নবজাতকের বিভিন্ন সমস্যা | সুস্থ নবজাতকের লক্ষণ।
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত মা ও বোনেরা আজকে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে নবজাতক শিশু সম্পর্কে কিছু কথা আলোচনা করেছি। নবজাতক শিশু জন্মের পরপর কিছু যত্ন নেওয়া প্রতিটি মায়ের দায়িত্বে এবং কর্তব্য হয়ে ওঠে। নবজাতক শিশুর দায়িত্ব এবং যত্ন সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক কথাই বলা যাবে এর মধ্যে আমি একটি কথা উল্লেখ করব সেটি হচ্ছে নবজাতকের স্কিন কেয়ার সম্পর্কে। চলুন আমি আজকে নবজাতক শিশুর স্কিন কেয়ার সম্পর্কে কিছু কথা বলি।
একটি নবজাতক শিশু জন্মের পরপর অন্যান্য দায়িত্ব কর্তব্যর পাশাপাশি শুরু থেকে এই স্কিন কেয়ার বাফাটির ওপর বাবা-মায়ের দায়িত্ব দেওয়া জরুরি সেটি হচ্ছে শিশু ত্বক। মনে রাখবেন, শিশু জন্মের পর তাদের ত্বক লাজুক হয়ে থাকে।
পোষ্ট সুচিপত্রঃ
- নবজাতকের বিপদ চিহ্ন
- নবজাতকের শ্বাসকষ্টের লক্ষণ
- নবজাতকের ঠান্ডা লাগার লক্ষণৎ
- নবজাতকের অসুস্থতার লক্ষণ
- সুস্থ নবজাতকের লক্ষণ
সেই সাথে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। তাই একদম শুরুতে হঠাৎ করেই কোন ধরনের বাজারে পাওয়া যায় এমন ক্রিম বা তেল সুগন্ধি এবং অন্যান্য কাপড় ব্যবহার করলে তা সিসুর চামড়ায় শুষ্কতা এমনকি লালচে রাসের মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেই ব্যাপারে প্রতিটি বাবা-মায়ের সন্তান জন্মের আগে থেকে সাবধান হওয়া উচিত।
নবজাতকের বিপদ চিহ্ন।
প্রথমে বলা যায় যে সন্তান জন্মের পর সবার আগে যে কাজগুলো করতে হবে তাহলেও শিশুর জন্য কমল এবং উষ্ণ আরামদায় জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। শিশু জন্মের পর তার শরীরের চামড়া ভার নিক্স এক ধরনের তৈল জাতীয় পদার্থ থাকে এর পদার্থ অনেকটাই এন্টিবডির মতো কাজ করে থাকে। তাই বাইরে ধুলোবালি কিংবা অন্য কিছু যা শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আরো পড়ুন, বড় দাঁত ছোট করার উপায় - দাঁত কাটার খরচ।
এসব ক্ষতিকার ধরা বলে শিশু শরীরে যাতে না আসতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে আমাদের দেশের মায়েদের একটি খুবই সাধারণ ব্যাপার দেখা যায় সন্তান জন্মের পর তার শিশুকে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করিয়ে ফেলতে। সে সাথে শিশু ত্বকের নানা ধরনের দেশি-বিদেশি ক্রীম লাগানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন, এ ধরনের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
সন্তান নবজাতকের শ্বাসকষ্টের লক্ষণ।
জন্মের পর অন্তত সাত দিন শিশুকে গোসল করানো অথবা ক্রিম লাগানো এ ধরনের কোন কিছু লাগানো সঙ্গে চলছে না থাকাটাই বাঞ্জনীয়। কারণ গোসল করাটা শিশু ত্বকে প্রাকৃতিক যে তেলের স্তরটি থাকে তা সরে যাবে এবং শিশু ত্বক আরো লাজুক প্রকৃত হয়ে পড়বে। একজন নবজাতকের জন্য গোসলের নিয়ম হচ্ছে সপ্তাহে তিনবার। তবে অবশ্যই সেটা পানি ঢেলে গোসল নয় স্পন্স কিংবা নরম কাপড় হালকা কুসুম গরম পানিতে চুবিয়ে শরীরের মুছে ফেলতে হবে। আরো পড়ুন, শিশুর ত্বকের সমস্যা ও সমাধান | নবজাতকের যত্নে করণীয় ও পরিচর্যা।
এর বেশি গোসল করলে শিশু ঠান্ডা এবং অন্যান্য রোগের সাথে ত্বকের তেলের আসতেও সরে গেলে একজিমার মত ভয়াবহ চামড়ার রোগ হওয়া সম্ভব না অনেকে বেড়ে যায়। সাধারণ প্রসেসু মুখের লালা এবং ডায়াফা ছাড়া নবজাতক শিশুকে খুবই একটা নোংরা দেখায় না।
তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার স্পঞ্জ দিয়ে গা মুছে দিলে অনেকটাই সুফল পাওয়া যাবে। আর দিনে একবার ক্লিন স্যার কিংবা অল্প একটু পানি দিয়ে মুখে ভেতরটা পরিষ্কার করে নিলেই হবে যাতে করে শিশুর জন্মের পর অন্তত এক বছর এই নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
নবজাতকের ঠান্ডা লাগার লক্ষণ।
