ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম | ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় ।
আসসালামু আলাইকুম, ফেসবুক পেইজে ভিডিও কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল করবেন আজকের এ পোস্টটিতে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব আপনারা ধৈর্য সহকারে আমার পোস্টটি পড়বেন। সুতরাং আবার এই পোষ্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমি যে পয়েন্টগুলো উল্লেখ করব সেই পয়েন্টগুলো যদি আপনারা নিয়মিত মেনে চলেন তাহলে আপনার ফেসবুক পেইজে ভিডিও ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
সম্মানিত পাঠক আজকে এই পোস্টটিতে আমি যে বিষয়গুলো আলোচনা করব সে বিষয়গুলো আপনাদের কাছে খুব ক্ষীন বা ছোট হতে পারে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই পয়েন্টগুলো। যেগুলো এখন আমি এই পোস্টটি তে একে একে উল্লেখ করবো।
ফেসবুকে ভিডিও বানানোর নিয়ম।
আপনি যদি একটি ভালোমানের ভিডিও আপনার পেজে আপলোড করে দিতে পারেন তাহলে অল্পদিনের মধ্যে পেজ বা ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাব। আর ভাইরালের জন্য কি কি করতে হবে আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
আকর্ষণীয় শিরোনাম ব্যবহার করা।
সম্মানিত পাঠাও আপনার ভিডিওতে যে টাইটেল কি ব্যবহার করছেন সেই টাইটেলটি অবশ্যই ক্লিকএবল হতে হবে। বা যে টাইটেলটি অনেক বেশি একট্রাকটি বা মানুষের কাছে খুবই পরিচিত যাতে করে দর্শকের কাছে বা মানুষ কাছে যায় তখন সে নিজের অজান্তেই ক্লিক করে বসে আপনার টাইটেলটি দেখে। এমন একটি টাইটেল আপনাকে ব্যবহার করতে হবে যেটা কিনা টাইটেল দেখে ভিডিওর সবকিছু জানতে পারা যায় যে এই ভিডিওতে আমার কাঙ্খিত তথ্যগুলো দেওয়া রয়েছে।
আকর্ষণীয় থাম্বেল তৈরি।
এখানে বলা হচ্ছে যে আপনি ভিডিওতে থাম্বেল্টি ব্যবহার করেছেন সেটি অবশ্যই হিউজএবল হতে হবে অর্থাৎ খুবই আকর্ষণীয় হতে হবে যাতে করে মানুষ দেখা মাত্রই ভিডিও দেখার মনোভাব তৈরি হয়। হ্যাঁ আপনি সেরকম একটি থাম্বেল আপনার ভিডিওতে সেট করবেন যেটা মানুষের কাছে দেখা মাত্রই ক্লিক করার আগ্রহ জন্ম নেই। আপনাদের বলবো আপনারা ভিডিওর থাম্বেল অবশ্যই ভেবে চিন্তে দিবেন যাতে করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
নিট এন্ড ক্লিন ভিডিও তৈরি।
এখানে আপনাকে এমন একটি ভিডিও তৈরি করতে হবে যাতে কিনা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবহার করা হয়েছে এবং সম্পূর্ণটাই আপনার তৈরি। এবং ভিডিওটি দেখার মতই মানুষ অন্য কোন ভিডিও দেখার আগ্রহী হারিয়ে ফেলে অর্থাৎ আপনাকে এমন একটি ভিডিও তৈরি করতে হবে যে কিনা ভিডিওটি অবশ্যই থাম্বেলের সঙ্গে মিল থাকতে হবে। তা না হলে আপনার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়া সম্ভব না খুবই কম থেকে যায়।
আরো পড়ুন, আরো পড়ুন, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম - how to upload reels in facebook.
