অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটার নিয়ম | অনলাইনে বিমানের টিকেট বুকিং।
আসসালামু আলাইকুম, অভ্যন্তরীণ হোক অথবা আন্তর্জাতিক, বিমানের টিকিট কাটতে জানা টা সবার জন্য এখনকার সময় এসে একজন ডিজিটাল সচেতন মানুষ হিসেবে আমাদের সবারই প্রয়োজন। তাই আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আমি শেয়ার করতে যাচ্ছি কিভাবে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে বিমানের টিকিট কাটতে পারবেন।
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন, অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে বিমানের টিকিট কাটবেন।
আরো পড়ুন, অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম | সার্টিফিকেট সংশোধন আবেদন ।
এজন্য আমরা প্রথমেই চলে যাব গুগল ক্রোম ব্রাউজার গিয়ে লিখব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সার্চ করলেই আমাদের সামনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ওয়েবসাইট চলে আসবে। কিন্তু এখানে একটি কথা যে এ পদ্ধতি শুধু বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেটাও না, আপনি চাইলে গুগল ক্রোমে যেই দেশের বিমানের টিকিট কাটতে চাচ্ছেন সেই দেশের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিমানের টিকিট কাটতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার যে দেশের বিমানের টিকিট প্রয়োজন সেই দেশের বিমানের টিকিট কেটে ফেলতে পারবেন।
আরো পড়ুন, ডিমের কোরমা রেসিপি | সেদ্ধ ডিমের রেসিপি | ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি ।
পাঠক বৃন্দ আপনারা যখন যে দেশের বিমানের টিকিট কাটবেন সেই দেশের ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রবেশ করার পর আপনারা বেশ কিছু ইন্টারফেস লক্ষ্য করবেন। প্রথমেই আপনারা ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রবেশ করার পর ডানদিকে তাদের কন্টাক্ট নাম্বার দেওয়া থাকে আপনি চাইলেও তাদের কন্টাক্ট নাম্বারে কল করে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের ইমেইল আইডি ও দেওয়া আছে আপনি তাদের নক করে যোগাযোগ করতে পারেন। এরপরে আপনি বুক ফ্লাইট ট্রাভেল ইনফো কন্টাক্ট ইত্যাদি অপশন পেয়ে যাবেন। আপনারা নিচে এসে দেখতে পাবেন কিছু লিখা রয়েছে যেমন বুক ফ্লাইট চেক ইয়োর সাইট স্ট্যাটাস ইত্যাদি অপশন গুলো আপনি পেয়ে যাবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স টিকেট বুকিং।
আপনি যদি অনলাইনে টিকিট কাটতে চান তাহলে যে দেশের বিমানের টিকিট কাটতে চাচ্ছেন সেই দেশের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিচের দিকে দেখতে পাবেন ফ্লাইট অপশনটি। সেই অপশনটিতে প্রবেশ করতে হবে। বুক ফ্লাইট আসার পর আপনি দেখতে পাবেন on way, রাউন্ড ক্লেভ, মাল্টি সিটি।
