শিশুর কানপোড়া রোগ | শিশুর কাম পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা।
শিশুদের সাধারণত কান পোড়া রোগ কমই হয়। কানের ছিদ্রপথে কোন সংক্রমণ হলে তাকে চিকিৎসা বা সাধারণত কানের ভিতর জল জমে এই সংক্রমণ হয় বলে এ রোগ কে কান পোড়া বা কান রোগ বলে্। আমরা আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো শিশুদের কান পোড়া রোগে জন্য কি করতে হবে এবং করনীয় কি বিস্তারিত জেনে নিব।
সম্মানিত ভিউয়ার্স সাধারণত শিশুদের কান পাকা বা কান পোড়া রোগটি কিছু ত্রুটি মূলক কারণে হয়ে থাকে। যা কিনা আমরা প্রাথমিকভাবে বলতে পারি গোসলের সময় কানে কোনরকম পানি প্রবেশ করলে সেই পানি দ্বারা সংক্রমিত হয়ে কানে পচন প্রক্রিয়া বা পাকা রোগটি হয়ে থাকে।
পোষ্ট সুচিপত্রঃ
- কানে দুধ গেলে করণীয়
- শিশুর কান পাকলে করণীয়
- বাচ্চাদের কানের ড্রপ
- শিশুদের কান চুলকানো
শিশুদের কান পোড়া এবং কান পাকা রোগের যে ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে তা কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে চিকিৎসা করা সম্ভব। আজকে আমরা জেনে নিব শিশুদের কান পোড়া বা কান পাকা রোগের যেসব ঘরোয়া পদক্ষেপগুলো আছে সেইসব পদক্ষেপগুলো কি কি। চলুন আর এদিকে সময় নষ্ট না করে আমরা মূল আলোচনার দিকে ফিরে যাই।
কানে দুধ গেলে করণীয়।
শিশুর কানপড়া বা কান পোকা রোগের ক্ষেত্রে যদি সাধারণত কোন তরল পদার্থ কানে প্রবেশ করে যেমন দুধ। আপনার ছেলে শোভন শক্তি বাহ্যিক কারণে কারণ হতে পারে যেমন দুধ তার কানের প্রবেশ করতে পারে সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসা বা উন্নতির বিকল্প থাকতে পারে। সর্বোত্তম পদক্ষেপ নিলেই একজন অডিও লজিস্ট বা ইএনটি যেমন ( নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ) দ্বারা মূল্যায়ন করান যিনি তার শ্রবণশক্তি হাটসের কারণ এবং মাত্রা নির্ধারণ করতে পারেন।
আরো পড়ুন,
চিকিৎসার বিকল্পগুলির মধ্যে ওষুধ, অস্ত্র প্রচার,, শ্রবণ যন্ত্র বা অন্যান্য সহায়ক ডিভাইস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। যাই হোক এই বিষয়গুলির কার্যকারিতা আপনার ছেলের সর্বশক্তি নির্দিষ্ট প্রকৃতি ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার ছেলেকে চিকিৎসা।
শিশুর কান পাকলে করণীয়।
শিশুদের দীর্ঘদিন যাবত কান পাকা থাকলে কানের পর্দায় ছিদ্র হয়ে কুচ বাহিরে আসতে শুরু করে এ ক্ষেত্রে পর্দা ছিদ্র হওয়ার ছাড়া অনেক সময় বহি করলে পড়তে পারে। কানের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ নিবিড়। তাই কানে ইনফেকশন হলে ব্রেনেও সমস্যা হতে পারে সেই দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। ধীরে ধীরে শ্রবণ শক্তি কমে যেতে পারে।
এভাবে বেশি দিন চলতে থাকলে কান এক পর্যায়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাছাড়া কান থেকে ব্রেন ও আক্রান্ত হতে পারে। বেশি সমস্যা হলে জীবন নাসির ও সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে যা কিনা একটি শিশুর জন্য ভয়ানক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- এ পর্যায়ে কানপাকা থেকে বাঁচতে যে সব করণীয় রয়েছে তা সংক্ষিপ্ত তুলে ধরার চেষ্টা করা হলোঃ
- শিশুর কান পাকা প্রতিরোধে প্রথম অবস্থায় আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে কেননা শিশুকে না শুয়ে কোলে নিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে।
- যদি আপনার সম্ভব হয় তাহলে শিশুকে ফিডার ছাড়া দুধ খাওয়ানো।
- বাচ্চার কোন প্রকার সর্দি ঠান্ডা জ্বর হলেই সাথে সাথে ভালো একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা।
