জন্মের সময় শিশুর ওজন কত হওয়া উচিত | বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা।
আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত মা ও বোনেরা আপনারা যারা সন্তান সম্ভাবনা মা এবং বোন আছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমারে কন্টেন বা আর্টিকেলটি লেখা। আপনারা যারা সন্তান জন্ম দিবেন বা হয়তো ইতিমধ্যে দিয়েছেন। এখন শুধু চিন্তায় একটাই আপনার সন্তান যাতে ভালোভাবে থাক বাঁচতে পারে ভালো থাকতে পারে হয়তো সেটাই ভাবছেন।
সম্মানিত মা ও বোনেরা, হ্যাঁ আপনার ভাবাটা সঠিক কারণ কোন মা বা বোনই চাই না যে তার সন্তানটি জন্ম নেওয়ার পর রোগাক্রান্ত অসুস্থ হয়ে জন্ম নেয় বা বেঁচে থাকুক। আজকে আমার কনটেন্ট মূলত তাদের উদ্দেশ্যে লেখা জন্মের সময় জন্মের সময় আপনার বাচ্চার ওজন কম এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনার করণীয় কি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে বুঝতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্র ঃ
- নবজাতকের ওজন বৃদ্ধির উপায়
- জন্মের সময় শিশুর ওজন কত হওয়া উচিত
- জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয়
- বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা
- বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়
নবজাতকের ওজন বৃদ্ধির উপায়।
যেকোন ব্যক্তির স্বাস্থ্য বোঝার জন্য সবচেয়ে সাধারণ উপায় হল তার দৈহিক বৃদ্ধি। যখন কোন নবজাতক শিশু বড় হয় এটি আমাদের মধ্যে সান্তনা যোগায়। ওজন বৃদ্ধির উচ্চতার সাথে নবজাতক শিশুর বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান উৎস বা সূচক হয়ে ওঠে। সেই ক্ষেত্রে প্রত্যেক মা-বাবার দায়িত্ব হিসেবে আমাদের পক্ষে শিশুর ওজন বৃদ্ধিকে ঘনিষ্ট ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং বিশ্লেষণ ও গুরুত্ব দেওয়া।
আরো পড়ুন,
নবজাতকের ওজন বৃদ্ধির সবচেয়ে উত্তম পরিপন্থা হচ্ছে, বুকের দুধ উৎপাদন পর্যবেক্ষণ করা। কিছু মায়া সব সময় জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন কিভাবে শুদ্ধ যা সন্তানের ওজন শুধু বুকের দুধ দিয়ে বাড়ানো যায়। এই ক্ষেত্রে বুকের দুধ দিয়ে নবজাতকের ওজন বাড়ানো একমাত্র উপায় হল এর স্টেশন সরবরাহ নিশ্চিত করা। মায়েদের উচিত তারা প্রত্যেকেই বুকের দুধের উৎপাদন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এবং স্তন্যপান করানোর জন্য পুষ্টিকার খাবারের কোন বিকল্প নেই।
জন্মের সময় শিশুর ওজন কত হওয়া উচিত।
জন্মের সময় একজন নবজাতকের প্রকৃত স্বাস্থ্য বা প্রকৃত ঘর ওজন কত তা এক এক জন চিকিৎসক এককভাবে পরামর্শ করেছেন। সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে একটি নবজাতকের জন্মের সময় ৩ থেকে ৪ কেজি হলে খুব ভালো হয়। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি নবজাতকের জন্মের গড় ওজন হল ৭ থেকে ৭.৫ পাউন্ড এর কাছাকাছি বা ৩.২ থেকে ৩.৪ কেজি। তাছাড়া একটি কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করার শিশুর পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যেমন সময় মত বা সময়ের জন্মের আগে জন্ম হলে শিশুর আকার ছোট হয়ে যায়। আবার যে সব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের কিছু পরে শিশু জন্ম হয় তারা আকারে বড় হতে পারে
জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয়।
জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে অনেকেই মা আছেন অনেক দুশ্চিন্তায় করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে জন্মের সময় আপনার শিশুর যদি ওজন কম হয় তাহলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, কেননা আজকাল অনেক চিকিৎসার সমাধানের মাধ্যমে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনের মাধ্যমে শিশুর ওজন বাড়ি নেওয়া সম্ভব।
আপনার যদি বাচ্চার বা নবজাতকের ওজন কম নিয়ে জন্মানো বা স্বাভাবিক সময়ের পূর্বে জন্মানো নবজাতকের বিশেষ যত্ন নিয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন যে একটি পর্যায়ে কম ওজন নিয়ে বাচ্চাটি অনেক ওজন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রেই পিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রত্যেক মা-বাবার দায়িত্ব। যেমন দুধ টেনে খেতে না পারলে মাই দুধ চেপে বের করে খাওয়াতে হবে। মায়ের বুকে রেখে বাচ্চা কি গরম আবহাওয়া রাখতে হবে। নবজাতকের তর্ক চোখের সঠিক যত্ন এর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা।
নবজাতক জন্মের পর তার কতটুকু ওজন হবে আমি বিস্তারিত আলোচনার না করে একটি চার্ট আকারে প্রদান করার চেষ্টা করেছি অবশ্যই আপনার রাশি চারটি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়।
সাধারণত জন্মের সময় একটি সুস্থ বাচ্চার ওজন ২.৫ থেকে ৪ কেজি মধ্যে হয়ে থাকে। সাধারণত আমরা দুই থেকে চার কেজির কম হলেই অনেকেই অনেক খারাপ মন্তব্য করে থাকি। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে বা অনেক ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকেন একটি সুস্থ বাচ্চার বা নবজাতকের জন্মের সময়।
মায়ের প্রসবের রাস্তা যথেষ্ট প্রশস্ত হলে এবং কোন জটিলতা না থাকলে ওই ওজনের শিশুর নরমাল ডেলিভারি করা যায়। কিন্তু 4 কেজির বেশি ওজনের শিশু আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বড় হয়ে থাকে। অনেক চিকিৎসকগণ ৪ কেজির ওপরের বাচ্চাকে অস্বাভাবিক ডেলিভারি বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url