বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম | বিকাশ এজেন্ট কমিশন | বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা ।
আসসালামুয়ালিকুম সম্মানিত ভাইয়েরা আপনারা আমার পোস্টের থামবেন দেখেই হয়তো বুঝতে পারছেন আমার এই পোস্টটি কি প্রসঙ্গ হতে পারে। হ্যাঁ আমি আপনাদের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি টি কাজ এজেন্ট ব্যবসা করতে চান বা আপনার জন্য বাড়তি আয়ের উপায় হতে পারে ঠিক আছে এজেন্ট ব্যবসা। তো আজকে আমি এই পোস্টে মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব বিকাশের এজেন্ট ব্যবসা কিভাবে করবেন।
আপনি যদি বেকার বা অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কে বাড়তি আয়ের একটি উৎস হিসেবে ধরে নেন তাহলে আপনি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনদী হয়েছেন। কেননা অল্প পুঁজি দিয়ে বিকাশের এজেন্ট ব্যবসা খুব সহজে করা যায় এবং এটি এজেন্ট পাওয়াও খুব সুলভ। এর তেমন একটি জটিলতা পোহাতে হয় না। বিকাশের এজেন্ট ব্যবসা করার জন্য আপনাকে কিছু পদক্ষেপ কোন স্মরণ করতে হবে চলুন সে পদক্ষেপ গুলো নিয়ে আলোচনা করা যায়।
পোষ্ট সুচিপত্রঃ
- বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম।
- বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে।
- কমিশন এজেন্ট ব্যবসা।
- বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত ?
- বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা।
- বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট।
বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম।
আমি এখানে আপনাদের সিম নেওয়ার যে নিয়োগটি আছে সেই জন সম্পর্কে সংক্ষিপ্তারে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হয়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে বিকাশের কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে এই সিমটি। নিতে হতে পারে। বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য প্রথমে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে এবং সকল শর্ত আপনাকে পূরণ করতে হবে।
এসব শর্ত মেনে বিকাশ প্রতিনিধি যিনি আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করে বা বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসে যোগাযোগ করে এজেন্ট হওয়ার আপনার আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে। এরপরে অনলাইন বিকাশ ওয়েবসাইট থেকে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য অনুরোধ পাঠাতে পারেন। আপনার অনুরোধ যাচাই-বাছাই করার জন্য আপনাকে ফোন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ পাঠানো হবে।
আরো পড়ুন, বিকাশ লোন কিভাবে পাওয়া যাবে - বিকাশ লোন কারা পাবে।
বিকাশ এজেন্টের ব্যবসার জন্য আপনার কাছে কিছু শর্তসাপেক্ষে কাগজপত্র সাবমিট করতে হতে পারে। আমি কাগজপত্র গুলোর সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরলাম বা যেসব তথ্যগুলো দিতে হতে পারে সেগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরলাম।
- বিকাশ এজেন্টের জন্য প্রথমত আপনাকে তাদের চাহিদার মত টাকা এজেন্ট সিমে বিনিয়োগ করার আর্থিক অবস্থা থাকতে হবে।
- প্রতিমাসে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট খুলতে হবে।
- এজেন্ট একাউন্ট সিমে সর্বনিম্ন 10 থেকে 15 হাজার টাকা ব্যালেন্স রাখতে হবে।
- প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা লেনদেন করতে হবে।
- প্রথমত যে বিষয়টি বলা হয় যে আপনার যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে তার ট্রেড লাইসেন্স সাবমিট করতে হবে।
- টিন সার্টিফিকেট লাগবে।
- নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করা প্রিপেইড সিম কার্ড যা কিনা কোন অ্যাকাউন্ট খোলা নাই সেই রকম একটি সিম লাগবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্রর ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- ছবি এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সাবমিট করতে হবে।
বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে।
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে হলে আপনাকে নতুন করে আর কত টাকা লাগবে বা কত টাকা ইনভেস্ট করতে হবে সে বিষয়টি বলার কিছু নেই। কারণ ইতিপূর্বে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে আপনার বিকাশ এজেন্ট ব্যবস্থা করতে হলে আপনাকে ন্যূনতম কত টাকা ইনভেস্ট করতে হতে পারে বা বিনিয়োগ করতে হতে পারে।
আরো পড়ুন, টিন সার্টিফিকেট অনলাইন আবেদন | E TIN registration