- যদি অবশ্যই শিশুর কানে সজরে আঘাত লাগে সেই ক্ষেত্রে কান খোঁচানো থেকে বিরত থাকবেন, এ পর্যায়ে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
- আপনার শিশুর গোসলের সময় অনেকটাই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কেননা পুকুর নদী নালাখাল বিল ইত্যাদি জায়গায় গোসল করলে তা পানি বা তরল পদার্থ ঢুকে কানের পছন্দ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে সেই দিকটা খেয়াল করতে হবে।
- শিশুদের কান ফোড়া রোগের করণীয় মধ্যে সর্বক্ষেত্রই সতর্কতা থাকতে হবে কেননা চিকিৎসা না করলে সঠিকভাবে সঠিক চিকিৎসায় শিশুর কান ভালো হতে পারে। যদি সময় মতো চিকিৎসা না করা হয়
- অনেক সময় জীবন নছের সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই দ্রুত সময় চিকিৎসা গ্রহণ করাটাই একটি বাচ্চার জন্য বা একটি শিশুর কান পড়া বা পাকা এর জন্য কোন ভূমিকা পালন করবে।
বাচ্চাদের কানের ড্রপ।
শিশুদের কানের ড্রপ ব্যবহারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কেননা সব বয়সের শিশুদের ড্রপ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ বা করতে নেই। সাধারণত বাচ্চাদের কানপড়া বা পাকা রোগের জন্য আপনি ভালো কোন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কানের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। যদি কোন চিকিৎসক অর্থাৎ নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা সাজেস্ট হয়ে থাকে তাহলে আপনি সে ক্ষেত্রে শিশুদের কানপড়া রোগের জন্য দ্রব্য ব্যবহার করতে পারেন।কেননা শিশুদের ক্ষেত্রে ড্রপ ব্যবহার করাটাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির মধ্যে পড়ে যে আমরা জানি চোখের ড্রপ কানের ড্রপ খুব সেনসিটিভ একটি বিষয়। এইসব ড্রপগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে গুরুতর প্রাণঘাতী বিক্রিয়া বা সৃষ্টি হতে পারে।
শিশুদের কান চুলকানো।
শিশুদের কান চুলকানো এলার্জি রাইনাইটিস একটা দীর্ঘমেয়াদী এলার্জিজনিত রোগ। না শিকার অভ্যন্তরে ঝিল্লি বা মিউকাস পর্দার প্রদাহের কারণে এই চুলকানি টা হয়ে থাকে্ বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় বা জন্মের প্রথম বছরে মা যদি ধূমপান করেন তাহলে সন্তানের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সিজারিয়ান বা ডেলিভারি অ্যারোজেটি ক পরিবেশ খাবার ও জীবাণু এ রোগে ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
এলার্জি রাইনাইটিস ভোগে এমন শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক কে আবার এলার্জিজনিত অন্যান্য রোগ যেমন সাইনোসাইটিস,, কান পাকা, টনসিল এই জাতীয় সংক্রমণ একজিমা ভোগে। দীর্ঘমেয়াদী এলার্জিক রোগে আক্রান্ত শিশুদের সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিনের বেশি কিংবা পর পর দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই রোগের উপসর্গ উপলব্ধ হতে পারে। তবে মৃদু অ্যালার্জির আক্রান্ত শিশু স্বাভাবিক ঘুমিয়ে থাকতে পারে লেখাপড়ায় তেমন একটা সমস্যা হয় না।
শেষ কথাঃ আপনার শিশুর কানপড়া বা কান পাকার জন্য যেসব উপায়গুলো আলোচনা করা হয়েছে তা আপনি হয়তো পোস্টটি পড়ে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। তাছাড়া আপনি ঘরোয়া উপায়ও কিভাবে আপনার শিশুর কানপড়া পাকা। রোগের চিকিৎসা করবেন সে সম্পর্কে অবগত হয়েছেন নিশ্চয় আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন অন্য একটি সমস্যার সমাধানের জন্য।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url