রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার - চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার।
আসসালামু আলাইকুম ত্বক প্রতিটি মানুষের এটি অমূল্য সম্পদ এটি আল্লাহ তাআলার দান। আর এইসব ত্বকের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। কেউ বা কালো শ্যামলা ত্বকের জন্য বিভিন্ন কসমেটিক ব্যবহার করি আবার কেউবা বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের জন্য বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে থাকে।
আজকে আমি এই ত্বকের সমস্যার সম্পর্কে এবং রূপচর্চায় এমন দুটি প্রাকৃতিক নিরাময়ের নাম বলবো বা সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এই দুইটি নিরময়ের একসঙ্গে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে অনেকটাই কার্যকরী উপাদান বা রূপচর্চায় অনেকটাই ভূমিকা পালন করবে।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
- মধু দিয়ে ফেসিয়াল
- মধু মুখে মাখলে কি হয়
- মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়
- ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
- তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
- চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
ভূমিকাঃ সম্মানিত পাঠক আপনারা ত্বকের বাড়ুক চর্চায় বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু অনেকটাই সুফল লাভ করতে পারেন না। আজকে আমি যে দুটি উপাদান নিয়ে আলোচনা করব সেটি রূপচর্চায় অনেকটাই সহায়ক হিসেবে কাজ করবে যেমনটি কিনা মধু এবং নিমের পাতা বা নিমের রস। এটি ব্যবহার করে চর্মরোগ নিরাময় করতে পারবেন।
মধু দিয়ে ফেসিয়ালঃ
মানুষের রূপচর্চায় বিশেষ করে মুখের ওপর অংশটুকু অনেক ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয় কিন্তু এক্ষেত্রে আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আমি বলব মধু দিয়ে ফেসিয়াল করলে আপনি অনেকটাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবেন। মধু দিয়ে ফেসিয়াল করলে যে সব গুণাবলী আপনার চেহারায় বা রূপচর্চায় প্রকাশ পাবে আমি সংক্ষেপে আলোচনা করব।
আরো পড়ুন, দাঁত ব্যথা কমানো প্রাকৃতিক উপায় - দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়।
মধু দিয়ে ফেসিয়াল করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু মধু নিয়ে মুখ নাক এবং ঘাড় ইত্যাদি জায়গায় ভালোভাবে মেখে নিতে হবে এরপরে বেশ কিছু সময় নিয়ে সেটিকে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আপনার মুখে কিছু সময়ের জন্য যখন মধু লাগানো বা মধু লাগিয়ে রাখা হবে বেশ কিছুক্ষণ পরে হালকা গরম পানি দিয়ে সেটিকে ধুয়ে ফেলতে হবে। মধু দিয়ে ফেসিয়াল করলে এটি মইচারাইজ হিসেবে কাজ করে যা আপনার ত্বককে অনেক উজ্জ্বলতা এবং ফর্সা দেখাবে।
মধু মুখে মাখলে কি হয়ঃ
সম্মানিত পাঠক আপনি যদি রাতে শোয়ার সময় বা ঘুমানোর আগে মুখে মধু মেখে রূপচর্চায় উজ্জ্বলতা আনতে চান তাহলে আমি বলব আপনারা কিভাবে রাতে মুখে মধু মাখার নিয়ম গুলো কি কি বা কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে আমি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব।
আশা করি সে নিয়মটা পালন করলে নিয়মিত এক থেকে দেড় মাস বা দুই মাস রাতে মুখে মধু মাখলে আপনার ত্বকের রূপচর্চায় উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। সেক্ষেত্রে আপনাকে বলব রাতে মুখে মধুমাখার নিয়ম গুলো হল আপনি যখন রাত্রে ঘুমানোর আগে বিশেষ করে মুখে ঘাড়ে এবং মুখমণ্ডল সমস্ত জায়গাটি ভালো করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।
আরো পড়ুন, বড় দাঁত ছোট করার উপায় - দাঁত কাটার খরচ।
এরপর মধুর পাতলা প্রলেপগুলো আলতো করে মুখ মন্ডলে মেখে দিতে হবে। এরপরে যা করণীয় তা হল ৮ থেকে ১০ মিনিট মুখে মধু মেখে রাখতে হবে এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।
মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়ঃ
