আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ | আলু চাষের উপযুক্ত সময় | আলু তোলার সময়।
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত আলু চাষী ভাই ও বোনেরা, আমি আজকে আপনাদের মাঝে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কিভাবে আলু চাষ করে লাভবান হওয়া যায় সেই প্রক্রিয়াটি আলোচনা করব। আলোচনা শুরুতেই আপনারা আমার এই পোস্টটিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে বিজ্ঞানসম্মত উভয় আলু চাষ করে লাভবান কিভাবে হওয়া যাবে।
আলু বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফসল। উৎপাদনের দিক থেকে ধান গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে রয়েছে আলো।বাংলাদেশে আলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। বাংলাদেশের সর্বত্রে এবং ইন্ডিয়া থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশেও এর চাষ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়া ও বাজারজাতকরণের জন্য কিছু জেলায় বিশেষ করে বাংলাদেশে এর চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে।
আলু চাষে উন্নত জাত ও উৎপাদন কলাকৌশলঃ
বাংলাদেশ এবং ভারতের কালো সাধারণত সবজি হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। বিভিন্ন তরকারির সাথে আলু খেতে খুবই মুখরোচক খাদ্য। প্রক্রিয়া জাত হিসেবে আলু বিদেশেও রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়ে থাকে। আলু একটি স্টার্চ প্রধান খাদ্য এবং ভাতের ও বিকল্প হিসেবে এর তুলনা অকল্পনীয়। পৃথিবীর অন্তত 40 টি দেশে আলো মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহারিত হয়ে আসছে। আলু একটি স্বল্প মেয়াদী এবং উচ্চ ফলনশীল ফসল যা জমির স্বল্প আইনতে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা প্রধান করে।
আরো পড়ুন,
বর্তমানে বাংলাদেশে আলো হেক্টর প্রতি গড়ে ফলন মাত্র 12 টন। আলোর উৎপাদন বিশ টন পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব বলে ধারণা করা হয়। এবং ফলন বাড়লে উৎপাদন খরচ কমবে বলে আশা করা যায়। ভাতের পরিবর্তে আলু খেলে চালের উপর বাড়তি চাপ কমবে বলে ধারণা করা যেতে পারে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভাতের বদলে যদি আলো মাঝে মাঝে খাওয়া হতো তাহলে চালের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল কম থাকতে হতো।
চাষের জন্য আলুর জাত নির্বাচনঃ
ভালো জাতের আলো চাষ করলে একদিকে চাচ্ছি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবে আবার অন্যদিকে ফলন আশা অনুরোপ ফলনও পেতে পারে। সেক্ষেত্রে বলা যায়, চাঁদ নির্বাচনে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে যাত্রী নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে যেসব জাতের আলো চাষ হয়ে থাকে তা হল দেশি জাত এবং উচ্চ ফলনশীল উন্নত জাত হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
বর্তমানে আলো চাষের মোট জমির শতকরা ৬৫ ভাগ জমিতে উন্নত জাতের আলু এবং ৩৫ ভাগ জমিতে দেশী জাতের আলো চাষ করা হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়।
দেশি জাত নির্বাচনঃ
দেশি আলুর ফলন কম হলেও এই জাতের বৈশিষ্ট্য হল যে অনেকদিন ধরে ঘরে রেখে বা স্টক রেখে খাওয়া যেতে পারে। দেশি জাতের আলু আকারে ও ওজনে খুব ছোট হয় যা পাঁচ থেকে আটচল্লিশ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। কিছু দেশি জাত আছে যা উন্নত জাতের চেয়েও অনেকটাই আসল রূপ এবং দেশি জাতের আলো তুলনামূলকভাবে খেতে খুব সুস্বাদু।
