শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় | সুস্থ থাকার জন্য করণীয়।
আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য নাই মানসিক স্বাস্থ্য সমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এই সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে এবং সব কুসংস্কার ও নীতিবাচক বদ্ধমূল ধারণা দূর করে আসার সঞ্চার করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব না দিলে আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারব না। তাই এখনই সময় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার। আপনি যদি সঠিক এবং মানসিক সুস্থ থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করলে বুঝতে পারবেন।
মানসিক স্বাস্থ্য ও যত্ন অর্থবছরই একটি বিষয় আমাদের প্রতিদিন বিভিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। আবার কোন কোন ঘটনা আমাদের মনে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। আবার কোন কোন ঘটনা মনের ভেতর অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতির স্বীকার করে তোলে। আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো শারীরিক ও মানসিক সুস্থ থাকার জন্য করণীয় কি এবং কি কি খাবার খেলে শারীরিক এবং মানসিক সুস্থ ভালো হয়।
পোষ্ট সুচিপত্রঃ
- শরীর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
- মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
- সুস্থ থাকার জন্য করণীয় শরীর
- স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায়
শরীর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
শরীর স্বাস্থ্য প্রত্যেকটি মানুষের একটি মূল্যবান সম্পদ। শরীর ভালো থাকলে মন যেমন সতেজ থাকে তেমন কাজের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। আবার মন ভালো থাকলে সব কিছু ভালো লাগে। স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনী পারে কেবলমাত্র মন মেজাজ ঠিক রাখতে এবং সুন্দর ও ফিটফাট শরীর বজায় রাখতে। আমি এখানে আপনাদেরকে বেশ কিছু শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা করব যা কিনা আপনিও একটি ভালো ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন উপহার পেতে পারেন।
আরো পড়ুন,
শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আপনি নিয়মিত কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। আমি কয়েকটি পদক্ষেপ নিচে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খেতে হবে।
- দিনে অন্তত পাঁচ থেকে সাত রকমের ফল এবং সবজি চাষ খাবার খেতে হবে।
- নিয়মিত আজ যুক্ত খাবার যেমন, আলু রুটি ইত্যাদি।
- মাছ, মাংস, ডিম, ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার নিয়মিত খেতে হবে।
- ফ্যাট জাতীয় খাবার চর্বিযুক্ত খাবার কমিয়ে দিতে হবে।
- দিনে অন্তত পাঁচ থেকে আট লিটার পানি পান করতে হবে।
- উপরোক্ত পদক্ষেপ এর মাধ্যমে আপনি আপনার শারীরিক সম্পদকে অতি সহজেই সুস্থ রাখতে পারেন।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়ঃ
এ পর্যায়ে আমি আপনি কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখবেন তার উপায়গুলো পুঙ্খানু ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। আপনি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন কয়েক মিনিট মনোযোগের সঙ্গে মেডিটেশন করতে হবে। এই অভ্যাস নিজেকে নমনীয় রাখবে, এবং মানসিক চাপ অনেকটাই কম হবে যা আত্মসচেতনতা বোধ বাড়িয়ে দেবে।
যে ব্যায়াম করতে ভালো লাগে আপনি সেই ব্যায়াম করবেন। যেমন হতে পারে সকালে উঠে হাটাহাটি করা, যোগাসন অথবা ভরপুর শরীর চর্চা। ব্যায়াম করলে শারীরিক ও মানসিক ব্যথা উপশমকারী এন্ড ডোরফিন হরমোনের মিশ্রণ ঘটে। এ পর্যায়ে আপনি নিজের প্রতি সচেতন থাকুন কিন্তু সতর্ক নয় যেমন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে কয়েকটি উপায় হল নিজের প্রতি খেয়াল রাখা। যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে এবং নিজের অনুভূতিকে উপলব্ধি করার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হয়।