তাই আমি বলব যখন আপনারা ভিডিও তৈরি করবেন ভিডিওটি অবশ্যই সম্পূর্ণটাই নতুন কিছু হতে হবে এবং অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কপিরাইট গ্রহনযোগ্য না সেরকম ভিডিও আপনাকে ফেসবুক পেইজে আপলোড করতে হবে। এখানে বলাই বাহুল্য যে আপনি যদি কোন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভিডিও ডাউনলোড করে আপনার পেইজে আপলোড করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ভিডিওটি রিস্টার্ট বা কপিরাইটের আন্ডারে পড়ে যাবে।
তাই আপনি পেজের ভিডিও ভাইরাল করার পরিবর্তে আরো পেজটিকে নষ্ট করার পথে নিয়ে যেতে পারেন। আপনাকে অবশ্যই একটি নতুন আধিকার ভিডিও তৈরি করতে হবে যে কিনা অন্য কোন ভিডিও সাথে আপনার কোন ভিডিওর মিল না থাকে সেই বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই অবশ্যই।
আর্কষনিয় বিষয় বস্তু।
আপনি যখন একটি ভিডিও তৈরি করবেন তখন অবশ্যই মাথায় রাখবেন যাতে করে যে বিষয়ের উপর ভিডিওটি তৈরি করছেন সে বিষয়টি কেবল উল্লেখযোগ্য হতে হবে। আপনি থাম্বেলি একটি কথা লিখেছেন বা টাইটেলি একটি কথা লিখেছেন কিন্তু আপনার ভিডিওর সাথে কোন মিল নেই এরকম কোন আজে বাজে ভিডিও তৈরি করবেন না যাতে করে দর্শকের মনের মধ্যে একটি কিউরিসিটি জানতে পারে।
আপনি ভিডিওটি যে বিষয়ে বানান না কেন যাতে করে দর্শক দেখা মাত্রই আরো দেখার মনোযোগ রাখতে পারে। এখানে আরেকটু কথা বলে নেই আপনাকে যে যখন দর্শকেরা আপনার ভিডিওটি দেখবে তখন তারা অবশ্যই আপনি কি বলছেন কিভাবে কাজ করছেন সে বিষয়গুলো।
কিন্তু উল্লেখযোগ্য আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে সে বিষয়গুলো যে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন এবং সঠিকভাবে তার কাজ করছেন কিনা। তাই বলবো আপনি যে ভিডিওটি বানাবেন সেটি যেন মানুষের কাছে বোধগম্য হয়ে থাকে তাহলেই মানুষ আপনার ভিডিওটি দেখবে এবং লাইক শেয়ার কমেন্ট ইত্যাদি করে থাকবে।
আরো পড়ুন, আরো পড়ুন, কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয় | প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম।
আপনারা এখানে খেয়াল করবেন যারা ফেসবুক ইউজার আছেন সেখানে ফেসবুক চালাতে গিয়ে দেখবেন নিউজ ফিড এবং স্টোরিতে যেসব ভিডিও গুলো আছে আমরা যদি না চাই যে দেখব না তারপরে এমন ভিডিও আছে যাতে কিনা দেখার আগ্রহ টা আরো চলে আসে। সেরকম ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।আরেকটি কথা বলাই বাহুল্য যে আপনি ভিডিওটি তৈরি করছেন সে ভিডিওটি অবশ্যই এমন ভাবে তৈরি করবেন যাতে কিনা মানুষ মিনিমাম ৭০% দেখতে থাকে।
অর্থাৎ আপনার ভিডিওটি যদি ১০ মিনিটের হয় তাহলে অবশ্যই মানুষ যাতে কিনা ৭ মিনিট দেখে সেই মনোভাব নিয়ে ভিডিওটি তৈরি করবেন তাহলে সেখানে আপনার ভিডিওর এনগেজমেন্ট রেট ওয়াচ টাইম সবগুলো কিন্তু বেড়ে যাবে। এখানে ফেসবুক দেখে যে আপনার ভিডিওটি আসলেই মানুষের কাছে বোধগম্ভব কিনা যদি এরকম কোন ভিডিও থাকে।
আরো পড়ুন, আরো পড়ুন, ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় - ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম।
তাহলে ফেসবুক নিজে নিজেই আরো অডিয়েন্স এর কাছে আপনার ভিডিওটি দেখার জন্য সাজেস্ট করে থাকে। তাই বলবো যারা এখনো আপনার পেজকে ভালো করে না তা কমেন্ট করে না অবশ্যই তারা আপনার পেজটিকে ফলো কমেন্ট শেয়ার ইটাহীতে সহযোগিতা করে থাকবে।
সম্মানিত পাঠক, অবশ্যই আপনি চেষ্টা করবেন উপরে উল্লেখিত চারটি পয়েন্ট যেটা নিয়ে আমি আলোচনা করলাম সেগুলোকে অবশ্যই মেনে চলার তাহলে দেখবেন যে আপনার পেইজের ভিডিও ভাইরাল হতে বেশিদিন সময় লাগবে না বা বেশিদিন ভাইরাল হতে কেউ থামাতে পারবে না। আশা করেছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে আপনাদের পেইজের ভিডিও ভাইরাল করার জন্য আপনাকে কি কি করনীয় বিষয়গুলো মানতে হবে। আপনি মাত্র চারটা ইস্টে বা পয়েন্ট গুলো ভালো করে আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিওকে অল্প সময়ের মধ্যেই কিন্তু ভাইরাল করতে পারছেন।
সম্মানিত পাঠক,আপনার কাছে কি মনে হয় এই চারটা বিষয়ে সঠিকভাবে ফলো করলেই কি আপনার পেজটি ভাইরাল হবে বা আপনার ভিডিওটি ভাইরাল হবে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আমার পেজটিকে ফলো দিয়ে অবশ্যই অন্যান্য পোস্টের জন্য অপেক্ষা করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আল্লাহ হাফেজ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url