গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা | গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা।
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা আজকে আমি যে পোস্টটি নিয়ে হাজির হয়েছি সেটি হচ্ছে গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকা এবং যেসব খাবারগুলো গর্ভবতী মায়েদের জন্য একেবারে নিষিদ্ধ সে বিষয়গুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব। আশা করছি আপনারা এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লেই একটি গর্ভবতী মায়ের যেসব খাবার গুলো প্রয়োজন এবং যেসব খবর নিষিদ্ধ সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
গর্ভবতী মায়ের খাবারের যেমন বিশেষ ভূমিকা রয়েছে সে সাথে কিছু খাবার নিষিদ্ধ রয়েছে। একজন গর্ভবতী মহিলার যেসব খবরগুলো অত্যন্ত প্রয়োজন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো এবং যেগুলো বর্জন করা হয়েছে সে খাবারগুলো তুলে ধরা হলো। তো চলুন কথাটা বাড়িয়ে আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকা এবং নিষিদ্ধ খাবার গুলো কি কি।
আরো পড়ুন,
গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা।
গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই আপনাকে খাবারগুলো রাখতে হবে তার সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো। প্রথমে আপনাকে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি প্রোটিন স্বাস্থ্যকর চর্বি বিশেষ করে দুগ্ধজাত পণ্য দুধ এসব খাবার গুলো প্রতিদিনের তালিকায় রাখতে হবে। যেমন ফ্লাইট সমৃদ্ধ খাবার ফুল গ্রেড বা গোটা শস্য জাতীয় খাবার রাখতে হবে।
- ডিম এবং মুরগির মাংস খাবার রাখতে হবে।
- মাছ আমি জাতীয় খাবার প্রতিদিনের তালিকা রাখতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি।
- বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার প্রতিদিনের তালিকা রাখতে হবে।
- জাতীয় খাবার খেতে হবে।
- এছাড়া মিস জাতীয় এবং প্রোটিন ভিটামিন এ বি সি ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে।
গর্ভবতী মায়ের ফল খাবার তালিকা।
গর্ভবতী মায়ের জন্য ফল একটি বিশেষ খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেননা গর্ভবতী মায়ের জন্য ফলের গুনাগুন অত্যন্ত রয়েছে। যেমনঃ
- প্রথমেই ফলের কথা বলতে গেলে কলা। গর্ভবতী মায়ের জন্য গলায় একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- এরপরে যা বলা যায় যে আপেল অত্যন্ত কার্যকরীর ভূমিকা পালন করতে পারে। গর্ভবতী মায়ের জন্য আপেল ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- এ পর্যায়ে বলা যায় যে কমলাও একটি গর্ভবতী মায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- গর্ভবতী মায়ের জন্য তরমুজ অনেকটাই শরীরে পানির শূন্যতা। গর্ভবতী মায়ের যে প্রথম সমস্যাটি হয়ে থাকে বিশেষ করে পানিশ্বরতা যাক তরমুজ দ্বারা দূর করা সম্ভব হয়ে থাকে।
উপরে উল্লেখিত খাবারের তালিকায় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত জরি এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরপরে আমরা নিচে দেখব যে গর্ভবতী মায়ের জন্য কোন খাবার গুলো একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তো চলুন আমরা দেখে নিই কোন খবরগুলো একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য নিষিদ্ধ।
গর্ভবতী মায়ের কোন খাবার খাওয়া যাবে না।
একজন গর্ভবতী মায়ের খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমরা প্রথমে জেনে গেছি যে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য কোন খাবারগুলো খাবার উপযুক্ত এবং কোনগুলো খাবারের উপযুক্ত নয় এখন এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তো এ পর্যায়ে বলা যায় যে বিশেষ করে কাঁচা পাস্তুরায়ন ছাড়া দুধ এবং ডিম ওই ধরনের দুধ এবং ডিম থেকে তৈরি কোমল পানীয় ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
কেননা কাঁচা দুধ এবং ডিম একজন গর্ভবতী মায়ের খাবারের জন্য একেবারেই উচিত নয়। এখানে বলতে গেলে বলা যায় যে কাঁচা দুধ এবং ডিমের অনেকটাই জীবাণু থাকে যা কিনা একজন গর্ভবতী মায়ের অনেকটাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না।
