শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি | অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ।
জীবদেহে যে প্রক্রিয়ায় খাদ্য পরিপাক ও পরিশোধিত হয়ে দেহের কোষে কোষে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেহের বৃদ্ধি সাধন, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে তাকে পরিপুষ্টি বা পুষ্টি বলে। শিশু পর্যাপ্ত বয়সে সুষম খাবার না খেতে পেলে বাঘ সুষম খাদ্য গ্রহণ না করলে দেহের জৈবিক সুস্থতা সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না।
সম্মানিত মা ও বোনেরা, আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য কোন পোস্টটি কতটুকু প্রয়োজন এবং অপুষ্ট্রিয় অপুষ্টি লক্ষণগুলো কি কি হতে পারে সে বিষয়টিও জানবেন। তো চলুন আজকে আমরা জেনে নেই কিভাবে শিশুর পুষ্টি স্বাস্থ্য এবং অপুষ্টি লক্ষণগুলো কি।
পোষ্টসুচি পত্রঃ
- স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কি।
- পুষ্টি ও অপুষ্টির লক্ষণ।
- পুষ্টি ও অপুষ্টির পার্থক্য।
- শিশুদের অপুষ্টি জনিত রোগের নাম।
- পুষ্টির অভাবজনিত রোগ।
স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কিঃ
খাদ্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি এই তিনটি শব্দ একটি আরেকটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সুস্বাস্থ্য ও সুস্থ মনের জন্য প্রতিদিন পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হলে একজন ব্যক্তি জন্য সুষম খাদ্য নির্বাচন, খাদ্য সহজ সহজলভ্যতা ও পুষ্টিমূল্য বজায় রেখে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থা, খাদ্য, উৎপাদন, খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা, খাদ্যাভ্যাসের উপর পুষ্টি অনেকটাই নির্ভর করে থাকে।
আরো পড়ুন,
খাদ্যের কয়েকটি উপাদান যেমন শর্করা, আমিষ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণের গ্রহণ করাই হলো সুষম খাবার। মানুষের দেহে প্রত্যাহার প্রতি গ্রাম শর্করা থেকে চার কিলো ক্যালরি শক্তি পাওয়া অত্যন্ত জরুরী। আরো একটু অন্যভাবে বলা যায় যে প্রোটিন হলো দেহ গঠন ও ক্ষয় পূরণকারী খাদ্য। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, বিভিন্ন ডাল, সিম, মটরশুঁটি ইত্যাদি দেহ গঠনের সহায়তা করে থাকে।
পুষ্টি ও অপুষ্টির লক্ষণঃ
এ পর্যায়ে শিশু স্বাস্থ্য ও শারীরিক মানসিক লক্ষণ পূরণের ক্ষেত্রে শিশুদের পুষ্টি ও অপুষ্টির লক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আপনাকে প্রথমে আপনার শিশুর পুষ্টি অপুষ্টির চাহিদাগুলো মেটাতে হবে। তা না হলে একটি শিশুর স্বাস্থ্য পুষ্টির অভাবে প্রোটিনের অভাবে শরীরের অনেকটাই ক্ষতিসাধন হতে পারে। আমি কয়েকটি অপুষ্টির লক্ষণ গুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
ক্লান্তি ও অবসাদঃ- আপনার শিশু অপুষ্টির অভাবে শরীর স্বাস্থ্য ক্ষীণ হয়ে যায় এবং অল্পতেই ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভব করে। মানব দেহে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে ভবিষ্যৎ পর্যায়ে এসে অর্থাৎ বৃদ্ধ পর্যায়ে এসে অল্পতে তিনি ক্লান্তি এবং অস্বস্তিকর জীবন যাপন করে।
