ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন | ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি।

আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং করবেন ভাবছেন তাদের জন্য আমার এই পোস্টটি। আমাদের বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কতটুকু কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা হয়তো জানেন যে ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। এই পেশায় কিভাবে নিজেকে সফল ভাবে গড়ে তুলতে হয় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ফ্রিল্যান্সিং ছবি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ফ্রিল্যান্সিং কেন করব ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২২ ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ফ্রিল্যান্সিং নতুনদের সহজ কোন কাজ  ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি বাংলাদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি

সম্মানিত ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে আয় করতে আগ্রহী বা ভাবছেন কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে জীবনে সফল হবেন আমার এই পোস্টটি পড়লেই হয়তো একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়ে যেতে পারেন্আ। পনাদের মাঝে আজকে আমি ফ্রিল্যান্সিং কি কিভাবে করব কোন কাজটি করব ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করব। আর বেশি কথা না বলে আমি বিস্তারিত আলোচনা করছি।

পোষ্ট সুচিপত্রঃ

  • ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ।
  • ফ্রিল্যান্সিং কেন করব ।
  • ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ।
  • ফ্রিল্যান্সিং নতুনদের সহজ কোন কাজ ।
  • বাংলাদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি ।

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স।

বাংলাদেশে এখন বিপুল সংখ্যা শিক্ষিত বেকার মানুষ রয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানও অনেকটাই তুলনামূলকভাবে কম। আর এই শিক্ষিত বেকার যারা অর্থ উপার্জনের জন্য অন্যান্য কর্মসংস্থানে অনুপযুক্ত হয়ে পড়েন তখন তাদের জন্যই কর্মসংস্থানের চাহিদা অনেক অংশেই কমিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্মে বিশাল কর্মসংস্থানের জায়গা সৃষ্টি করেছে।

ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে কাজ করার কোন ধারণা সময় নেই আপনার যখন ইচ্ছা কাজ করতে পারেন। এখানে শুধু বলব যে আপনার দরকার হবে একটি নির্দিষ্ট ফিল্ডে দক্ষতা অর্জন করা। ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং এর আওতায় অনেক বড় ফটো এডিটিং থেকে শুরু করে ভিডিও এডিটিং সহ বিভিন্ন ডিজাইন ইত্যাদির আওতায় এর মধ্যে পড়ে। যাই হোক এ বিষয়ে সব কিছু আমরা এই আর্টিকেলেই বিস্তারিত বলে ফেলবো।

আরো পড়ুন,

ফ্রিল্যান্সিং মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এটি একটি সাধারণ চাকরির মতোই কিন্তু ভিন্ন হল এই যে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। সাধারণত চাকরির ক্ষেত্রে এখানে আরেকটি বিষয় এর ভিন্নতা রয়েছে যা কাজের সন্ধান ফ্রীলান্সিং এর নির্দিষ্ট কোন অফিস নেই।

মূলত আপনার বাড়ি হচ্ছে আপনার অফিস। আমরা সবাই জানি যে আমাদের দেশে দক্ষতা কদর হয় না যেভাবে কিন্তু বাইরের দেশে মূলত হয় আপনি যে সব দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করবেন বিশেষ করে বাংলা সে তুলনায় দ্বিগুণ তিন গুণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কেন করব।

আপনি ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন? এমনটি প্রশ্ন সবারই রয়ে যায় আসলেই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে কিছু বিশেষ গুণের অধিকারী হতে হবে যার অনলাইনে মার্কেট প্লেসে কদর রয়েছে। যেমন বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এবং আরো অনেক মুহূর্ত বলে শেষ করা যাবে না।

ফ্রিল্যান্সিং অর্থ মুক্ত আয়।অর্থাৎ আমরা সহজভাবেই বুঝতে পারি এ দেশের স্বাধীনতা রয়েছে যে কেউ তার দক্ষতা এবং পছন্দ অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং অধিক জনপ্রিয়তা হওয়ার কারণে কাজের স্বাধীনতা। বর্তমানে সকলের চাই গতানুগতিক কাজের বাহিরে গিয়ে নতুন কিছু করতে।

ফ্লেসিং এর মাধ্যমে রয়েছে যে সুযোগ এখানে একজন ব্যক্তি তার বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতা সম্পন্ন কাজ লাগাতে পারেন। এ কাজের জন্য অফিসে গিয়ে 9 টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত কাজ করার প্রয়োজন হয় না চাইলে আপনি ঘরে বসে সুবিধার মত কাজটি নির্ধারণ করে নিতে পারেন। বাড়তি উপার্জনের সুযোগ আছে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে মিলে যায় সে নিয়ে কাজ করতেই পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ।

