হোস্টিং ও ডোমেইন কি | ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়।
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আমরা এতদিন শুনে এসেছি যে হোস্টিং ছাড়া ডোমেইন তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই আজকে আমার মনে হল আপনাদের একটি মজার বিষয় বা টিপস শেয়ার করি। হ্যাঁ এটাই সত্য কিভাবে হোস্টেল ছাড়া ওয়েবসাইট ডোমেইন তৈরি করবেন সে বিষয় নিয়ে আমি আজকে বিস্তারিত লিখব। শুধু হোস্টিং ছাড়া ডোমেইন তৈরি নয় এই পোস্টে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চে এক থেকে দশ এর মধ্যে কিভাবে সার্চ ওয়ারীতে রাখবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়বেন। এবং পোস্টটি পড়ে আপনাদের মতামত কে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই লিখে আমাকে জানাবেন। সম্মানিত পাঠক চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় বা বিষয়বস্তু আলোচনা করা যাক।
আরো পড়ুন,
হোস্টিং ছাড়াই ডমিন তৈরি করবেন কিভাবে তা আবার নিজের যদি একটি জিমেইল এড্রেস থাকে সেই জিমেইলে। শুধু তাই নয় আপনি আপনার জিমেইল হোস্টিং ছাড়া অন্যান্য বন্ধুদেরও অ্যাড দিতে পারেন।
আমি আরেকটু ভেঙে বলি ধরুন আমার একটি ডোমেইন রয়েছে যেমন www.myweb.com সেক্ষেত্রে আমার জিমেইল এড্রেস যদি হয় mybd@gmail.com তাহলে কেমন হয়, হ্যাঁ সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা এই ডোমেন এবং হোস্টিং সহজেই কিভাবে করা যায় সে বিষয়টাই আপনাদের বলব।
এইজন্য প্রথমে দেওয়াল লিংকে ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে https:www google.com/apps/intl/en-gb/businesses/details.html এরপর এখান থেকে standard education এই অপশনটিতে ক্লিক করুন। এরপরে যে পেজটি আসবে সেখান থেকে get start ক্লিক করুন।
এবার যে পেজটি ওপেন হবে সেখানে ডোমেইন লেখার অপশনে আপনার ইচ্ছেমতো একটি ডোমেনের নাম লিখুন। এরপরে এডমিন অপশন টি সিলেক্ট করে গেট স্টার্ট ক্লিক করবেন। এরপরে যে অপশনটি বা পেজ টি আসবে সেই পেইজে কিছু ইনফরমেশন দিয়ে continue button ক্লিক করুন। এরপরে এডমিন এর জন্য যে জিমেইল একাউন্ট আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিবেন সেটি নির্বাচন করে accepted continue with set up এই অপশনটিতে ক্লিক করুন।
এরপরে অন্য একটি পেজ চলে আসবে সেখান থেকে verify domain ownership এখানে ক্লিক করুন। এই পেজটিতে মূলত দুইটি অপশন আসবে প্রথমত uploaded and HTML file অপশনটি নির্বাচন করার সুবিধা জনক তাই এই অপশনটি নির্বাচন করে আপনার সাইটের মেইন পেজে ডোমেইন হিসেবে Google host service. HTML নামে একটি ফাইল আপলোড করুন। এরপরে আপনার জিমেইলই একটি ভেরিফিকেশন কোড চলে যাবে সেখান থেকে কোডটি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে রাখুন। এরপরে verify কার্টুন এ ক্লিক করবেন।
এরপর প্রথমে আবার ড্যাশবোর্ডে গিয়ে active email click করবেন। এখান থেকে MX record গুলো সংগ্রহ করুন কেননা এই কাজটি ডিএনএস বিহীন free domen সাধারনত করা যায় না। তাই ডিএনএস বিহীন free domin এর জন্য মেইল একাউন্ট থেকে শুধু মেলে যাবে। এরপর আপনার ডমেইন্ড কন্ট্রোল প্যানেলে চলে যাবেন। তারপর ডিএনএস ট্যাব ক্লিক করবেন, এরপর এম এক্স রেকর্ড এ অপশনটি সংগ্রহ করে এমএক্স ম্যাক্স রেকর্ড বসিয়ে দিবেন এরপর আপলোডে ক্লিক করবেন।
কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার সাইটের জন্য মেইল সার্ভিস চালু হবে। আপনার মেইলে লগইন করার লিংকটি আপনার মেইল এড্রেস এ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে ইউ আর এল এ অপশনে গিয়ে আপনি এবং আপনার সাইটে যারা মেইল একাউন্ট করবে তাদেরকে লগইন করতে পারবেন। তবে কোন ওয়েব টুলস ব্যবহার করে লগইন ইউআরএল টি ছোট করে নিতে পারবেন। এইভাবে আপনি আপনার জিমেইল একাউন্টে অর্থাৎ হোস্টিংয়ে সুন্দরভাবে একটি ডোমেইন ক্রিয়েট বা তৈরি করতে পারবেন।
Google search query প্রথম এক থেকে দশ এর মধ্যে থাকবেন কিভাবে।
গত কয়েক মাস আগে আমার একটি ব্লগ ভারতের টিভি চ্যানেল স্টার প্লাস এর একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের টাইটেল নিয়ে মাত্র কয়েক লাইনের ব্লগ লিখে ৫০০ এর বেশী জনপ্রিয় সার্চ করেতে google search এর প্রথম ১০ এর অবস্থান করতে পারি। যা কিনা এ যাবত আমার সেরা অনলাইন এসইও বলতে পারেন।
ভারতের মতো একটি দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এর জনপ্রিয় শোতে তো ভালো অবস্থানে থাকলে গুগল এডসেন্স এর সাফল্য আর বলার প্রয়োজনই নাই। আমি গত কয়েক মাস অফলাইন অপটিমাইজেশন এবং মার্কেটিং এর সুফল এতটাই ভোগ করেছি যে অনলাইন অপটিমাইজেশন এর কথা অনেকটাই ভুলে গিয়েছিলাম।
কিন্তু গত কিছুদিন অফলাইনে অপটিমাইজেশন নিয়ে অনেকেই আপত্তি তুললে এবং সমালোচনা করলে তার থেকে কিছুটা দূরে চলে এসেছিলাম। এসব অভিজ্ঞতা থেকে দেখলাম আসলে যে আমি এতটা গাধা একেবারে তা না এবং তা প্রমাণ করা উচিত তাই আমার দুই শতাধিক ব্লক নিয়ে অপটিমাইজেশনে নেমে পড়লাম এবং সপ্তাহখানেক পরে পেতে থাকলাম সাফল্য।
তবে এর মধ্যে একটি ব্লগ একটি আর্টিকেল সাফল্য ছিল আকাশচুম্বি ওই আর্টিকেল যেসব জনপ্রিয় সার্চ কোয়ারিতে ভালো করেছি তা স্টার প্লাস পারফেক্ট বোর্ড সে জনপ্রিয় শো কালিস খা এর সংশ্লিষ্ট তো বোঝা যায় কতটা জনপ্রিয় কীওয়ার্ড। আজকে সেটা বিস্তারিত এবং কি তার কারণ তাই একটু বলব বা লিখব। এ কথা বলার আগে প্রমাণ দিয়ে নেই কারণ অনেকেই ব্লগে এরকম সাফল্যের কথা শুনলে বাস্তবে এসব ব্লগে তা প্রমাণ মনে হয়নি। তাই গুগল ওয়েব মাস্টার থেকে কি ওর পজিশন চেক করে নিতে পারবেন। এখন বলি সাফল্য এর পিছনে কি কি কারণ কাজ করেছে।
প্রথমে যে কারণ তা হলো এ বিষয়ে লক্ষ লক্ষ সাইট হয়েছে। কিন্তু আমি এগুলো সাইট হওয়ার কিছুটা আগেই এ ব্লকটি তৈরি করি। তার মানে সার্চ ইঞ্জিনে আগে ইনটেক্স করতে পারা অন্যতম একটি কারণ। তাই যেকোনো বিষয়ে অনেক শুরু করার আগেই যদি শুরু করা যায় তাহলে এমন সাফল্য নিশ্চিত।
এরপরে দ্বিতীয়তঃ যে কারণ ছিল তা হল ওই আর্টিকেলে লিংক রয়েছে সার্কয়ারীতে এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সার্চ এর কারণ।
এরপরে তৃতীয় যে কারণটা হলো সার্চ কোয়ারি তে আসতে পারে এবং প্রতিটি শব্দ আর্টিকেল দেওয়া এমন কি তুলে দেওয়া হয় যে প্রতিটি সার্জারি একটি আশায় এর অবস্থান ক্রমে উন্নতি হচ্ছে।
এগুলো ঠিক রাখার পর ব্যবহার করছি গুগলের এই ছোট্ট টিপসটি যা আমি এই টিপসগুলোর লিংক দিয়ে দিলাম আপনারা চাইলে সেখান থেকে দেখে নিতে পারবেন https://techtunes.com.bd/internet/tune-id/9890/আরো একটি কারণ হলো আঞ্চলিক শব্দ উল্লেখ করা।
এরপরে ক্লিক পাসওয়ার্ড অন্যতম কারণ পাঠকদের সন্তুষ্ট করা অর্থাৎ তাই প্রকাশিত জিনিসটি দেওয়া। ধন্যবাদ সবাইকে আমার এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য এবং পরে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন যেন অন্য একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হতে পারি আল্লাহ হাফেজ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url