দুধ এবং ডিমঃ গর্ভবতী মায়ের জন্য যেমন দুধ এবং ডিম খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ এ পর্যায়ে যেসব ফলগুলো খাওয়া যাবেনা সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানবো। গর্ভবতী বা নবরাতিকে গর্ভবতী মহিলাদের এই তিনটি ফল খাওয়া একেবারে উচিত নয় তা না হলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। যেমন প্রথমে বলা যায় যে পেঁপে।
পেপেঃ পেপে খাবারটি একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খাবারের উপযুক্ত নয় কেননা পেঁপে গর্ব অবস্থায় খাওয়া ক্ষতি হতে পারে।
আনারসঃ এ পর্যায়েফলটির কথা বলা হচ্ছে সেটি হল আনারস অনেক গর্ভবতী মহিলার আনারস খেতে ভালোবাসেন কিন্তু গর্ব অবস্থায় থাকাকালীন আনারস খাওয়া মোটেও ঠিক হবে না বা উচিত নয়।
আঙ্গুরঃ গর্ভবতী মহিলার জন্য খাওয়া যাবে না যদিও আঙ্গুরে অনেকটাই ভিটামিন সি থাকে। গর্ভবতী অবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া অনেক ডাক্তার নিষেধ করে থাকে।
বরফে জমানো বেরিঃ একজন গর্ভবতী মহিলার বরফে জমানো বেরি কখনো খাওয়া উচিত নয় কেননা বরফে জমানো ফলে টাটকা ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বরফে জমানোর কারণে ফলের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ কমে যায় তাই মহিলারা গর্ভ অবস্থায়। কিছু ক্ষেত্রে গর্ব অবস্থায় মা এবং সন্তানের উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে।
খেজুরঃ স্বাস্থ্যকর এবং এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন আয়রন খনি জ ইত্যাদি ভিটামিন থাকে কিন্তু গর্ভবতী মহিলার জন্য একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো এটি শরীরের তাপমাত্রা দূরত্ব বাড়াতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে খেজুর খেলে জরায় যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। তবে দিনে একটি মাত্র খেজুর খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য যেসব সবজিগুলো একেবারে খাওয়া ঠিক নয় সেগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো।
না ধোওয়া ফল এবং সবজি জাতীয় খাবারঃ বিশেষ করে না ধরা ফল এবং সবজি খাওয়া যাবেনা কেননা ক্ষতিকারক নাশক ও হারবি সাইট থাকতে পারে সেই জন্য সেগুলোকে টক্সোপ্লাজম গণ্ডি এবং ভিস্টোরিয়ার মত মারাত্মক পেছনে ব্যবস্থাপনা হয়।
করলাঃ তে গ্লাইকোলাইসিস ছেপনিক ম্যারোডিসিন নামক ক্ষতিকার পদার্থ থাকে যা গর্ব অবস্থায় মহিলাদের গর্ভবতী ও গর্ভজাত সন্তানের জন্য ক্ষতিকার হতে পারে তাই করলা খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।
সজিনাঃ বিশেষ করে সজিনাতে রয়েছে আলফা সৃষ্টি স্টেরল নামক এক ধরনের উপাদান যা গর্ভবতী মায়ের জন্য বা গর্ভপাত ঘটাতে পারে বিষাক্ত সবজি। জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর সবজি হলেও। গর্ভবতীকালীন বা গর্ভকালীন সময়ে সজিনা না হওয়াটাই অত্যন্ত ভালো হবে।
অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবারঃ গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত মসলা খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে তাই রান্নার সময় মসলা কম পরিমাণের ব্যবহার করতে হবে। গর্ভবতী মেয়েদের মসলাযুক্ত খাবার সবচেয়ে বেশি হেরে চলতে হবে কেননা গর্ভবস্থায় সময় এসিড রিফ্লাক্স ও বুক জ্বলার সমূহ অনেক বেশি থাকে। কখনো যদি অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিবেন এবং এতে দ্রুত সফলতা পেয়ে যাবেন।
সম্মানিত গর্ভবতী মা ও বোনেরা আপনাদের উদ্দেশ্যেই আমার এই পোস্টটি লেখা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য কোন খাবারগুলো উপযুক্ত এবং কোন খাবার গুলো ক্ষতিকর সে বিষয়গুলো সম্পূর্ণ তুলে ধরতে না পারলেও কিছু পরিমাণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি অবশ্যই আপনারা যথাযথ পালন করার চেষ্টা করবেন এবং যদি আমার এই পোস্ট বা লিখাটুকু পড়ে আপনার কোন উপকৃত হয়ে থাকে অবশ্যই আমাকে কমেন্টে জানাবেন আমি এসব বিষয়ে আরো পোস্ট বা লিখা প্রকাশ করে থাকব ইনশাআল্লাহ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url