হালিম মিক্স দিয়ে হালিম রান্নার রেসিপি | হালিম তৈরির উপকরণ।
আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন আজকে আমি যে পোস্টটি লিখব, আপনারা কি ভাবে সহজেই বাসাতে বসে সুস্বাদু হালিম বানাবেন সে সম্পর্কে কিছু কথা লিখব। সম্মানিত পাঠক বৃন্দ, এবং সম্মানিত মা ও বোনেরা আপনারা বাসায় কিভাবে খুব সহজে ই সুস্বাদু দুর্দান্ত হালিম বানাবেন সে সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। আপনারা বাসায় যখন হালিম বানাবেন অবশ্যই প্যাকেট মসলা ব্যবহার করবেন।
অনেকেরই ধারণা আছে যে বাসায় প্যাকেট দিয়ে হালিম রান্না করলে তার টেস্ট রেস্টুরেন্ট এর মত হয় না। তাই আজকের এই পোস্টটিতে আমি আপনাদের সাথে প্যাকেট মসলা দিয়ে হালিম রান্নার রেসিপিটা শেয়ার করব। এবং সেই সাথে থাকবে কিছু টিপস এন্ড ট্রিক যেটা ফলো করলে আপনি প্যাকেট মসলা দিয়েই বাসায় বসে রেস্টুরেন্ট বা দোকানের মতোই হালিম বানাতে পারবেন। তাই কথা না বাড়ি আমি কিভাবে বাসায় প্যাকেট মসলা দিয়ে হালিম বাড়াবেন সে সম্পর্কে লিখা আরম্ভ করলাম।
হালিম তৈরির উপকরণ।
হালিম রান্নার জন্য প্রথমে আমাদের লাগবে হালিম মিক্স আর বাজারে কিন্তু অনেক ধরনের হারলি মিক্স কিনতে পাওয়া যায়। এবং হালিম মিক্সের প্যাকেটে কিন্তু দুইটি প্যাকেট থাকে একটি ছোট প্যাকেট এবং একটি বড় প্যাকেট। বড় প্যাকেটটিতে থাকে মিক্সড ডাল আর ছোট প্যাকেট দিতে থাকে গুড়া মসলা।
আরো পড়ুন, নবজাতকের বিভিন্ন সমস্যা | সুস্থ নবজাতকের লক্ষণ।
তাই প্রথমে ডালের প্যাকেটটি কেটে নিতে হবে। এবং ডালটিকে একটি বাটিতে নিয়ে নিতে হবে। এরপরে আপনি দুই কাপ গরম পানি সাথে নিয়ে নেবেন এবং সবগুলোকে কিন্তু একেবারেই এড করা যাবে না। আস্তে আস্তে সেখানে পানি এড করতে হবে। এবং ডালটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এতে করে কি হবে ডালটি, দলা থেকে যাবে না।
এরপরে আপনি এই ডালটিকে গরম পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। তারপরে গুড়া মসলাটিতে একটি বাটিতে নিয়ে নিতে হবে। যাতে করে গোটা মসলাটি পরে রান্নায় ব্যবহার করে যেতে পারে। এর পরে আপনাকে মূলরান্নায় চলে যেতে হবে। এখানে চুলার ওপরে একটি প্যান্ট নিয়ে নেবেন অর্থাৎ একটি করাই নিয়ে নিবেন। এখানে পরিমাণ মতো সারা দিন তেল নিয়ে নিতে হবে। তিনটি গরম হয়ে গেলে সেখানে আধা কাপ পেঁয়াজকুচি নিয়ে নিবেন।
আরো পড়ুন, শিশুর ত্বকের সমস্যা ও সমাধান | নবজাতকের যত্নে করণীয় ও পরিচর্যা।
এরপরে আপনাকে যা করতে হবে পিয়াজটিকে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। এভাবে এক থেকে দুই মিনিট পেয়াজটিকে ভেজে এর সাথে হাফ চা চামচ আদাবাটা যোগ করতে হবে। এর সাথে এক চা চামচ রসুন বাটা দিতে হবে। আদা এবং রসুন সবগুলোকে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। এখন আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়া অ্যাড করে নিতে হবে। হলুদের গোড়া আধা চা চামুচ, ধনিয়া গুড়া আধা চা চামুচ, আরো দিতে হবে আধা চা চামচ জিরা গুড়া। এরপরে সম্পূর্ণ মসলাটিকে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে ভেজে নিতে হবে।
