মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি | ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির নিয়ম।
আসসালামু আলাইকুম এভরিওয়ান আজকের এই পোস্টটিতে আলো দিয়ে ভিন্ন স্বাদের স্পেসি এন্ড ক্রিসপি ফ্রেন্স ফ্রাই রেসিপি কিভাবে তৈরি করবেন সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। রেগুলার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি থেকে এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপিটি একটি ভিন্ন ধরনের যা খুব মজাদার হয়ে থাকে, আপনি যদি বাড়িতে বা বাসায় ট্রাই না করেন তাহলে বুঝতে পারবেন না।
খুব সহজে এবং ভিন্নভাবে মজাদার রেসিপিটি তৈরি করা হয়েছে বা তৈরি করব। আশা করি আপনারা এ পোস্টটি পড়ে কিভাবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি তৈরি করবেন তা খুব সহজে বুঝতে পারবেন। এবং বাড়িতে ট্রাই করে বা তৈরি করে কেমন লাগলো রেসিপিটি তা অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আরো পড়ুন,
আমার এই পেজটিকে বা আমার এই ওয়েবসাইট থেকে ফলো দিয়ে রাখবেন যাতে এরকম ভিন্ন ভিন্ন রেসিপি বা বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ে আমি পোস্ট করে থাকি সেগুলো যাতে সবার আগে পেয়ে যান। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন কিভাবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি তৈরি করা যায় সে বিষয়ে জেনে নেয়া যায়।
ফ্রেন্স ফ্রাই রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি দুইটি আলু নিয়ে নেব, এবং সে আলুগুলোকে লম্বালম্বি ভাবে চাকু বা ছুরি দিয়ে কেটে নেব।
অর্থাৎ মিডিয়াম সাইজের দুইটি আলো নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে লম্বা লম্বি ভাবে কেটে নিতে হবে আপনি উপরের ছবিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন। আলুগুলোকে কেটে নেওয়ার পর পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার করে দেওয়ার পর পানি গুলো যাতে ঝরে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এরপরে একটি পাত্রে সেগুলো রেখে দিতে হবে। এরপরে যেসব উপকরণগুলো অ্যাড করে নিব সেগুলো হচ্ছে পরিমাণ মতো।
চিকেন ফ্রাই রেসিপি উপকরণ
- মরিচের গুঁড়ো,
- পরিমাণ মত লবণ
- এরপরে পরিবার মত গোলমরিচ গুঁড়ো
- পরিবার মত কনফ্লাওয়ার
- দেড় টেবিল চা চামচ ময়দা
- স্বাদমতো বা পরিমাণমতো ডিম
- সামান্য মত বা সামান্য পরিমাণের আদা
- রসুনের গুঁড়া
যেহেতু আমি এই রেসিপি তৈরি করার জন্য ডিম ব্যবহার করেছি তার জন্য ডিমের গন্ধটা যাতে না লাগে এজন্য রসুনের গোড়া এবং আদা গুড়া ব্যবহার করতে হবে।
এরপর উপকরণ গুলো দেওয়া শেষ হয়ে গেলে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিক্সিং করে নিতে হবে। আর মেখে নেওয়ার পর যদি মনে হয় যে সামান্য পরিমাণ পানি লাগবে তাহলে পানিটা দিয়ে নিতে হবে।
এরপরে যেটি ব্যবহার করব।এক চা চামচ সয়া সস। সয়া সস দেওয়ার পরে ভালোভাবে আবারও মেনে নিতে হবে।
এখন আমরা আলু গুলোকে ভেজে নেব।
আলুগুলোকে ভাজার জন্য একটি প্যান বাঁ পাড়ার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে ভালোভাবে গরম করে নিতে হবে। তেলগুলো গরম হয়ে যাওয়ার পর এক এক করে আলুর টুকরো গুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। এখানে একটি কথা খেয়াল রাখতে হবে চুলোর আগুনের তাপটি যাতে ভিডিও পর্যায়ে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা আগুনের তাপ যদি বেশি থাকে তাহলে তেল দ্রুত গরম হয়ে আলুগুলো পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তাই আমরা মিডিয়াম পর্যায়ে রেখে আলোগুলো ভেজে নেব। আলুর টুকরোগুলোতে মসলা মাখানোর সময় অবশ্যই কনফ্লাওয়ার দিতে হবে তা না হলে আমাদের রেসিপিটা সম্পূর্ণটা হবে না। সেজন্য আমি আবারও বলবো যে কনফ্লাওয়ার অবশ্যই দিয়ে নিবেন। আরেকটু সময় নিয়ে আলুগুলো ভেজে নিলে খুব সুন্দর খেতে লাগবে অর্থাৎ মুচমুচে ভাবটা চলে আসবে।
