ফরজ গোসলের নিয়ম কানুন | ফরজ গোসলের কারণ।
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা ফরজ গোসল কি এবং কি জন্য ফরজ গোসল করতে হয় সে সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। আপনি ফরজ গোসল কেন করবেন কিভাবে করবেন এর নিয়ম কানুন কি সবকিছু বিস্তারিত এই পোষ্টের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন অবশ্যই আপনারা ধৈর্য সহকারে এই পোস্টটি পড়বেন।হাদিস শরীফে ফরজ গোসলের এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে প্রতিটা মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরজ গোসল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি একজন পূর্ণবয়স্ক নর-নারী হয়ে থাকেন তাহলে এবং যদি আপনি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য ফরজ গোসল গুরুত্বপূর্ণ তো চলুন আমরা ফরজ গোসলের নিয়ম কানুন গুলো কি এবং এর কারণগুলো কি সব জেনে নেওয়া যাক।
পোষ্ট সুচিপত্রঃ
- ফরজ গোসলের নিয়ম ও নিয়ত।
- ফরজ গোসলের জন্য গোসলের দোয়া পড়া।
- ফরজ গোসলের দোয়া।
- কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়।
- যেসব কারণে গোসল ফরজ হয় না।
- মযী বের হলে কি গোসল ফরজ হয়।
ফরজ গোসলের নিয়ম ও নিয়তঃ
সম্মানিত ভাই ও বোনেরা ভারত গোসলের নিয়মগুলো আমি সংক্ষিপ্ত কারে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি উপরিউক্ত নিয়মগুলো ছাড়া হাদিস কোরানে আরো অনেক রয়েছে যেগুলো আমাদের জানার বাইরে। তো আজকে আমি ভারত গোসলের নিয়মগুলো কি সেই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তুলে ধরলাম।
আরো পড়ৃন, নবজাতকের বিভিন্ন সমস্যা | সুস্থ নবজাতকের লক্ষণ।
ফরজ গোসল করার নিয়মের মধ্যে প্রথমে স্বামী এবং স্ত্রী সঙ্গম করলে ফরজ গোসলের প্রয়োজনীয়তা হয়ে পড়ে। ফরজ গোসল করার জন্য প্রথমে নিয়ত করতে হবে অর্থাৎ স্বামী স্ত্রী সঙ্গম করলে স্বপ্নদোষ হলে ঋতুস্রাব ও প্রসব ইত্যাদির কারণে যে নাপাকি এসেছে সেটা দূর করার নিয়ত করতে হবে।
- ফরজ গোসলের জন্য গোসলের দোয়া পড়া।
- তারপর গোসলের নিয়ত করে বিসমিল্লাহ বলে দু হাত কবজি পর্যন্ত ভালো করে ধৌত করতে হবে।
- এরপর শরীরের কোন জায়গায় অপবিত্র বস্তু থাকলে বা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিতে হব
- অজু করতে হবে গড় গড়ার সাথে কুলি করতে হবে রোজাদার হলে গড়গড়া করা যাবে না তিনবার কুলি করতে হবে।
- তারপর তিনবার নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- ওজুর পর মাথায় এমন ভাবে পানি ঢালতে হবে চেনো চুলের গোড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছে যায়।
- সর্বশেষ পা ধুয়ে নিতে হবে।
- এরপর সরাসরি কোন কাপড় বা গামছা দিয়ে মুছে শুকনো কাপড় পড়তে হবে।
এই প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে বা কুরআনে অনেক বর্ণনা এসেছে। এই প্রসঙ্গে জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোরআন হাদিস থেকে আরও বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
ফরজ গোসলের দোয়াঃ
ফরজ গোসলের নিয়ে তোর জন্য প্রথমে আপনাকে নিয়োগটি করে নিতে হবে যেমন আমি বাংলায় উচ্চারণসহ লিখে দেওয়ার চেষ্টা করলাম ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
দোয়ার সমূহঃ-নাওয়াতুন গোসলা লিরাফিল জনাবাতি।
কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয়ঃ