বর্তমানে শিক্ষিত বেকার অধিক হওয়ায় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কি কাজ শিখব, কোন কাজ শিখব, কিভাবে শিখব ,আমার দ্বারাই হবে কিনা, ইত্যাদি মানুষের প্রশ্নই রয়ে যায়। এতো ভাবনা কিন্তু আমি যদি আপনাকে এমন কিছু শেখায় যা দিয়ে নিজেই খুঁজে বের করতে পারবেন কোন কাজ আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো আয় করতে পারবেন।

বিশেষ করে মাত্র চারটি ধাপ অনুসরণ করে আপনি ঠিক করে নিতে পারবেন কি কাজ আপনার শেখা উচিত। কি করলে আপনার জন্য সহজে আয় করা সম্ভব বা কোন কাজে আপনার পক্ষে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব। বিশেষ করে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং এ আসতে চান আসতে চায় তাদের অনেকেরই ইচ্ছে তাদের এমন কোন স্কিল শেখা যেটা সহজে শেখা যায়।

যদি আপনার বেসিক কম্পিউটার স্কিল থাকে এবং এই স্কেল নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চান তাহলে কিছু সহজ স্কেল শিখে নেওয়া আপনার জন্য অনেকটাই ভালো হবে। আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান বা আপনার জন্য কোনটি প্রযোজ্য হবে সেসব কাজগুলো আমি বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আপনারা আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী বর্তমান বাংলাদেশ কাজগুলোর ডিমান্ড ফল অনেক।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
  • অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • কপিরাইটিং
  • ফাইবার মার্কেটিং
  • ইউটিউব মার্কেটিং
  • অফ ওয়ার্ক ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং নতুনদের সহজ কোন কাজ।

আমি যদি বলতে যাই একেবারেই যারা নতুন আছেন নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজটি সবচাইতে সহজ। সে বিষয় নিয়ে বলতে গেলে আমি বেশ কয়েকটি কাজের নাম সহ বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ আপনারা সেটা পড়ে নিবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকেরই প্রত্যেকদিন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে প্রচুর সময় নষ্ট করে থাকে। তবে আমরা এটা বুঝি না যে সোশ্যাল মিডিয়াগুলি আমাদের অনলাইন ইনকামের একটি দারুণ উৎস হিসেবে। কাজ করতে পারে। বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটি বিজনেস ব্রান্ড সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সক্রিয় হয়ে থাকেন।

আর নিয়মিত সক্রিয় থাকার জন্য কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের খুঁজে কাজ দেন। এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার এর মূল কাজ থেকে , নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করা, ফলোয়ার্স ভেরিফাই করা, ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে নিয়মিত ইনকাম করতে পারেন।

ওয়েব রিসার্চঃ আপনি যদি গুগল মধ্যে। নিয়মিত কিছু না কিছু সার্চ করতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য সবচাইতে বেস্ট। অনেক রকম কাজ যা কোন কোম্পানি বা সংগঠন আছে যেগুলো একজন ফ্রিল্যান্সারকে খুঁজে রিসার্চ এর কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকেন।


কন্টেন রাইটিংঃ আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজটি প্রচুর লাভজনক এবং জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি লেখালেখি করতে ইচ্ছুক বা লেখালেখি করে আপনার ভালো লাগে তাহলে এ কাজ করতে পারেন। আপনার অনলাইনে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্লগ বা কোম্পানি পেজ গুলোর জন্য আর্টিকেল লিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের চাহিদা বলতে গেলে ব্লগ ওয়েবসাইট,, ফোরাম ওয়েবসাইট, অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট,, সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট। আরো বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসিং ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট কাজের প্রচুর চাহিদা বর্তমানে রয়েছে। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে কাজগুলো চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেগুলোর অর্ডার নেওয়া সহজ ততই এবং আয়ের পরিমাণও বেশি।

বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজ গুলো কারা ক্লাইন্টরা নতুন ফিন্যান্সের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। যার ফলে নতুনরা সহজেই খুব দ্রুত নিজেকে মানসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে সাধারণত যেসব কাজ পেয়ে যাবেন ফেলছেন সাইটগুলোতে। একটু দক্ষতার সহিত এবং কাজের দক্ষতা নিয়ে কাজ করলে আপনার কাছে সব কাজই পাওয়াটা এবং কাজের চাহিদা উঠাও অনেক বেশি হয়ে যাবে।

শেষ কথাঃ সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা অনলাইন প্লাটফর্ম টা একটু বিশাল সমুদ্র বলা যেতে পারে। কেননা এই অনলাইন প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলো অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বা হচ্ছে দিন দিন বৃদ্ধি ও পাচ্ছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url