঔষধঃ
বাচ্চাদের নানারকম জাঙ্ক ফুড ভাজাভুজি চকলেট ইত্যাদি। কিন্তু এইসব খাবারের প্রচুর ক্যালরি থাকলেও পুষ্টিগুণ প্রায়ই নেই বললেই চলে। বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর জন্য তাদের যথার্থ পোস্টটি দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। আপনি বাচ্চাদের মোটা হওয়ার জন্য সাধারণত কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে পারেন।
অথবা গর্বভাবে আপনি আপনার সন্তানকে কিছু পুষ্টি উপাদানের মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন। যেমন ডিম, ডায়েরি প্রোডাক্ট, মাংস, dry fruits, পিনাট বাটার, কলা ইত্যাদি খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে বাচ্চাকে ওজন বৃদ্ধি এবং মোটা কারনে যেতে পারে।
বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির খাবারঃ
কম থাকে তাহলে ভবিষ্যতে দেখে কখনো অনেকটাই হতাশ হয়ে থাকে। তাই প্রথমত আপনার বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির জন্য যেসব খাবারগুলো প্রয়োজন তার সংক্ষিপ্ত আকারে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
- দুধ
- কলা
- মিষ্টি আলু
- ডাল বা কলাই
- ঘি
- দুগ্ধ জাত পদার্থ
- ডিম
- ইত্যাদি
সম্মানিত মা ও বোনেরা, আপনার বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার যেসব উপায়গুলো রয়েছে আমি সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য কি কি করনীয় আপনারা আমার এই পোস্টটি পড়ে হয়তো বুঝতে পেরেছেন।
এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি যদি পড়ে থাকেন তাহলে আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য কি করনীয় তা আপনি আমার সাথে সহমত পোষণ করবেন। সে প্রত্যাশাই অন্য একটি পোস্টের অপেক্ষায় থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url