অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম | সার্টিফিকেট সংশোধন আবেদন ।
আসসালামু আলাইকুম, সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করা অতীব জরুরি একটি বিষয়। কেননা আপনার সার্টিফিকেটে যদি ভুল থাকে তাহলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনাকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে একদম নতুন নিয়মে কিভাবে সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করবেন বা করতে হয় সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
আজকের এই পোস্টটিতে কিভাবে নতুন নিয়মে অনলাইন থেকে আপনার সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। জানাবো সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করতে আপনাদের কি কি ডকুমেন্ট লাগবে। এবং কিভাবে আবেদন করবেন। কতদিন সময় লাগবে সার্টিফিকেট আপনার হাতে পেতে সংশোধনের পর সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করব।
পোস্ট সুচিঃ
- সার্টিফিকেট সংশোধন আবেদন।
- সার্টিফিকেট বাবার নাম সংশোধন করার নিয়ম।
- নাম সংশোধনের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম।
- পত্রিকায় নাম সংশোধন বিজ্ঞপ্তি।
- সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে।
আপনারা যারা সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করতে চান, যেমন নাম কারেকশন হতে পারে, বয়স হতে পারে, আপনার পিতা মাতার নাম হতে পারে, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আপনাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি জানিয়ে দিব। তাহলে আপনি অবশ্যই আমারে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নেবেন। কেননা এই পোস্টটিতে আপনারা নতুন পদ্ধতিতে ২০২৩ সালের এ সময়ে এসে সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করার জন্য নতুন যে পদ্ধতি আছে।
আরো পড়ুন, বিকাশ লোন কিভাবে পাওয়া যাবে - বিকাশ লোন কারা পাবে।
সেই পদ্ধতিতে কিভাবে আপনারা আবেদন করবেন সেটি নিয়ে আমি আজকে আলোচনা করব। আপনারা সবাই জানেন যে সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করার ক্ষেত্রে দুইটা পদ্ধতিতে আবেদন করা যায়। একটি হচ্ছে অফলাইন পদ্ধতি, আর আরেকটি হচ্ছে অনলাইন পদ্ধতি। অফলাইন পদ্ধতিটি হচ্ছে অনলাইন থেকে ফরম ডাউনলোড করে হাতে লিখে ফরম পূরণ করে বোডে গিয়ে জমা দিতে হবে।
আর এটি হচ্ছে ব্যাপক সময়ের ব্যাপার এবং বেশ ঝামেলাকৃত একটি পদ্ধতি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে অনলাইন পদ্ধতি। যে পদ্ধতিতে আপনি অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কিছু প্রসেস কমপ্লিট করে সার্টিফিকেট ভুল সংশোধনে আবেদন করতে পারবেন।
আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি কিভাবে অনলাইন থেকে সার্টিফিকেট ভুল সংশোধন ফরম পূরণ করবেন সে বিষয়টি নিয়ে আমি আলোচনা করব। সেই সাথে আপনাদের কি কি ডকুমেন্ট লাগবে এবং আপনাদের কি কি করা লাগবে বা করনীয় কি? কোন সময়ে কি প্রসেসিং করা লাগবে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
সার্টিফিকেট সংশোধন আবেদন ।
আমরা প্রথমেই চলে আসবো Google.com অর্থাৎ সেখানে গিয়ে আপনি যেকোনো একটি বোর্ডকে সিলেক্ট করে নিতে পারেন যেমন আমি এখানে দিয়ে নিলাম Dhaka education board. অর্থাৎ আমি এখানে google এ গিয়ে লিখলাম ঢাকা এডুকেশন বোর্ড। সার্চ করলেই আপনার সামনে ঢাকা এডুকেশন বোর্ড এর একটি ওয়েবসাইট চলে আসবে। এরপর আপনি ঢাকা এডুকেশন বোর্ড এর ওপর মাউস পয়েন্ট দিয়ে ক্লিক করে ওয়েবসাইটের ভিতরে প্রবেশ করবেন।
সেখানে প্রবেশ করার পর অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন এই লিখাটির উপর ক্লিক করে প্রবেশ করবেন। আপনি যখন ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে আরেকটি নতুন ইন্টারফেস চলে আসবে বা নতুন ট্যাব ওপেন হবে। সেখানে আপনি বেশ কয়েকটি ধাপ দেখতে পাবেন সে ধাপের মধ্যে যেটি আপনার প্রয়োজন অর্থাৎ আপনি সমতুল্য সনদের আবেদন করতে পারেন কিংবা আর অন্যান্য ফরমের আবেদনগুলো করে ফেলতে পারেন।
আরো পড়ুন, টিন সার্টিফিকেট অনলাইন আবেদন | E TIN registration
আমরা এখানে যেহেতু নাম ও বয়স সংশোধনের আবেদন করব। তাই প্রথমে আমরা নাম ও বয়স সংশোধনের উপর ক্লিক করে প্রবেশ করব। এরপরে আপনি প্রবেশ করার পর দেখতে পাবেন সেখানে আবেদন ফরম। সেই আবেদন ফরমে আপনি ক্লিক করবেন। এরপর আপনি দেখতে পাবেন ইনস্টিটিউট লগইন প্যানেল এ লেখাটি চলে আসবে বা এই ইন্টারফেসটি আপনার সঙ্গে চলে আসবে।
