এইডস এর লক্ষণ ও কারণ | এইডস কত দিন পর ধরা পরে।
আসসালামুয়ালিকুম সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে এইচআইভি বা এইডস। এইডস কি? এটা কি ধরনের রোগ, এদের লক্ষণ এবং কিভাবে ছড়ায়, এইডস হলে করণীয় কি? মানুষের দেহে কতদিন পর প্রকাশ পায়, এবং প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আবার এই পোষ্টটি পড়ে অবশ্যই আপনি জানতে পারবেন যে এইডস হলে আপনার করণীয় কি।
সম্মানিত ভাই ও বোনেরা এইডস হচ্ছে একটি মারাত্মক মরণব্যাধি রোগ যা কিনা মানুষের দেহে ধীরে ধীরে ক্রমাগত বাড়তে থাকে যা পরবর্তীতে মৃত্যু পর্যন্ত পৌঁছে দেই। চলুন আমি আর বেশি কথা না বলে মূল আলোচনা শুরু করব তার আগে একটি কথা আপনাদের বলে নেই আপনারা যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই আমাকে কমেন্টের জানাবেন। কেননা আপনাদের কমেন্টের আমরা অন্য কনটেন্ট দেখার উৎসাহ পেয়ে থাকি।
পোষ্ট আলোচ্য সুচিঃ
- এইডস কিভাবে ছড়ায়।
- এইডস এর লক্ষণ।
- এইডস হলে করনীয়।
- Hiv এর সুপ্তিকাল কত মাস।
- এইডস এর ঔষধ এর নাম।
এইডস কিভাবে ছড়ায়।
আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি যে এইডস কি এবং মানুষের জীবনে এই কতটাই গুরুত্বপূর্ণ ভয়াবহতা বিরাজ করে। এ পর্যায়ে আমরা জানবো মানুষের দেহেএইডস কিভাবে ছড়াই। এইচ আই ভি সংক্রমণ বেশিরভাগ ঘটনায় অরক্ষিত যৌন মিলনের কারণে ঘটে থাকে। বায়ু জল খাদ্য অথবা সাধারণ ছোঁয়ায় বা স্পর্শে এইচআইভি কখনোই ছড়ায় না।
আরো পড়ুন,
এইডস মানুষের দেহে কয়েকটি নির্দিষ্ট তরল পদার্থ অর্থাৎ রক্ত বীর্য বুকের দুধ ইত্যাদি দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়ে থাকে। ফলে মানবদেহে এই তরল পদার্থগুলো আদান-প্রদানের মাধ্যমে এইচআইভি বেশিরভাগই ছড়িয়ে থাকে। সাধারণভাবে বলা যায় যে এইচআইভিটা বিশেষ করে মানুষের অবাধ যৌন মিলন অর্থাৎ একাধিকবার একাধিক নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে যৌন মিলনের ক্ষেত্রেই এইচআইভিটা ছড়িয়ে থাকে।
এইডস এর লক্ষণ।
একজন মানুষের দেহে এইডস এর লক্ষণগুলো কি কি হতে পারে তা আমরা সহজেই বুঝতে পারি না। আর এই লক্ষণগুলো না বুঝার কারণে আমাদের জীবন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমরা যদি এইডস এর লক্ষণগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারি তাহলে আমরা হয়তো বেঁচে যেতে পারি মরণ ব্যাধি এইচআইভি রোগ থেকে।
এইচআইভির একজন মানুষের যখন প্রবেশ করে তখন তা বেশ কিছু লক্ষণগুলো অনুভব করা যায়। আমরা এখন দেখে নিব যে লক্ষনগুলো কি কি?
- একজন ব্যক্তির ক্লান্তি যদি ইতিমধ্যে অনুভব করেন বা সব সময় ক্লান্তি অনুভব করেন তবে তাকে একটি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা উচিত এরপর এইচআইভি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
- সাধারণত এইচআইভি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির বেশি প্রসারণ হতে থাকে।
- মানবদেহের হাড়ের জয়েনগুলো ব্যথা এবং ফোলা অনুভব করতে থাকে।
- মাঝে মাঝে মাথা ধরা মাথা ব্যথা অনুভব হয়।
- ধীরে ধীরে মানব দেহের ওজন কমতে থাকে।
- মানব দেহের বিভিন্ন জায়গায় ত্বকের উপরে বিভিন্ন চিহ্ন ফুটে উঠতে পারে।
- অল্পতেই মানুষের গলা শুকিয়ে যায়।
- সর্বশেষ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং টেনশন অনুভব করে।
এইডস হলে করনীয়।
একজন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই ডস রোগ প্রতিরোধে যা করণীয় তা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলোঃ
- মানুষের চিন্তা ও আচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরী।
- ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এর প্রতিরোধের অন্যতম উপায় বলে বিবেচনা করা যেতে পারে।
- যৌন সম্পর্কে ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সমাজে কোন শাসন মেনে চলতে হবে।
- বিবাহ পূর্ব জনসম্পর্কে এড়িয়ে চলতে হবে কেননা একাধিক জনসঙ্গে পরিহার করাটা অত্যন্ত জরুরী।
- নিরাপদ ও জনপ্রিয়া অভ্যাসের মাধ্যমে অসংকৃত মানুষ হিসেবে সংক্রমণ থেকে মুক্ত হতে পারে।
- নিয়মিত সঠিকভাবে কনডম ছাড়া। যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অবাধ ও অবৈধ জনপ্রিয়া থেকে বিরত থাকাই হলো এইচআইভি সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
- সারা শরীরে ইনজেকশন এর মাধ্যমে ড্রাগ নেই এবং তাদের বেলায় উৎকৃষ্ট কণ্ঠায় বা উপায় হলো ইনজেকশন এর মাধ্যমে ড্রাগ না নেওয়া।
- একবার ব্যবহার করা যায় এমন জীবন সূচক ও সিটির ব্যবহার করতে হবে।
- যৌন রোগের বা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
Hiv এর সুপ্তিকাল কত মাস।
আমরা সাধারণত এইচআইভি এর সত্যিকার বা কত মাস বাঁচে বা কত দিন পর ধরা পড়ে। অভিমত প্রকাশ করেছে। তবে এর সঠিক। ধ্যান ধারণা মানুষের মধ্যে এখনো বিরাজমান। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে বিশেষ করে এইচআইভি মানব দেহে চার থেকে পাঁচ অথবা পাঁচ থেকে ছয় মাস পর এইচআইভি ফুটে উঠতে পারে।
এইডস এর ঔষধ এর নাম।
এইচ রোগের আক্রান্ত রোগীদের জন্য পূর্বেই কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় সঠিকভাবে তাদের চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হতো না। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজি অর্থাৎ ডিজিটালাইজেশনের ব্যবস্থার মাধ্যমে এইচআইভি ভালো করা সম্ভব হয়ে থাকে।
এইডস রোগের কোন চিকিৎসা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি কিন্তু গবেষকরা এ পর্যন্ত অনেক ওষুধ আবিষ্কার করেছেন প্রথমে ওষুধের নাম বলতে গেলে নিউক্লি ও সাইড রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ ইনহিবিটর যা বর্তমানে এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়া বিভিন্ন উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবস্থাপনা যায়।
সম্মানিত ভাই ও বোনেরা, এইডস একটি মারাত্মক ব্যাধির রোগ,যা মানুষের দেহে প্রবেশ করলে তাকে সুস্থ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। আমি এইডস রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ইত্যাদি আলোচনা চেষ্টা করেছি। আপনারা পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমি অন্য একটি আপনাদের কাঙ্খিত পোস্ট নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url