এক্ষেত্রে আপনি যদি কোন দেশে যেতে চান তাহলে one way এই অপশনটিকে বেছে নেবেন। আপনি কোন দেশে যাবেন এবং আসবেন এক্ষেত্রে রাউন্ড ট্রিপ। এর পরের ক্ষেত্রে হচ্ছে মাল্টি সিটি এখানে আপনি যদি মনে করেন কোন দেশে যাবেন সে দেশ থেকে আবার অন্য দেশে যাবেন এরূপ হলে মাল্টি সিটি এই অপশনটি বেছে নেবেন।
সম্মানিত পাঠক, আমি আপনাদের বোঝানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই one way এই অপশনটি নিয়ে আজকে কিছু কথা লিখব। এখন আমি ওয়ান ওয়ে অপশনটিতে সিলেক্ট করে নিলাম। এরপরে যে কাজটি আমাকে করতে হবে ফ্লাইং ফর্ম এ অপশনটি দেখতে পাচ্ছেন আসলে কোন স্টেশন থেকে আপনি টিকিটটি কাটবেন সেটি সিলেক্ট করে দেবেন। যেমন ধরেন আমি ঢাকা থেকে যেতে চাচ্ছি কোথায় ব্যাংকক। তাহলে ফ্লাইং ফ্রম এখানে আমি সিলেক্ট করব ঢাকা এবং flying to এ অপশনটিতে সিলেক্ট করব ব্যাংকক।
আরো পড়ুন, ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি | ভোটার আইডি কার্ড চেক।
পরের অপশনে দেখতে পাবেন অর্থাৎ আপনি কোন তারিখে যেতে চাচ্ছেন সেই তারিখটি নির্ধারণ করে দিতে হবে। পরবর্তী ধাপে আপনি প্যাসেঞ্জার সম্পর্কে অবগত হবেন যে আপনি যদি একাই যেতে চান তাহলে Adult অপশনটিতে দিয়ে নিবেন বা দুইজন যদি যান তাহলে এডাল্টে দুই করে দিবেন এবং যদি আপনার বাচ্চা বা অন্যান্য কেউ যেতে চাই তার বয়স দুই থেকে বার বছর হয় তাহলে সেখানে আপনি দিয়ে দিতে পারেন আর যদি দুই বছরের নিচে যদি কোন বাচ্চা হয় অর্থাৎ নবজাতক হয় তাহলে সেখানে আপনি উল্লেখ করতে পারবেন।
পরের ধাপে দেখতে পাবেন ক্লাস। এই ক্লাসে ক্লিক করলে কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন যেমন ইকোনমি, প্রিমিয়াম ইকোনমি এবং বিজনেস। অর্থাৎ আপনি ইকোনমি এই অপশনটি কে সিলেক্ট করে সো ফ্লাইট প্রবেশ করলে আপনি অন্য একটি ইন্টারফেসর চলে যাবেন। এরপর আপনি দেখতে পাবেন যে, আপনি যেই তারিখে টিকিটটি কেটে ছিলেন সে তারিখ।
আরো পড়ুন, পেওনিয়ার একাউন্ট কি | পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ
এখানে কিছু কথা বলে রাখি আপনার সামনে আপনার পুরো ইনফরমেশন আসার পরে আপনি টিকিটের ডিটেলস পেয়ে যাবেন এবং বিজনেস ইকোনমি দুটোই অপশন পেয়ে যাবেন। বিজনেসের টিকিটের দাম কত এবং ইকোনমি টিকিটের দাম কত সবকিছুই তথ্য আপনার সামনে তুলে ধরা হবে। এখানে আপনি আরো কিছু লক্ষ্য করবেন উপরে চয়েজ ফাইট এ লেখাটির নিচে দেখতে পাবেন আপনাকে ফ্লাইট এর মধ্যে কি কি সার্ভিস দেওয়া হবে এবং আপনার সাথে কতটুকু ব্যাগেজ গ্রহণযোগ্য সব তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।
সম্মানিত পাঠক, ধরুন আপনি ইকোনমি এই অপশনটি নিবেন। আপনি যখন ইকোনমিক এই অপশনটির উপর ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে আরো কিছু তথ্য তুলে ধরা হবে। যেমন কেবিন ব্যাগের সিটি এই আসনটি আমরা নিতে পারবো না।
এরপরে ধাপে আছে ইকোনমি সেভার। ইকোনমিক সেভারে আপনি দেখতে পাবেন যে সেভেন কেজি এবং fee applicable অর্থাৎ আরো কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সেখান থেকে আপনার টোটাল খরচ ২৪ ৩৫৭ অর্থাৎ আপনি এই প্যাকেজটি নিতে গেলে আপনাকে 2৪367 টাকা প্রদান করতে হবে। চলুন আমরা ২৪ হাজার ৩৫৭ টাকার প্যাকেজটি সিলেক্ট করি।