আরো পড়ুন, বড় দাঁত ছোট করার উপায় - দাঁত কাটার খরচ।
সেখানে খেয়াল রাখতে হবে ভাজা এমনভাবে ভাজতে হবে যাতে কাঁচা মসলার গন্ধটা না লাগে। মসলাটি ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে পরিবার মত গরুর মাংস বা যে মাংসটি অ্যাড করতে চাচ্ছেন সেই মাংস নিয়ে নিতে হবে। সে মাংসটিকে ছোট টুকরা করে অবশ্যই কেটে নিতে হবে।
আপনারা যে মাংসটি ব্যবহার করেন না কেন অর্থাৎ খাসি গরু মুরগি যেটাই ব্যবহার করেন না কেন সেখানে খেয়াল রাখতে হবে যাতে হার চর্বি সবগুলোই অ্যাড থাকে তাহলে এতে করে কি হবে হালিমের টেস্টি আরো সুস্বাদু হয়ে উঠবে। এরপরে আপনি হাবিবের গোড়া মসলাটি অর্থাৎ ছোট প্যাকেটের যে মসলাটি ছিল সে মসলাটি ব্যবহার করতে পারবেন।
এখানে একটু কথা বলে নেই আপনি সম্পূর্ণ মশাটি একেবারে নামিয়েছেন অর্ধেক পরিমাণ মতো মসলা ব্যবহার করতে পারেন। যেটা কিনা পরে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। এরপর এক চা চামচ লবণ। হালিমের মসলার সাথে কিন্তু লবণ যোগ করা থাকে সেক্ষেত্রে বেশি পরিমাণ লবণ ব্যবহার না করাই উত্তম অর্থাৎ পরিমাণ মতো লবণ ব্যবহার করাটাই সঠিক হবে। আপনি মসলা মিশানো হয়ে গেলে ভালোভাবে মাংসটি কষিয়ে নেবেন।
আরো পড়ুন, ডিমের কোরমা রেসিপি | সেদ্ধ ডিমের রেসিপি | ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি ।
আপনি খেয়াল রাখবেন মাংসটি যাতে 10 থেকে 15 মিনিট প্রসেনজিতের পারেন। মাংসটি কথা হয়ে গেলে দুই কাপ পরিমাণ মতো পানি অ্যাড করে নিবেন। মাংস তে পানি দিয়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। অর্থাৎ মাংসটি ঢেকে নিতে হবে যাতে যতক্ষণ না পর্যন্ত মাংসটি সিদ্ধ হয় ততক্ষণ পর্যন্তই ঢাকনাটি দিয়ে রাখতে হবে।
মাংস রান্নার সময় বা সিদ্ধ করার সময় খেয়াল রাখবেন যাদের চুলার আগুনের মাত্রাটা মিডিয়াম হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে ঢাকনাটি তুলে মাংসটি নাড়াচাড়া করে দেবেন যাতে কড়াইয়ে না লেগে যায়। মাংসটি পুরোপুরি রান্না হয়ে গেলে একটি পেট বা একটি বাটিতে উঠিয়ে নিতে হবে।এবার ভিজিয়ে রাখা, ডালের মিশ্রণটি ছড়ায়ে নিয়ে নিতে হবে।
ডালের মিশ্রনটিকে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে এর সাথে যোগ করতে হবে ৬ চা চামচ বা ছাই কাপ গরম পানি। এর পরে আপনি ঢাকনা দিয়ে ডালের দিকে ঢেকে দেবেন যতক্ষণ না পর্যন্ত ডালটি ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যায়। ডাল রান্নার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে করে পাড়ায় না লেগে যায় সেজন্য কিছুক্ষণ পরপর ডাকনা দিয়ে উঠে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। হালিমের ডালটা যত ভালোভাবে সিদ্ধ করা হবে হালিম টি তত খাবারের জন্য সুস্বাদু হয়ে উঠবে।