আলুগুলোর টুকরো গুলোকে ভালোভাবে ভেজে নেওয়ার পর একটি ছাকনা দিয়ে ছেকে নিতে হবে যাতে করে আলুগুলো র শরীর থেকে তেল গুলো ভালোভাবে ঝরে যায়। বলতে গেলেই ফ্রেশ ফ্রাই রেসিপি আসলে একটি মজাদার এবং খুব সুস্বাদু খাবার যদি আপনি বাসায় না তৈরি করে থাকেন তাহলে বুঝতেই পারবেন না যে আসলে কতটুকু মজাদার এ খাবারগুলো। আবারো কিছু কথা মনে নেই ফ্রেশ ফ্রাই গুলোর আরেকটু সাদ বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চাইলে টমেটো বা অন্য কোন সস অ্যাড করে নিতে পারেন।
আপনি চাইলেও বাসায় তৈরি করে নিতে পারেন। এইজন্য প্রথম অবস্থায় আপনাকে একটি কড়াইয়ে আধা চা চামচ পরিমাণ তেল নিয়ে নিতে হবে। হাফ চা চামচ পরিমাণ রসুন কুচি নিতে হবে। এরপর গরম তেলে রসুনের কুচিগুলো পেয়ে ভেজে নিতে হবে যাতে করে গোল্ডেন কালার না আসা পর্যন্ত ভেজে নিতে হবে।
রসুনগুলো ভাজা হয়ে গেলে এর সাথে টমেটো বা অন্য উপকরণ যেমন তেঁতুল আমরা ইত্যাদ ি যোগ করে নিতে পারেন। সস তৈরি করার জন্য যেসব উপকরণ গুলো লাগবে সেগুলো আপনারা বাজার থেকে কিনতে পারবেন। সেগুলো নিয়ে আপনারা টমেটোর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দেবেন যাতে করে আপনার টমেটো সসের সাদ বেশ ভালো হয়ে থাকে।
এরপরে আপনার সবকিছু উপকরণ দেওয়ার পরে ভালোভাবে শাস্তিকে তৈরি করার পর আপনি ফ্রেন্স ফ্রাই রেসিপি বা চিকেনের সাথে খেতে পারেন। আরেকটি কথা উল্লেখ করে যে শস তৈরি করার সময় যাতে পাতলা হয় সেজন্য হালকা পরিমাণ পানি দিয়ে নিতে পারেন। এবং আরো পরিমাণ মতো বা স্বাদমতো ঝাল যেমন মরিচের গুঁড় ো গোলমরিচ, কাঁচা মরিচ, দুই ধরনের বেলপাতা, পরিমাণ মতো পেঁয়াজ, দিয়ে নিতে পারবেন।
সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে নিবেন। সবকিছু উপকরণ দেওয়া শেষ হয়ে গেলে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপরে আপনাকে যেটি করতে হবে আগে থেকে ভেজে নেওয়া আলো গুলোকে বা ফ্রেন্স ফ্রাই গুলোকে শ্বসের সাথে মিশে দিয়ে দিতে হবে। আলু গুলো খেয়ে শসের সাথে মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু এবং মজাদার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা আলুর স্পেসি এন্ড ফ্রাই।
সম্মানিত মা ও বোনেরা অনেক সময় মনে হয় যে বাজারের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই চিকেন খেতে খেতে বর হয়ে গেছি বা ভালো লাগছে না সেই মুহূর্তে আপনি নিজেই খুব সুস্বাদু এবং মজাদার সেই স্পিসি এন্ড ক্রিস থ্রি ফ্রেন্ডস ভাই তৈরি করে নিতে পারবেন।
আমি আজকের পোস্টটিতে আর বেশি কিছু লিখছি না এবং এই মুহূর্তে আর অন্য কিছু কথা বলে আপনাদের সময় নষ্ট করছি না তাই আপনারা যারা নিজে নিজেই স্পেসিফাই রেসিপি বানাতে চান তারা আমার এই পোস্টটি পড়ে অবশ্যই বাড়িতে চেষ্টা করবেন এবং কেমন হয়েছে খেতে অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
যাতে করে আমি আপনাদের সেই রেসিপি সম্পর্কে বা অন্যান্য রেসিপি কিভাবে বানাবেন সেগুলো পোস্ট নিয়ে আবার হাজির হতে পারি সেজন্য আপনারা আমাকে উৎসাহ করলে আমি আবারো আপনাদেরকে অন্য একটি পোষ্ট উপহার দিতে পারব সে প্রত্যাশায় আপনারা ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url