আমরা ২৪৩৯৭ টাকা এই অপশন টিকে সিলেট করার পরে দেখতে পাবেন আপনার সামনে আরেকটি ইন্টারফেস চলে আসবে। পরবর্তী স্টেপে আসার পর রিভিউ ইওর ফ্লাইট সিলেক্ট এই অপশনটিতে ক্লিক করে আপনি চেক করে নেবেন আপনার সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা। যেমন আপনার ডেট অর্থাৎ তারিখ সময় এবং আপনার টাকার পরিমান।
যদি আপনার সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে ডান দিকে দেখতে পাবেন যে আর টিকিট বাবদ কত টাকা আপনার খরচ হবে। এরপর আপনি আরেকটি জিনিস দেখতে পাবেন কন্টিনিউ টু প্যাসেঞ্জার। এরপর আমরা কন্টিনিউ টু প্যাসেঞ্জারে ক্লিক করব। সেখানে আসার পরে আমাদের যে পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো আছে তা আপনার সামনে তুলে ধরা হবে।
আপনার সামনে পরবর্তী পদক্ষেপ গুল া যখন তুলে ধরা হবে সেগুলো সঠিকভাবে আমরা তুলে ধরব। সেখানে কিছু অপশন গুলো দেওয়া আছে সেগুলো আপনাকে তুলে ধরতেই হবে যেমন যেসব অপশনগুলোতে স্টারমার্ক করা আছে সেই স্টারমার্ক গুলো অবশ্যই আপনাকে পূরণ করতেই হবে।
যেমন আপনার নামের খেতাব যেমন টাইটেলটি নির্বাচন করবেন আপনার ক্ষেত্রে যদি মিস্টার হয়ে থাকে বা মিসেস হয়ে থাকে আপনি সেটিকে সিলেক্ট করে নেবেন। এরপরে ডানদিকে দুটি অপশন দেখতে পাবেন সেটি আপনার পাসপোর্টে দেওয়া নাম অর্থাৎ ছাড়নে এবং নামটি পাসপোর্টে থেকে সিলেট করে নেবেন।
আরো পড়ুন, জমি ক্রয়ের পূর্বে ও পরে করণীয় | জমি কেনার আগে কি দেখতে হয়।
এর পরে আপনি পাসপোর্ট ডকুমেনট পিডিএফ ফাইল সিলেট করে নেবেন। পরের ধাপ জেন্ডার সিলেক্ট করে নিবেন অর্থাৎ আপনি পুরুষ অথবা মহিলা যেই হোক না কেন সেটিকে আপনি সিলেক্ট করে নেবেন। কন্টাক্ট ইনফো এ অপশনটিতে আপনার সচল মোবাইল নম্বরটি চালু আছে সেটা দিয়ে নিতে হবে। পরীর ধাপে ইমেইল এড্রেস অবশ্যই দিতে হবে। কেননা ইমেল এড্রেসের মাধ্যমেই যে টিকিটটি ক্রয় করা আছে সেটি কনফার্ম করা হবে।
নিচের দিকে দেখতে পাবেন ট্রাভেল ডকুমেন্ট এই অপশনটিতে এসেছে আপনার ট্রাভেলের যেসব তথ্যগুলো চাইবে সে সব তথ্যগুলো আপনি দিয়ে নিবেন। যেমন ট্রাভেল ডকুমেন্টে আপনার পাসপোর্ট আছে সেটি দিয়ে নিবেন এবং দ্বিতীয় অপসনে আপনার যে পাসপোর্ট নাম্বারটি আছে সে নাম্বারটি বসিয়ে দিবেন।
এরপর যেটি করতে হবে ডকুমেন্ট কিছু কান্ট্রি এ অপশনটিতে কোন দেশ থেকে আপনার পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে সেই দেশটি উল্লেখ করেন নিবেন। আপনি যেহেতু বাংলাদেশ থেকে বা আমি যেহেতু বাংলাদেশ থেকে টিকিটটি ক্রয় করতেছি সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিলেক্ট নিতে হবে।
আরো পড়ুন, ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় | ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে করণীয় কি