ছিট ছিটে স্বভাবঃ- শেষে জন্মের সাথে সাথেই তা পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আর এই প্রয়োজনগুলো বা এই পোস্টটি গুলো সাধারণত মায়ের বুকের দুধ এবং ডিম মাছ মাংস অনেকটাই শাকসবজি থেকেও প্রোটিন গুলো গ্রহণ করে থাকে। বিধায় জন্মের সময় কোন শিশুর পুষ্টির অভাব হলে ভবিষ্যতে তার স্বভাব হয়ে যায়।
মনোযোগহহীনতাঃ- আপনার শিশুর যদি পুষ্টির ঘাটতি থাকে বা প্রোটিনের ঘাটতি থাকে তাহলে তার মনোযোগ্যতা কখনোই কাজের প্রতি আসবেনা। সেজন্য সেদিকটাও আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ক্ষুধা মন্দাঃ- শিশু বাড়ন্ত বয়সে তার প্রোটিনের অভাব বা পুষ্টির অভাব হলে ঘন ঘন খিদে লেগে যেতে পারে। সে সাথে ক্লান্তীয় বোধ হতে পারে।
শুষ্ক ও খসখসে ত্বকঃ- সাধারণত পুষ্টি অভাবে স্বাস্থ্য অনেকটাই ভেঙে পড়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে একটি শিশুকে জন্মের পর থেকেই তার পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন কিলো ক্যালরি মাছ মাংস দুধ ডিম ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। তা না হলে একটি সময় তার শুষ্ক ত্বক খসখসে আকার ধারণ করে।
পুষ্টি ও অপুষ্টির পার্থক্যঃ
সাধারণভাবে পুষ্টি ও অপুষ্টির পার্থক্য বলতে গেলে অনেক কথাই বলা যাবে তাই সংক্ষিপ্ত আকারে পুষ্টি এবং অপুষ্টির পার্থক্যটা তুলে ধরা হলো। শিশুসার্থে ও পুষ্টি অপুষ্টির যে পার্থক্য রয়েছে তা বলাই বাহুল্য যে, পুষ্টি হল শুধু খাদ্যের উপাদানকে না বুঝে উপাদান গুলোর সঠিক অনুপাতের খাদ্য বিদ্যমান থাকাকে বোঝায়। এক বা একাধিক পুষ্টি উপাদানের দীর্ঘদিন ধরে অভাব হলে শরীর বৃদ্ধি ধাহত হয় এবং সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষণাদি প্রকাশ পায়। এ ধরনের অবস্থাকে অপুষ্টি বলে
শিশুদের অপুষ্টি জনিত রোগের নামঃ
শিশুদের পুষ্টির অভাবে যেসব লোকগুলো হয়ে থাকে তার নাম সংক্ষিপ্ত করে তুলে ধরা হলো।
- অ্যানিমিয়া
- রাতকানা
- স্কার্ভি
- গলগন্ড
- বেরি বেরি
- এছাড়াও আরো অনেক মারাত্মক রোগ আছে যেগুলো শিশুদের অপুষ্টির জন্য সাধারণত হয়ে থাকে।
পুষ্টির অভাবজনিত রোগঃ
সুস্থ থাকার জন্য সে সময় খাবার প্রয়োজন যাতে থাকবে, আমিষ, শর্করা, স্নেহ জাতীয় উপাদান, ভিটামিনের সমানভাবে বন্টন । আমাদের দেশে মানুষের কাছে স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা প্রদান করার জন্য প্রতিবছর পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে 27 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পালন করা হয় ইন্টারন্যাশনাল নিউট্রিশন সপ্তাহ। এই অভিযানের লক্ষ্যে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সকল মানুষকে সচেতন করা। কারণ সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন হয়।
আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারা অনেকেই উপস্থিত হবেন। তাই শিশু স্বাস্থ্য পুষ্টি ও শারীরিক লক্ষণ গঠনের দিক থেকে মহিলাদের অনেকটাই গুরুত্ব। মহিলারা কাজে পাশাপাশি পারিবারিক দায়-দায়িত্ব গুলো ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে তাদের নিজেদের শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে পারেন না। হলে বেশিরভাগ মহিলারা পক্ষে নিজেদের খাদ্য ও শিশুদের খাদ্য সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url