ইলম অর্জন করা ফরজ | ইলমে দ্বীন শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত ।
আসসালামু আলাইকুম আমি আজকে একটি হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করব আপনারা অবশ্যই আমার এই হাদীসটি পড়ে এলেম শিক্ষা ফজিলত সম্পর্কে অবগত হবেন। আরে হাদীসটি লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আজকাল বর্তমানে দ্বীনি শিক্ষা থেকে অনেক মানুষ বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছে।
কেননা ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত মানুষ দিন পার করছে দিনের যে শিক্ষা আছে সেগুলো আর মোটেও জ্ঞান অর্জন করতে চায়না। তাই আমার এই লেখা হাদিসটি অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং ভুলভ্রান্তি হলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমি সংশোধন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
আরো পড়ুন,
দ্বীনি এলেন শিক্ষার ফজিলত কি?
দ্বীনী এলেম শিক্ষা ফজিলত বলতে যে পরিমাণ শিক্ষা করলে একজন মুমিন বান্দা শরীয়তের হুকুম আহকাম সঠিকভাবে প্রতিপালন করতে সক্ষম হয়, সে পরিমাণ শিক্ষা করা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নর নারীর উপর অবশ্যই কর্তব্য এ প্রসঙ্গে মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন (দ্বীনি এলএম শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও নারীর উপর ফরজ)
স্বীয় সন্তান সন্ততিকে প্রয়োজনীয় দিনই এলেম শিক্ষাদানের প্রতি মুসলমান নর নারী মাতা পিতা প্রথম থেকে উদ্যোগ গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। কেননা বাল্য অবস্থায় ছেলে মেয়েদের মনে দিনে এলেম শিক্ষার অনুপ্রেরণা ও আকর্ষণ গড়ে তুলতে পারলে ভবিষ্যতে তা অক্ষয় রূপে সমস্ত জীবন পরিব্যপ্ত থাকে।
পরবর্তী জীবনে তারা যেকোনো বিদ্যা শিক্ষা করুক না কেন, কিংবা যে কোন পেশা গ্রহণ করুক না কেন ইহাতে ধর্মীয় জীবনের কোন প্রকার অনিষ্ঠ সাধিত হওয়া আশঙ্কা থাকে না। কথায় বলে বাল্যকালী বিদ্যা শিক্ষা মানুষের জীবনে পাথরের খোদিত চিত্রের মতো অক্ষয় হয়ে থাকে।
হাদিস শরীফে আছে মহানবী সাঃ এরশাদ করেছেন আলেম সম্প্রদায় নবী ও রাসূলগণের প্রকৃত উত্তর অধিকারী। হযরত আদম আলাই সাল্লাম হইতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম পর্যন্ত এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী ও রাসুল আল্লাহ পাক পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। প্রত্যেক নবী ও রাসূল দৃষ্টিকোণ থেকে জ্ঞান-বিজ্ঞান পৃথিবীতে শিক্ষা দিয়েছেন।
জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্পকলা, কাব্য, সাহিত্য, ভূগোল, কৃষি, জ্যোতিবিজ্ঞান, চিকিৎসা, নবিজ্ঞান, সমরাস্ত্র নির্মাণ, নগর গঠন, গৃহ নির্মাণ ইত্যাদি যতগুলি এল এম ও জ্ঞানের শাখা প্রশাখা বিশেষ প্রচলিত রয়েছে, সবগুলি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশক্রমে নবী ও রাসূলগণ শিক্ষা দিয়ে এসেছেন।
যুগ যুগ ধরে আলেম ও প্রজ্ঞাশীল ব্যক্তিগণ এই সকল বিদ্যার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য চেষ্টা করে চলেছেন। এইজন্য আলেম সম্প্রদায় নবী ও রাসূলগণের প্রবর্তিত জ্ঞান-বিজ্ঞান ও জীবন ব্যবস্থার উত্তরাধিকারী হওয়ার গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন।
প্রকৃত আলেম বান্দাগণ আল্লাহ তালাকে যথার্থ ভয় করে থাকে। এ আয়াতকে বিশ্লেষণ করে নিম্নে তথ্যগুলি সহজে অনুধাবন করা যায়।
প্রথমত আল্লাহপাকের কুদরত ও সৃষ্ট জগতের নানা রূপব বৈচিত্র্য অবলোকন করে আলেমগণের ঈমান সুদর হয়, ফলে তারা আল্লাহ তাআলার প্রতি সর্বদাই মস্তক অবনত করে চলে।
দ্বিতীয়তঃ আলেমগণের অন্তরে ঈমানের নূরের জ্যোতি প্রচলিত হওয়ার ফলে জীবনের সর্বস্থায় তার আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জিকির ও ফিকির স্মরণ হতে গাফেল হয় না।
ঈমান ও আমলের সম্পর্কে শিক্ষার ফজিলত ।
হযরত তালহা ইবনে ওবাইদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন নজতবাসী লোক এলোমেলো কিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নিকট এসে পৌঁছালো এবং ফিসফিস করে কি যেন বলতে লাগলো। সে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করেছে- ইসলাম কি? হযরত রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন:
প্রথমত দিন রাতে পাঁচবার নামাজ আদায় করা সাহাবা বলল এছাড়া আর কোন নামাজ আমার উপর ফরজ আছে কিনা? রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম উত্তর বললেন না তবে যদি তুমি স্বেচ্ছায় নফল নামাজ আদায় করতে চাও আদায় করতে পারো। রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন আর রমজান মাসের রোজা রাখা। সে বলল এছাড়া আমার ওপর আর কোন রোজা ফরজ আছে কি না? রাসূলে কারীম আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন না তবে যদি এসেছেন নফল রোজা রাখতে পার।
হযরত তালহা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন এভাবে রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যাকাতের কথা বললেন। সে ব্যক্তির জিজ্ঞেস করল ইহা ব্যতীত আবার ওপর আর কোন দেও যাকাত আছে কি না? রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন না কিন্তু যদি স্বেচ্ছায় নফল দান করো।
হযরত আলহা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আরও বলেন অতঃপর সেই ব্যক্তি বলতে বলতে চলে গেল আল্লাহর কসম এর উপর আমি কিছু বেশি ও করব না এর চেয়ে কম করব না। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন লোকটির সাফল্য লাভ করলো যদি সে সত্য বলে থাকে সম্ভবত তখন হজ্ব ফরজ হয়নি। বুখারী মুসলিম শরীফ। মিসকাত শরীফ থেকে সংগৃহীত। ধন্যবাদ সবাইকে আমার এই পোষ্টটি পড়ার জন্য ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url