তাছাড়া বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে আপনার ব্যবসায়ের লেনদেনের ওপর নির্ভর করে সেটি বিনিয়োগ করার চিন্তাভাবনা মাথায় রাখতে হবে। কেননা বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে গেলে আপনার ডেন ডেন্টটি কেমন হবে তা নির্ভর করে আপনার ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের স্থানের নির্বাচন অনুযায়ী।
কমিশন এজেন্ট ব্যবসা।
এ পর্যায়ে বলব যে আপনি যদি বিকাশের এজেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়ে যান কিংবা মনোনীত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে এবার আপনি নিঃসন্দেহে জেনে গেছেন যে এজেন্ট ব্যবসা করে আপনি কি রকমের লাভ সাধনা করতে পারেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাণ লেনদেনের জন্য আপনি কি রকম রকম উপভোগ করতে পারেন সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরো পড়ুন, ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় - ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম।
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার জন্য বা বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার জন্য সে সম্পর্কে সব ব্যক্তিরই কৌতূহল থাকে যে কত টাকা এজেন্ট হিসেবে লাভ করা যায় অর্থাৎ শুরুতে বলে রাখা ভালো আপনি দুই রকমের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে যেন করতে পারেন। এর মধ্যে থেকে একটি হল বিকাশ ইউএসএসড কোড ডায়াল করার মাধ্যমে এবং অন্যটি হল বিকাশ ব্যবহার করার মাধ্যমে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন।
বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত ?
বর্তমানে বিকাশ এজেন্ট লাভ বা কমিশন দুইভাবে বিভক্ত হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে ম্যানুয়ালি বা ইউএসডি কোড ব্যবহার করে আর অন্যটি হচ্ছে বিকাশ এজেন্ট ব্যবহার করে বিকাশ এজেন্ট কমিশন বাড়তি আয় করতে পারেন।
আরো পড়ুন, কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয় | প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম।
ম্যানিয়ালি পদ্ধতি বা ইউএসডি কোড ব্যবহারঃ ম্যানুয়ালি বা ইউএসডি কোড ব্যবহার করে বিকাশ এজেন্ট কমিশন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা থেকে আপনি সাধারণত ৪.১০ পর্যন্ত কমিশন পেয়ে থাকবেন।
বিকাশ অ্যাপসঃ বিকাশ এজেন্ট কমিশনের জন্য বিকাশ অ্যাপস থেকে সাধারণত চার টাকা তিরিশ পয়সা পর্যন্ত বাড়তি কমিশন পেয়ে থাকবেন।
বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দাদা পোস্টার হিসেবে বিকাশ এখন দেশের সেরা তাই বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে এখুনি আগ্রহ যদি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এর সুবিধা অনেক রয়েছে। বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার লাভ হচ্ছে বা অসুবিধা হচ্ছে আপনি এ ব্যবসা মূলত কমিশন পাবেন। আপনার সেলস বার লেনদেন যত খুশি হবে আপনি বিকাশ এজেন্ট কমিশন থেকে তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুন, পেওনিয়ার একাউন্ট কি | পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ
আপনি এক লক্ষ টাকা দেবিকা এজেন্ট ব্যবসা শুরু করে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসে আয় করতে পারেন। যা কিনা অন্যান্য ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে এতটা সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা একটি লাভজনক এবং গ্রহণযোগ্য ব্যবসায়ী হিসেবে ধরা যেতে পারে।
বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট।
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। তাই বলা যায় যে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে আপনি খুব সহজেই এবং কোন আর্থিক ঝুঁকি ছাড়াই এ ব্যবসাটি খুব সহজে পড়তে পারে। বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট ব্যবসার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসায় লাভের পরিমাণও বাড়াতে পারেন।
সম্মানিত ব্যবসায়িক ভাই ও বোনেরা। বিকাশের এজেন্ট সিম নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং বিকাশ এজেন্ট কমিশনের সুবিধা গুলো কি কি আপনারা ইতিমধ্যে হয়তো জেনে গেছেন বা আমার এই পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন বা আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে কি কি সুবিধা নিতে হবে বা কি কি কাগজপত্র সাবমিট করতে পারে।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url