বর্তমানে বাজার মূল্যে উন্নত জাতের চেয়ে বেশি যাতে আলো বেশি দামে বিক্রয় করা হয়। দেশি জাত সমূহের মধ্যে হাউস চল্লিশা, দোহাজারী লাল, কেনতাসিল, হাস্রাইল, লালপাকরি, লাল শীল, পাটনায়, সাদা গুটি, সিল বিলাতি এবং সূর্যমুখী। দেশি জাত গুলো বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হয়ে দেশী জাতের আলু ফলন কমিয়ে দেয়।
বিশেষ করে বীজের মাধ্যমে এই আলোর রোগগুলো ছড়িয়ে থাকে। তাই বলা যায় যে দেশী জাতের আলুর জাত নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ করে রোগমুক্ত বীজে সংগ্রহ করে বপন করায় উত্তম।
উচ্চ ফলনশীলতাঃ
১৯৬০ সাল থেকে এ পর্যন্ত যেসব উন্নত জাতের আলুর চাষ করা হচ্ছে তার মধ্যে হীরা, আইলসা, পেট্রোনিস, মুলটা, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, মনটিয়াল, কুফরি সুন্দরী, চমক, ধিরা, জ্ঞানলা, ক্লিওপেট্রা এবং চিনেলা জাতের আলু বিশেষ করে বেশি চাষ হয়ে থাকে। বারি টিপি ক্রস ১-২ নামের দুইটি হাইব্রিড জাত ের আলু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে উদ্ভাবন করা হয়েছে।
এছাড়াও বাড়ি আলু এক হীরা,বারি ৪ আইলসা,বারি ৮ কার্ডিনাল ইত্যাদি জাতের আলু রয়েছে, এসব যার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে উদ্ভাবক করা সম্ভব হয়েছে। এসব জাতের আলু সবগুলোই উচ্চ ফলনশীল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
উৎপাদন পদ্ধতিঃ
বাংলাদেশের কৃষক আলু উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি এবং কলা কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। কিন্তু এগুলো বিজ্ঞানসম্মত কিনা তা এখনো বলা যাবে না। বিশেষ করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে আলু চাষ করলে একদিকে যেমন কৃষক লাভবান হবে অন্যদিকে হলনও অধিক হারে বৃদ্ধি পাবে।
আলু চাষের জন্য মাটির নির্বাচনঃ
বাংলাদেশে বিশেষ করে আলু চাষের জন্য বেলে দোয়াশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী বলা যায়।
উৎপাদনের মৌসমঃ
বাংলাদেশের সাধারণত নভেম্বর মাসের আগে আল ু লাগানো যায় না কারণ তার আগে জমি তৈরি সম্ভব হয় না বলে এটি করাও সম্ভব নয়। নভেম্বরের পরে আলু লাগালে খুব ফলন কমে যায়। এর জন্য উত্তরাঞ্চলের মধ্যে কার্তিক অর্থাৎ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এবং দক্ষিণাঞ্চলের অগ্রহায়নের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহ ও নভেম্বরের মধ্যে থেকে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত আলো লাগানো যেতে পারে।
বীজের হার নির্ধারণঃ
প্রতি হেক্টর এক থেকে দেড় টন এবং রোপণের দূরত্ব ৬*২৫ সেন্টিমিটার গোটা বা আস্তোআলু এবং ৪৫*১৫ সেন্টিমিটার কাঁটা আলু লাগানো যায়। কৃষকেরা ঘরে সংরক্ষিত দেশি জাতের যে বীজ ব্যবহার করে থাকে তা খুবই নিকৃষ্ট মানের হয়ে থাকে। কেননা কোন সময় বা কোন অবস্থাতেই হিমাগারে থাকা আলোর মাঝখানে কালো দাগ দেখা যায়। মাঠে থাকা অবস্থায় বা সংরক্ষণের সময় যদি উচ্চ তাপমাত্রায় অর্থাৎ ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে এর উপরে থাকলে বা অক্সিজেন বিহীন অবস্থায় থাকলে এমনটি সমস্যা হয়ে থাকে।
এই রোগটি ব্লাক হার্ট রোগ বলে। আবার যদি হিমাগারের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট এর নিচে চলে যায় তাহলে আলু শীতলার ঘাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এ ধরনের আলু গজাবে না। তাই কৃষক অবশ্যই এই দিকটাকে বিবেচনা করে আলোর বীজ সংগ্রহ করবেন যাতে কিনা উচ্চ ফলনশীল আলো হিসেবে পরিচিত করা হয় এবং উৎপাদন শ্লীলতা বৃদ্ধি পায়।