ইসলামের দৃষ্টিতে লিঙ্গ হতে বীর্য বের হওয়ার পূর্বে যে পানি বের হয় সেটার নাম হলো মর্জি। মর্জি বের হলে শুধু ওযু ভেঙ্গে যায় এতে গোসল ফরজ হয় না। (সহি বুখারি হাদিস নম্বর ২৬৯)
অর্থাৎ কাপড়ের লাগলে কাপড় নাপাক হবে। বাণিজ ছিটিয়ে দিলে পবিত্র হয়ে যাবে। কাপড়ের যে স্থানে লেগেছে সেই স্থান ভালোভাবে ধুয়ে নিলেই হবে। এ প্রসঙ্গে নারীদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে আমি সঠিকভাবে বলতে পারব না কারণ নারীদের থেকে নির্গত তরল কখন বীর্য ধরা হয় যার ফলে গোসল ফরজ হয়। আর কখন সেটাকে সাধারণ স্রাব ধরা হয় যার ফলে অজু ফরজ হয়। এখানে আমি একাধিকবার বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি।
কিন্তু কেউ আমাকে যথার্থ জবাব দিতে পারেনি। তাই বলবো আমি নির্গত সকল তরুকে সাদাস্রাব ধরেই যা বের হলে গোসল ফরজ হয় না। সাধারণত সঙ্গম করা ছাড়া গোসল করি না। আশা করছি আপনারা এই দুটো মধ্যকার পার্থক্য পরিষ্কারভাবে উল্লেখ বা বুঝতে পারবেন।
যেসব কারণে গোসল ফরজ হয় নাঃ
গোসল ফরজ হওয়ার কারণ না জানার কারণে আমাদের গোসল ফরজ হলেও আমরা গোসল করি না। এর ফলে গোসল না করে আমরা অপবিত্র থেকে যায়। অপবিত্র অবস্থায় কোন ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না যেমন নামাজ রোজা হজ জিকির যেকোনো ইবাদত করার পূর্বশর্ত আছে শরীর পাক করে নেওয়া।
এ আলোচ্য বিষয়ে আজ আমি বলব যেসব কারণে গোসল ফরজ হয় না অর্থাৎ ফরজ গোসলের নিয়ম কানুন বা ফরজ গোসলের কারণ হলেও কতগুলো ক্ষেত্রে গোসল ফরজ হয় না।
- যদি কোন রোগের কারণে বীর্য পাতলা হয় বা কোন আঘাত পেয়ে বিনা উত্তেজনায় বীর্য নির্গত হয় তবে গোসল খরচ হয় না।
- যদি স্বামী স্ত্রীর শুধু লিঙ্গ করে এমত অবস্থায় ছেড়ে দেই কিন্তু কিছু মাত্র ভেতরে প্রবেশ না করাই এবং ভিডিও বের না হয় তাতে কিছু ফরজ হয় না।
- যদি শুধু মর্জি বের হয় এতে ওযু ভঙ্গ হয় কিন্তু গোসল ফরজ হয় না।
- ঘুম থেকে উঠার পর যদি স্বপ্নসরন থাকে কিন্তু কাপড়ে বছরের কোন কিছুই দেখা না যায় তাতে গোসল ফরজ হবে না
- ইজতেহাজের রক্তের কারণে গোসল ফরজ হয় না।
উপরেই তো এসব কারণে গোসল ফরজ হয় না কিন্তু শরীরের কোন অংশ অপবিত্র হয়ে গেলে সে অংশ ধৌত করে নিলে হয়ে যাবে।
মযী বের হলে কি গোসল ফরজ হয়ঃ
মর্জি বলতে আমরা সাধারণত যাব যে সাদা পাতলা তরল পদার্থ যা স্ত্রীর সঙ্গে আদরও আহ্লাদে অবস্থায় বা সময় নির্গত হয়। আর এটাকে বাংলায় কাম রস বলে থাকে। পুরুষ বা স্ত্রীর কাম ভাবের কারণে বা জোর উত্তেজনা পূর্ণ অবস্থায় যৌনাঙ্গ হতে যে পদার্থ বের হয় তাকে আরবিতে মনি বলে থাকে। বাংলাতে বীর্য বলা হয় পুরুষের মনে হয় গারো শ্বেত বর্ণ আঠালো যা বের হলে পুরুষাঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
এদিকে স্ত্রীলোকের মনে হয় পাতলা বা হলদে রংবিশিষ্ট্য। স্ত্রীর সঙ্গম স্বপ্নদোষ কল্পনা প্রসাদ কাম উত্তেজনা যে কারো কোন কারনেই এটা নির্গত হোক বা না হোক এতে গোসল ফরজ হবে আর মনে ভাবীর জন্য পাক বীর্য নাপাক ফুটিয়ে তুলে ফেলাও ভিসা হলে কাপড়টি ধৌত করা।
সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা ফরজ গোসলের নিয়ম কারণ এবং ফরজ গোসলের কারণ ও মনিবের হলে বা মর্জি বের হলে কৌশল ফরজ হয় কিনা বা যেসব কারণে গোসল ফরজ হয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা প্রেক্ষিতে বলা যায় যে একটি মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরজ গোসলটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url