আরো পড়ুন, ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় - ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম।
তাই বলা যেতে পারে একটু সময় নিয়ে হালিমের ডালটিকে রান্না করতে হবে। হালিমের এ ডালটিকে রান্না করার জন্য আমাদেরকে ৪৫ থেকে ১ ঘন্টা সময় নিয়ে রান্না করতে হবে। ৫০ বা ১ ঘন্টা পরে আপনি দেখতে পাবেন যে হালিমের ডালটি পুরোপুরি রান্না হয়ে গেছে। এবং দেখতে পাবেন ডালের যে পাতলা আবরণ পানি ছিল সেটি গার ো আকার ধারণ করেছে।
এরপরে আপনি যে মাংসটি সেদ্ধ করে রেখেছিলেন সে মাংসটি অ্যাড করে দিতে পারেন। আমি আগেই মাংসটি উঠিয়ে নিতে বলেছিলাম এই জন্য যে ডালটি সেদ্ধ করার সময় যদি মাংসটি ডালের মধ্যে থাকতো তাহলে সম্পূর্ণটা গলে যেত সে ক্ষেত্রে হালিম খাবার সময় মাংস খুঁজে না পাওয়া হালিমের সাদ টুকু পাওয়া যেত না সেজন্য আগেই মাংসটি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম - how to upload reels in facebook.
এরপরে আপনি চুলায় আরেকটি পড়ায় বসিয়ে তিন চা চামচ সয়াবিন তেল নিয়ে নিতে পারেন। এরপরে শুরুতেই যে মসলা টুকু রাখা হয়েছিল সেই মশালা টুকু অ্যাড করে নিতে হবে। আবারো সাথে এড করে নিতে হবে হাফ চা চাম চ মরিচের গুঁড়া। দি নিতে হবে সামান্য কিছুটা মেথি। এরপরে মসলা মেশানো তেল টুকুকে হালিমের মধ্যে দিয়ে নিতে হবে। এবং এইটুকু মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে।
আপনার হালিম কি রান্না শেষ হয়ে গেলে চুলাটিকে বন্ধ করে দিয়ে 10 থেকে 15 মিনিট করাইটিকে এ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেবেন।
আপনার হালিমটি সম্পূর্ণটা রান্নাবান্না শেষ হয়ে গেলে সেখানে পরিবষণের জন্য কিছুটা হালকা আদা কুচি শসার কুচি ধনিয়া পাতা ইত্যাদি অ্যাড করে নিতে পারেন যাতে কিনা রেস্টুরেন্টের মত খেতে খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন, ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত ২০২৪ | রিলস মনিটাইজেশন শর্ত।
সম্মানিত মা ও বোনেরা এবং হালিম প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা অনেকেই রেস্টুরেন্টে হালিম খেয়ে থাকেন এখান থেকে আপনারা চাইলে আমার এই লেখাটুকু পড়ে খুব সহজে বাসায় হানি রান্না করতে পারবেন। আর বেশি কিছু লিখলাম না আপনি যদি আমার এই লেখাটির প্রথম পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার এই রেখা টুকের মধ্যেই কতটুকু সার্থকতা লুকিয়ে আছে সেটা আপনারাই বিবেচনা করবেন।
এবং কমেন্টের মধ্যে অবশ্যই জানাবেন আমার এই লেখাটি পড়ে আপনারা বাসায় হালিম তৈরি করতে পেরেছেন কিনা। আমার এই পেজটিকে ফলো করে অন্যান্য রেসিপি সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছি ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url