বীজ শোধন পদ্ধতিঃ
যদি সম্ভব হয়ে থাকে আলোর বীজকে মারকিউর রিক ক্লোরাইড এক গ্রামে নিয়ে দুই লিটার পানিতে মিশিয়ে এক থেকে দুই ঘন্টা ডুবিয়ে নিলে ভালো হয়। আবার বোরিক এসিডে 0.5% দ্রবণে আলু বীজ ১৫ থেকে ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলেও ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। কাঁটা বীজ বা গজানো বীজ শোদন করা কখনোই সম্ভব হবে না তাই কাটা বা গজানো বীজ আমরা শোদনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবোনা।
বীজের আকার নির্ধারণঃ
২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম ওজনের বীজ রোপন করা সবদিক থেকে ভালো বলে মনে করা হয়।
আলুতে স্যারের পরিমাণ নির্ধারণঃ
কৃষকেরা যদি আলুর উচ্চ ফলন পেতে চাই তাহলে সুষম স্যারের বিকল্প নেই। সাধারণত কিছুকের জন্য আলু চাষের নিমুক্ত হারে স্যার প্রয়োগ ও ব্যবহার করা প্রয়োজন নিচে দেওয়া হল।
- টিএসপি ১২০ থেকে ১৫০ কেজি প্রতি হেক্টর।
- এমওতি হেক্টপি ২২০ থেকে ২৫০ কেজি প্রর।
- জিপসাম ১০০ থেকে ১২০ কেজি প্রতি হেক্টর।
জিংক সালফেট ৮ থেকে ১০ কেজি প্রতি হেক্টর। অম্লীয় বেলে মাটির জন্য বরুণ ৮ থেকে ১০ টন প্রতি হেক্টর।
আলু চাষের জন্য জমিতে যদি সবুজ স্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে গোবর সারের প্রয়োজন নাই।
জমিতে সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
গোবর অর্ধেক ইউরিয়া টি এস পি, এমওপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট আলুর বীজ ভবনের পূর্বেই মাটির সাথে মিশে দিতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর যখন আলুর নালা তৈরি করে মাটি তোলার সময় বা মাটি দেওয়ার পূর্বেই ছাড়িতে ছিটিয়ে দিতে হবে।
জলবায়ু ব্যবস্থা গ্রহন করাঃ
আলু চাষের জন্য তাপমাত্রা ও আলোর প্রভাব খুবই প্রকট দেখা গিয়েছে যা ১৫ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রে ড গড় তাপমাত্রা উপরে গেলে ফলন কমতে থাকবে। আবার ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটেড থেকে আলুর আলুর উৎপাদন ছিল তা লোপ পেয়ে যায়।
আবার ১০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে গেলে গাছের বৃদ্ধি কমে যায়। এজন্য আলু লাগানোর সময় 20° সেন্টিগ্রেড থেকে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় থাকে সে দিকটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। এ তাপমাত্রায় গাছ দ্রুত বীজ থেকে গাছ বের হয়ে আছে। আবার বাংলাদেশে দেখা গেছে যে বছর মেঘ মুক্ত আকাশে তাপমাত্রা সঠিকভাবে থাকে সে বছর আলুর ফলন ১০ থেকে ২৫ পার্সেন্ট বেড়ে যায়।
সেচ পদ্ধতি অবলম্বন করাঃ
আলু শীতকালীন সবজি আর এই শীতকালে শুষ্কর জন্য আলু চাষ সেচের প্রয়োজন তেমন একটা হয়। পানির প্রাপ্যতা কম হলে আলুর ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। গবেষণায় দেখে গেছে যে বীজ আলু বপনের বীজ থেকে 25 দিনের মধ্যে একবার শেষ দিতে হবে এবং 40 থেকে 45 দিনের মধ্যে দ্বিতীয় সেচ দেওয়া যাবে এরপরেও ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে আরেকটি শেচ দিলে খুব ভালো হবে। তবে দেশের ত্বরণ চলে আট থেকে দশ দিন পর শেষ দিলে ফলন বেশি পাওয়া যায় বলে জানা গেছে।
পরিচর্যা সমূহঃ