মধু একটি ন্যাচারাল মইচারাইজার উপাদান এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ। মধুর রূপচর্চায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে কেননা মধুতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি কন্যাচারাল যা খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করতে অনেকটা সহায়তা প্রদান করে থাকে।
বিশেষ করে মধু রূপচর্চায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে আমাদের প্রত্যেকেরই বাসা বাড়িতে মধু একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে রাখি তাছাড়া মধু বিভিন্ন ধরনের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। সেই নিয়মে প্রতিদিন আমরা মধু ব্যবহার করলে বিশেষ ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারিতা পেয়ে থাকবো।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহারঃ
যুগ যুগ ধরে ত্বক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে নিম। নিম গাছের সবুজ পাতা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। জেনে নিন দাগ হীন কমল উজ্জ্বল ত্বক পেতে যেভাবে নিমের ফেসপ্যাক তৈরি করবেন।
মিমের সঙ্গে হলুদ মেশানো ফেসপ্যাক ত্বকের ব্রণ দাগ দূর করার পাশাপাশি আরো উজ্জ্বল আবহাওয়া রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয় থাকে। নিম্নে কয়েকটি ফেসপ্যাক সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলোঃ
নিম ও চন্দনের ফেসপ্যাকঃ
নিম এবং চন্দন উভয়-প্রদান ত্বকের পুষ্টি যোগায় সহায়তা করে। ৩ টেবিল চা চামচ নিমপাতার পাউডারের গোয়া সঙ্গে ৩ টেবিল চন্দন পাউডারের ঘোড়া এক টেবিল গোলাপ জল ও পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে ফেস তৈরি করে নিতে হবে এরপরে মুখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
নিম ও শসার ফেসপ্যাকঃ
নিম এবং শসার এফেক্ট প্যাক ব্রোন স্মল জ্বালাপোড়া করায় পেস্ট করে মিশিয়ে মুখে লাগান শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন এতে অনেক উপকারিতা পেয়ে যাবেন।
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহারঃ
তৈলাক্ত ত্বকে রূপচর্চায় নিম পাতার বিশেষ গুণাবলী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার কার্যকরী ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৈলাক্ত ত্বকের নিম পাতার ব্যবহারের জন্য এক চা চামচ নিমের গোড়া পাতা এবং এক চা চামচ চন্দন কাঠের গুড়া পাতা দিয়ে একসঙ্গে ভালোভাবে পেস্ট করে মুখে মাখিয়ে তারপরে কিছুক্ষণ রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন। রূপচর্চায় নিম পাতার এবং গোলাপজলের ও চন্দন কাঠের অনেক কার্যকারিতা ভূমিকা রয়েছে।
চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহারঃ
রূপচর্চার জন্য নিম পাতা জীবনটি গুণাগুণ অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন সেই ভাবে ত্বকের জন্য চর্ম রোগের নিয়ম পাতার ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে বিশেষ করে ব্রণ চুলকানি ফুসকুড়ি ইত্যাদি রোগে এই নিম পাতা অনেকটাই কার্যকরীকে ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাছাড়া নিমপাতা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকার কেননা গরম ত্বককে দ্রুত ঠান্ডা করতে সহযোগিতা করে থাকে। এক্ষেত্রে আরো বলা যায় যে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে বা একজিমার ক্ষেত্রে নিম পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শেষ কথাঃ সম্মানিত ভাই ও বোনেরা রূপচর্চায় মধু নিমপাতা ও চর্ম রোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ঘরোয়া পরিবেশে সাধারণত নিমপাতা এবং মধু এই দুটিকে কাজে লাগিয়ে রূপচর্চায় ব্যাপকভাবে সফলতা আনতে পারি। রূপচর্চায় যেমনটি মধুর ব্যবহার সেই রকম নিম পাতারও ব্যবহার অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url