পায়ের তালু গরম হয় কেন | হাত পা জ্বালা পোড়ার কারন ও প্রতিকার ।
আসসালামুয়ালিকুম, আজকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে খুবই একটি কমন বিষয়। সাধারণত যেই রোগটি নিয়ে আমি কথা বলব বা আপনাদের সামনে লিখে প্রকাশ করব তা হচ্ছে পায়ের তালু গরম হয়ে যায় এবং অধিক মাত্রায় জ্বালাপোড়া করে। এ অবস্থায় আপনার করণীয় কি? কি পদক্ষেপ নিলে এই সমস্যা থেকে আপনি পরিত্রাণ পাবেন তা আমি এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সম্মানিত মহোদয়, প্রথমত জানতে হবে রোগী পুরুষ না নারী এবং তার বয়স কত। রোগের শরীরে আর কোন সমস্যা আছে কিনা? তা ভালো করে চিকিৎসা নিতে হবে। তবে পায়ের তলা বা কালো বা হাতের তালু যদি জ্বালাপোড়া করে তাহলে হোমিওপ্যাথিক এই সমস্যার সমাধান একেবারে ডাল ভাতের মত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় অল্প কিছুদিনের চিকিৎসায় ঠিক হয়ে যায় হোমিওপ্যাথিক উপায়।
পোস্ট সুচিপত্রঃ
- হাত ও পায়ের তালু গরম হওয়ার কারন কি
- হাত পা জলার ঔষধ কি
- পায়ের তলা জ্বালা করলে কি করা উচিত
- হাত পা জ্বালা পোড়ার কারন ও প্রতিকার
হাত ও পায়ের তালু গরম হওয়ার কারন কি?
আপনি যদি আপনার হাত এবং পা এর তালু গরম হয় বা জ্বালাপোড়া করে এর কারণটা প্রথমত আপনাকে জানতে হবে। এক্ষেত্রে আমি বলব ঘুমানোর আগে আপনার হাতের তালু এবং আপনার পায়ের তালু গরম অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। কারণ শরীর স্বাভাবিকভাবে সারাদিন এবং রাতের তাপ বিতরণ করে। দিনের বেলায়, রক্ত প্রবাহ শরীরের মূল দিকে পরিচালিত হয়, যা শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে এবং হাত ও পা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন,
যাই হোক, আপনি যখন, শিথিল হন এবং ঘুমের জন্য প্রস্তুত হন সে অবস্থায় রক্ত প্রবাহ হাতে এবং পায়ের অংশসহ অন্যান্য প্রান্তর দিকে শুরুতেই সরে যেতে প্রস্তুত হয়।, অতিরিক্তভাবে শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় হাতের তালুতে ঘাম গ্রন্থি ঘনত্ব বেশি থাকে বিধায় আপনার উষ্ণতার অনুভূতিতেও অবদান রাখতে পারে। এটি শরীরের স্বাভাবিক ঘুম জাগরণ চক্রে একটি স্বাভাবিক অংশ এবং উদ্যোগের কারণ হওয়া উচিত নয়।
আরেকটু বিস্তারিত বলতে গেলে পালমার হাইপার হাইড্রোসিসের সঠিক কারণ এখনও অজানা, তবে এটি সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। এটি জেনেটিক্স এর সাথে সম্পর্কিত বলেও মনে করা হয়। কারণ এটি পরিবারে, অত্যাধিক ঘাবের অবদান রাখতে পারে এবং অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে চাপ, উদ্বেগ, এবং নির্দিষ্ট কিছু চিকিৎসা ও শর্ত অন্তর্ভুক্ত থাকে।
হাত পা জলার ঔষধ কিসাধারণত ভিটামিনের অভাবের কারণে এ সকল সমস্যার গুলো দেখা দেয়। ভিটামিনের অভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য ও প্রভাবিত হতে পারে যা সহজে হাত পা জ্বালা পোড়ার মধ্যে লক্ষণীয় দেখা দিতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিটামিনের অভাবের কারণে এ সকল সমস্যা গুলো দেখা দেয় ।
ভিটামিন বি একটি বহা ওষুধ।
- এই রোগের মূল ওষুধই হচ্ছে ভিটামিন ডি। ভিটামিন বি এর অভাবে ভেরি ভেরি রোগ হতে পারে এবং ভিটামিন বি এর অভাব থাকলে হাত-পা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে।
- ভিটামিন সি সাধারণত আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন সি এর অভাবে ত্বকের রক্ষায়। সুস্থতার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আর এটি জ্বালাপড়াও লক্ষণ উৎপন্ন হতে পারে। ভিটামিন সি এর অভাবে মাথা ঝিমঝিম মুখের কোনায় ফোটা ওঠা,, চোখে জ্বালা জিভের প্রদাহ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।ভিটামিন বি১২ এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে অনেক ধরনের রোগের লক্ষণ সৃষ্টি হতে পারে। এবং ত্বকের সুস্থ অবস্থায় করতে পারে।