আলু লাগানো ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর গোড়ায় মাটি দেওয়ার দরকার এবং সেই সাথে আগাছা দমনও করতে হবে যাতে খেতে কোন প্রকার আগাছা না থাকে।
রোগ মুক্তকরণ এবং পোকামাকর সমূহঃ
আলুর মাঠে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে এর মধ্যে আলুর মাকড় রোগ, আলুর আগাম রোগ, বা পাতা মোড়ানো, কুঁচকে যাওয়ার মত দেখায় কান্ড আলু পচন রোগ, ঢলে পড়া ও বাদামে পচন রোগ, আলুর শুকনো পচা রোগ, আলুর নরম পাতা রোগ অন্যতম হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যাতে করে রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করাটাই উত্তম। রোগ দেখা দিলে শেষ দোয়া রাখতে হবে এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বা অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাথে পরামর্শ নিয়ে বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
পোকামাকড় দমন করাঃ
আলু ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় দেখার যায় এদের মধ্যে আলু কাটুই পোকা বিশেষ করে অন্যতম। এ পোকার ক্রীড়া বেশ শক্তিশালী চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ মিলিমিটার লম্বা হয়। এই পোকা চারা গাছ কেটে দেয় এবং আলোতে ছিদ্র করে ফেলে এইজন্য আলুর ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোটি প্রকার প্রকোপ বেশি না হলে কাটা আলো গাছ দেখে তার কাছাকাছি মাটি উল্টাপাল্ট করে ক্রিড়া খুঁজে বের করে মেরে ফেলতে হবে।
এবং আক্রান্ত গাছ সাথে সাথে জমিন থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও প্রতি লিটার পানির সাথে ডারসবান ২০ ইসি ও পাঁচ মিলি হারে মিশিয়ে গাছের গোড়া ও মাটি ভিজিয়ে 30 থেকে 40 দিন পর স্প্রে করে দিলে ভালো সুফল পাওয়া যায়।
আলুর সুতলি পোকা ও আলুর উৎপাদনের বাধাগ্রস্ত করে এমন ধরনের পোকা দেখা যায়। এ পোকা দেখতে খুবই ছোট ঝালর যুক্ত সরু ডানা বিশিষ্ট সাদাটেবা হালকা গোলাপি বর্ণের এবং ১৫ থেকে ২০ মিলিমিটার লম্বা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ পোকা আলুর মধ্যে লম্বা সুরঙ্গ করে ক্ষতি করে থাকতে পারে। কৃষকের বাড়িতে রাখা আলু এ পোকা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হয়ে থাকে।
পোকা দমন পদ্ধতি অবলম্বন করাঃ
বাড়িতে রাখা আলোতে শুকনা বালি ছাই তুষ অথবা কাঠের গোড়া পাতলা স্তর দিয়ে বা পাতলা স্তর করে ঢেকে রাখতে হবে। যাতে করে পোকা আলুর সংস্পর্শে না আসতে পারে। আলু সংরক্ষণের পূর্বে সুতলি পোকার খাওয়া আলো ফেলে দিতে হবে।
ফসল সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করাঃ
আলু পরিণত হলে আলো গাছের কান্ড হেলে পড়ে এবং নিচের দিকে পাতা হলুদ বর্ণ হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আলু সংরক্ষণ করতে হলে অবশ্যই পরিপক্কতা লাভ করার পর ফসল সংগ্রহ করা উত্তম। উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু ৮০ থেকে ১০০ দিন সময় লাগে পরিপজ্ঞতা আসতে এবং দেশী জাতের আলুর সময় আরো বেশি লাগে।
বাংলাদেশের উচ্চ ফলনশীল জাতের হেক্টর প্রতিফলন ১২ থেকে ১৩ টন এবং দেশী জাতের আলু সাত থেকে আট টন পর্যন্ত হয়ে থাকে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষ করলে উচ্চ ফলনশীল জাতের আলোতে ২০ থেকে ২১ টন ফলন পাওয়া সম্ভব বলে ধারণা করা হয়।
সম্মানিত কৃষক ভাই ও বোনেরা আলু চাষ পদ্ধতি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ব্যক্ত করা হলো। যদি আপনারা এই পোস্টটি পড়ে আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url