প্রতিদিন এর হাজারো সমস্যা থাকবে এবং এটি মেনে নিয়েই যতটুকু সম্ভব মনকে ভালো রাখার চেষ্টা করবেন।
- যদি কোন দায়িত্ব নিয়ে থাকেন তাহলে তা আন্তরিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবেন। সব সময় সম্মান, ভয় খ্যাতি বিড়ম্বনা, লাভের তীব্রতা এবং রাগ ও হতাশা এই অনুভূতিগুলো ক্ষতিকর প্রভাব ঘটায়।
- আপনি প্রতিমুহূর্তে নিজের সাধ্যকে অতিক্রম করার চেষ্টা করবেন না। যে দায়িত্বই থাকুক না কেন চেষ্টা করুন নিজের সাধ্যমত কাজ করতে।
- ভুল হলে সাময়িক মন খারাপ করুন কিন্তু অপরাধবোধ ও লজ্জাবো ধ ভুগবেন না। তবে অবশ্যই ভুল সুদ্ধের চেষ্টা করবেন। এটা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখা অত্যন্ত ভালো পদ্ধতি।
সুস্থ থাকার জন্য করণীয়ঃ
আপনি প্রতিনিয়ত সুস্থ থাকতে চাইলে আপনি প্রতিদিন, খল, শাক-সবজি এবং মাছ সমৃদ্ধ খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করবে। তাছাড়া ফল ও শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভালো উৎস রয়েছে।, অ্যালকোহল চিনি যুক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার যেমন লাল মাংস বাদ দেওয়াটাই ভালো। নিয়মিত হাত ধোয়া সারা বছর সুস্থ থাকার আরো একটি ভালো উপায় হতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আজীবন সুস্বাস্থ্যের গোপন চাবিকাঠি হল লাইফ স্টাইল মেডিসিন। যা খুব সহজেই আপনি আপনার শরীর ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে পারেন। আপনি আপনার শরীর ও মানসিক সুস্বাস্থ্য কামনায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। যেমন,
- নিয়মিত ব্যায়াম
- সঠিক সময় খাবার গ্রহণ
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল গ্রহণ করা
- নিয়মিত মেডিটেশন করা
- নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ বা কাছাকাছি থাকা
- শরীরে সঠিক ওজন বজায় রাখতে হবে
- ছোট ছোট লক্ষ্য তৈরি করতে হবে
- রাতে ভালো ঘুমাতে হবে
- অ্যালকোহল যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে
- টোবাকো বা তামাক জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
- উপরোক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনি আপনার সুস্থতা। কামনা করতে পারেন।
শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায়ঃ
আজকাল মানুষ চিকন শরীর নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে। লিখলি কে চিকন ও পাতলা সুরের কারণ কাম্য নয়। সবাই চায় তার শরীর গঠন আকর্ষণীয় হোক ওজন বাড়িয়ে সুগঠিত শরীর পাওয়ার আশায় যদি সত্যিই নিজেকে নিয়মিত কিছু টিপস অবলম্বন করেন তাহলে চিকন শরীর থেকে মোটা হওয়ার অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
- একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে রুটিন করে খাবার খেতে হবে। চাইলেও আর। সেই অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবেন । সকাল বেলায় দুটি সিদ্ধ ডিম খাবেন এবং ডিমে প্রচুর আমিষ থাকে যা আপনাকে দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করবে।
- বিকেলের নাস্তায়, বাদাম জাতীয় ছোলা বা কালাই জাতীয় খাবার খাবেন। প্রতিদিন একই খাবার খেতে মন না চাই তাহলে একেক দিন একেক খাবার খেতে পারেন।
- প্রচুর মিষ্টি জাতীয় ফল খান কেননা বৃষ্টি জাতীয় ফলে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন ফল এবং ফলের রস খেতে পারেন।
- সর্বশেষ টেনশন মুক্ত জীবন গড়ন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন কারণ নিয়মিত ব্যায়াম করলে খোদা বেড়ে যায় এবং টেনশন দূর হয়। ফলে বেশি বেশি খাবার খাওয়ার আগ্রহ জাগাবে।
শেষ কথাঃ উপরের টিপসগুলি মানলে বা নিয়মিত মেনে চললে আপনি দ্রুত সময়ে শরীর এবং মানসিকভাবে সুস্থতা লাভ করবেন। সেই সাথে উপরোক্ত টিপসের মাধ্যমে মোটা হওয়ার জন্য অনেক অনেক ওষুধের কথা শুনে থাকবেন সেই ওষুধ খেয়েও মোটা হওয়ার চেষ্টা কখনো ভুলে করবেন না এতে আপনার স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url