- তাছাড়া হাত-পা জ্বালাপোড়ার কারণে অনেক আরও পিছনের বেশ কিছু কারণ হতে পারে যার মধ্যে ভিটামিন অভাবও একটি বিশাল সমস্যা।
পায়ের তলা জ্বালা করলে কি করা উচিত।
আপনার পায়ের তলা জ্বালাপোড়া করলে সাধারণত পায়ের আচ সাপোর্ট, ও হিল প্যাড ব্যবহারে উপসর্গ লাঘব হতে পারে। পায়ের পিসির ব্যায়াম ও ঠান্ডা পানির অর্থাৎ বরফ না শেখ উপসর্গ নিরাময় অনেক উপকারী। আপনার পায়ের এবং হাতের জ্বালাপোড়া রোগ নিরাময়ের জন্য রোগ প্রতিরোধের পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন সেবন করতে হবে।
চিকিৎসায় ভিটামিন ইঞ্জেকশন পুশ করতে হবে। মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। হাত এবং পায়ের তলা জ্বালাত করলে আপনার বিশেষ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে তা নিচে আমি আলোচনা করলাম।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ-এটি এমন একটি ব্যবস্থা অ্যাপল সিডার ভিনেগার জ্বলন্ত পায়ের সিনড্রোম থেকে মুক্তি দেয়। তবে কয়েক শতাব্দী ধরে পায়ের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা দূর করতে আপেল ভিনেগার ব্যবহার করা হচ্ছে।
পা এবং হাতের তলায় ঠান্ডা জল দিনঃ- আপনার পায়ে এবং হাতের তলা অতিমাত্রায় জলন্ত হলে আপনাকে পা এবং হাতের জালানো হতো ঠান্ডা জল অতিমাত্রায় দিতে থাকবেন। এতে স্বস্তির মিলবে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এই পত্রিকাটি খুললে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
কারণ এই জলন্ত ব্যাথা রাত্রে বাড়তে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে যদি কোন ব্যক্তি ঘুমের আগে ঠান্ডা জল কিছুক্ষণ অপশন লবণ রাখেন এবং পা জ্বলে কিছুক্ষণ রাখেন তবে ব্যথা এবং জ্বালা অনেকটাই হাস্য পেতে পারে।
হাত পা জ্বালা পোড়ার কারন ও প্রতিকার।
হাত এবং পায়ে জ্বালা পোড়া প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে কিছু করণীয় পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। জীবন ভিটামিন বি এর উপাদান যেমন থায়ামিন বি ১, পাইরোডো ক্রিম বি ৬, সায়ানোকোবালামিন বি ১২, নিকটনিক এসিড ও রাইবক্লাটিনের অভাবে পাওয়া জালা এবং ব্যথা করে।
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ হাত পা জ্বালার কারণ ও প্রতিকার বিভিন্নভাবে আখ্যায়িত করেছেন তবে সঠিক কারণ নির্ণয় করা এক্ষেত্রে চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস জেনে প্রয়োজনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মাধ্যমে রূপ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
রসুন পানি দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণঃ
অনেক স্বাস্থ্যগুণ সমৃদ্ধ রসুন আমাদের হাত-পায়ের জ্বালাপোড়ার ভাব কমাতে রসূল বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এজন্য রসুন কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে হালকা কুসুম গরম করে সেই পানি হাত-পা বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এতে হাত-পায়ে যারা অনেকটাই ভাব কমে যাবে।
শেষ কথাঃ- হাত পা তালু জ্বালাপোড়া কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে। সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং তার কারণ ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি আপনি হয়তো আমারে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ পড়ে থাকলে এ রোগ থেকে মুক্তির পরিত্রাণ পেতে পারেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url