আমি আগেই বলেছি শিশুর জন্মের পরেই আমাদের দেশে নারীরা তাদের শরীরে বিভিন্ন দেশে-বিদেশি বেবি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চান কিন্তু একটি শিশু জন্মের পর অন্তত প্রথম ৬ মাস এই জিনিসগুলো থেকে সাবধান হতে হবে। আপনার বংশে যদি এলার্জি কিংবা অ্যাজমা এর ভয়াবহ রোগ থেকে থাকে তাহলে তো প্রশ্নই আসে না।
কারণ নামে উপকারী হলেও এসব বেবি প্রোডাক্ট শিশু শরীরে প্রাকৃতিক আবরণ নষ্ট করে ফেলে যার কারণে শিশু ত্বকের স্কিন ইনফেকশন হতে পারে। আরো পড়ুন, দাঁত ব্যথা কমানো প্রাকৃতিক উপায় - দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়।
নিয়মিত শিশু বিছানা পত্র এবং কাপড় পরিষ্কার করে নিতে হবে সে ক্ষেত্রে সুগন্ধি ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। শুধু তাই নয় পরিবারের অন্য সদস্যদের জামা কাপড়ের সাথে শিশুর লন্ড্রি মেলাবেন না কেননা সম্পূর্ণ আলাদাভাবে পরিষ্কার ও গরম পানি দিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন।
নবজাতকের অসুস্থতার লক্ষণ।
আপনার শিশ ুর ড্রাইভার নিয়মত চেক করবেন কারণ অধিক সময় ধরে নোংরা ড্রাইভার পড়া থাকলে শিশু চামড়ায় রাস হতে পারে। তাই নোংরা হলে যত দ্রুত সম্ভব চেঞ্জ করে ফেলতে হবে বা পরিবর্তন করে নিতে হবে। পথ মোছার জন্য বাজারে baby wife না ব্যবহার করাটাই ভালো হবে কারণ এর পরিবর্তে পরিষ্কার নরম কাপড় ব্যবহার করাটাই উত্তম হতে পারে। আরো পড়ুন, টিন সার্টিফিকেট অনলাইন আবেদন | E TIN registration
বেবি ওয়াইফাই থাকা ক্যামিকেল শিশু ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে আর স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া যদি বেবি তেল কম পাউডার ব্যবহার করেন তবে লক্ষ্য রাখবেন পাউডার যাদের শিশুর মুখের দিকে না যায় কেননা এতে শিশুর চাষের সমস্যা হতে পারে।
সুস্থ নবজাতকের লক্ষণ।
আর শিশুর ত্বককে আরো স্বাস্থ্যকর করে তুলতে মেসেজ করতে পারবেন তাই সেটা অবশ্যই জন্মের অন্তত দশ সপ্তাহ পর থেকে শুরু করতে পারেন। কিছু রিসার্চে দেখা গেছে শিশুকে কিভাবে স্পর্শ করা হচ্ছে তারপর শিশুর সুস্থতা ও বুদ্ধি খানিকটা নির্ভর করে থাকে। শিশুশ্রীর মেসেজের জন্য স্পেশাল কোন টেকনিক নেই তবে একটি উষ্ণ রুমে শিশুকে ভাজ করা কম্বলের উপর উপর করে শোয়ানো যেতে পারে। আরো পড়ুন, বিকাশ লোন কিভাবে পাওয়া যাবে - বিকাশ লোন কারা পাবে।
এরপর স্বাস্থ্যকরণ নিরাপদ দেবী লোশন কিংবা বেবি ওয়েন হাত রেখে নিয়ে আলতো করে শরীরে গলানো যেতে পারে। মনে রাখবেন শিশুর শরীরে যাতে চাপ না লাগে কেননা এতে শিশুর ব্যথা লাগতে পারে। সাবধানে আলতোভাবে সারা শরীর মেসেজ করে দিলে এতে শিশুর চামড়া নরম ও স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
সুস্থ হাসি খুশি একজন নতুন অতিথিকে কে না চাই তাই আপনার নবজাতকের ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা লক্ষী জন্ম থেকে তার যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। আরো পড়ুন, পাইকারি ব্যবসা I পাইকারি ব্যবসার নাম I পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার পার্থক্য।
সম্মানিত মা ও বোনেরা আমি এই প্রশ্নের মাধ্যমে অনেকেই হয়তো শিশুর প্রতিটি যত্নের দায়িত্ব কথা উল্লেখ করতে পারেন তবুও চেষ্টা করেছি আপনাদের মাধ্যমে শিশুর প্রতিটি যত্নের দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো তুলে দেওয়া। অন্য একটি পোস্টে আমি শিশুদের ত্বকের সমস্যা এবং সমাধান তুলে ধরেছে অবশ্যই আপনারা সেটি পড়ে নেবেন।
পরিশেষ পোস্টে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন এবং এরকম আরো শিশুর পোস্টগুলো পাওয়ার জন্য আমার এই পোস্টে কমেন্ট করে রাখবেন যাতে আমি অন্যান্য পোস্টগুলো দিতে উৎসাহী হয়ে উঠে এবং আপনারা তা সেগুলো পেতেন পারেন ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন আবার এই পোস্টটি পড়ার জন্য নতুন কিছু পোস্টের উপহার দেওয়া পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url