এরপরে আপনার পাসপোর্ট এর ডেট কতটুকু আছে বা কত তারিখে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হবে, পাসপোর্ট এর মেয়াদে উল্লেখ করে দেবেন। এরপরে আপনি কোন দেশের সে দেশের নামটি উল্লেখ করতে হবে, যেমন আমি বাংলাদেশী তাই আমি এখানে লিখলাম বাংলাদেশ। এভাবে আপনার উপরের ফর্মটি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে কন্টিনিউ টু সিট অপশনটিতে ক্লিক করব।
আপনার সিট সিলেকশন এর ক্ষেত্রে যখন আপনি পছন্দ করবেন তখন দেখতে পাবেন যে, যেগুলো লাল সিটগুলো সিলেকশন করা আছে সেগুলো অলরেডি আগেই কাটা হয়ে গেছে এবং যেগুলো সবুজ কালার দিয়ে সিট মার্ক করা আছে সেগুলো থেকে আপনি বেছে নিতে পারবেন। সেখান থেকে আপনাকে একটি সেট সিলেক্ট করে কন্টিনিউ টু সিট এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপরে আবারো আপনাকে কন্টিনিউ টু সিলেট পেমেন্ট এই অপশনটিতে নিয়ে যাওয়া হবে।
বিমান টিকেট মূল্য কিভাবে করবেন।
আপনার যখন বিমানের টিকিটটি কাটা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে এরপরের ধাপে আপনাকে বিমানের টিকিটের পেমেন্ট করতে হবে। সেজন্য আপনি যার মাধ্যমে বিমান ের টাকা প্রদান করবেন সেই মাধ্যম থেকে বেছে নিতে পারবেন। যেমন সেখানে একাধিক পদ্ধতি রয়েছে, ভিসা মাস্টার কার্ড, নগদ, বিকাশ ইত্যাদ।
এরপরে যে কাজটি করতে হবে আপনাকে। আপনি যদি ভিসা মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট দিতে চান তাহলে কার্ড ডিটেলসে এসে আপনাকে কার্ডের নাম্বারটি দিতে হবে। আর যদি বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে বিমানের টিকিটের অর্থ প্রদান করে থাকেন তাহলে ব্যালেন্স ডাটা সেখানে এসে যে নম্বরটি বিকাশ বা নগদ আছে সে নম্বরটি দিয়ে নিতে হবে। অর্থাৎ ডেবিট কার্ড, নগদ, বিকাশ যেটা দিয়ে আপনি পেমেন্ট পদ্ধতি সেটআপ করেন না কেন সবকিছু দেওয়ার পরে কন্টিনিউ টু পারচেজ সেখানে ক্লিক করতে হবে।
আরো পড়ুন, ইন্ডিয়ান ভিসা কিভাবে করতে হয় | ইন্ডিয়ান ভিসা করতে কি কি লাগে।
আপনি যদি কার্ড বা বিকাশ নগদ যেটা দিয়ে কার্টুন না কেন সেখানে নাম্বারটি দেওয়ার পরে আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে সেই কোডটি যথাযথ স্থানে বসিয়ে দিলে আপনার বিমানের টিকিট কাটা হয়ে যাবে। আপনার যখন বিমানের টিকিট কাটা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন আপনার মোবাইল নম্বরে সাথে সাথেই নোটিফিকেশন চলে আসবে।
আরো পড়ুন, দাঁত ব্যথা কমানো প্রাকৃতিক উপায় - দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়।
সম্মানিত বন্ধুরা, আমি আশাবাদী যে, আপনারা খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে বিমানের টিকিট কাটতে হয় কিভাবে এই পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে বা আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার এই পেজটিকে ফলো দিয়ে এবং কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে আমার এই পোষ্টটি পড়ার জন্য।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url