এখানে ইনস্টিটিউট লগিন ্র প্যানেল দেখতে পাবেন লগইন এবং পাসওয়ার্ড এই দুটি জিনিস আপনার কাছে চাইবে। অর্থাৎ EIIN Password এই দুইটি জিনিস আপনার কাছে থাকবে না সেটি আপনার ইনস্টিটিউটে দেওয়া থাকবে। EIIN এবং পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে চলে যেতে হবে।
আরো পড়ুন, ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি | ভোটার আইডি কার্ড চেক।
আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন সে প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার অপারেটর বা কেরানী অর্থাৎ যার কাছে গেলে আপনি এই দুইটা জিনিস পেয়ে যাবেন তার সাথে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করে নিতে হবে। তাই আমি এ জটিল প্রকিয়ে না যে আপনাদের কিভাবে সহজেই ম্যানুয়ালি ভাবে আবেদন করতে পারেন এবং কি কি ডকুমেন্ট লাগবে সে বিষয়টা উদাহনের মাধ্যমে বুঝানোর চেস্টা করলাম।
সার্টিফিকেট বাবার নাম সংশোধন করার নিয়ম ।
Google.com অর্থাৎ সেখানে গিয়ে আপনি যেকোনো একটি বোর্ডকে সিলেক্ট করে নিতে পারেন যেমন আমি এখানে দিয়ে নিলাম আরারো Dhaka education board. অর্থাৎ আমি এখানে google এ গিয়ে লিখলাম ঢাকা এডুকেশন বোর্ড। সার্চ করলেই আপনার সামনে ঢাকা এডুকেশন বোর্ড এর একটি ওয়েবসাইট চলে আসবে।। ইআইএন এ পর্যন্ত গিয়ে আপনাকে গায়ের নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
আপনি উপরে উল্লেখিত ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে, আপনার ইআইএন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দেয়ার পরে সাইন ইন পদ্ধতিতে এসে প্রথমে আপনাকে আপনার এক্সাম অতঃপর পরীক্ষা সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যে বছরে পাস করেছেন সে সালটি উল্লেখ করতে হবে এবং রোল নাম্বারও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিতে হবে। সবকিছু দেওয়ার পরে আপনার সামনে একটি নতুন ইন্টারফেস আসবে।
আপনি উপরে ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে বেশ কিছু পদ্ধতি আপনাকে অনুসরণ করতে বলা হচ্ছে তা আপনার এখানে কাজ হবে যেহেতু আপনি নাম ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে নাম বা অন্যান্য ভুল সংশোধনের ঘরটিকে সিলেক্ট করে নিতে হবে। আপনি যদি আপনার নাম পিতার ইত্যাদি বিষয়ে ভুল সংশোধন করতে চান তাহলে প্রথমে যে তিনটি অপশন আছে সেটি আপনাকে সিলেক্ট করে দিতে হবে। আর যদি আপনারস বয়স সংশোধন করার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনাকে ডেট এই ঘটি সিলেট করে দিতে হবে।
এখানে বলা হচ্ছে যে আপনি একবার একাধিক ভুল সংশোধনের জন্য আলাদা আলাদা ঘর আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ এখান থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে নাম এবং পিতা নাম, মাতার নাম একসঙ্গে কারেকশন করতে পারবেন এবং জন্ম তারিখ আলাদাভাবে নির্বচন করতে হবে। তারপরে নিচে একটু এসেই আপনি যেই পরীক্ষাটি দিয়েছিলেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
জেএসসির পরীক্ষা দিয়ে থাকেন তাহলে জেএসসি এবং এসএসসি হলে এসএসসি ঘটি সিলেক্ট করে দেবেন। এখানে বলে রাখি আপনার পিতার নাম, নিজের নাম, মাতার নাম, এর জন্য আলাদা ফ্রি ধরা হয়ে থাকে এবং জন্ম তারিখের জন্য আলাদা ফ্রি ধরা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন, ইন্ডিয়ান ভিসা কিভাবে করতে হয় | ইন্ডিয়ান ভিসা করতে কি কি লাগে।
এরপর আপনি সব কিছু তথ্য দেওয়ার পর আপনার ফোন নম্বরটি চাইবে। সেখানে আপনার ফোন নম্বরটি দিয়ে দিবেন। সেখানে মাথায় রাখতে হবে যে নম্বরটি আপনার সচল অর্থাৎ চালু আছে সেই নম্বরটি ব্যবহার করতে হবে। কেননা সেই নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে যাতে কিনা আপনি ততক্ষণিক ভাবে দিতে পারেন সেই রকম একটি সচল মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করবেন।
এরপরের ধাপে আপনার দুইটি ছবি লাগবে। আপনাকে বলা হবে কিসের জন্য আপনি সংশোধন করতে চাইছেন সেই সমস্যা গুলো আপনাকে এখানে উল্লেখ করতে হবে। এরপরে আপনাকে কিছু ফাইল আপলোড করতে হবে অর্থাৎ ডকুমেন্ট দিতে হবে। আপনি যে জন্য আবেদন করবেন সে ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন। সঙ্গে রাখার পর এক এক করে আপলোড করে ফেলবেন।
নাম সংশোধনের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম।
- আপনার ভুল সংশোধনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে সেগুলো আমি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরলাম।
- প্রথমেই বলা হচ্ছে যে ভর্তির রেজিস্ট্রেশন এর ফটোকপি।
- এরপরই লাগবে পিতা-মাতার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি। আপনার মাতা পিতার ন্যাশনাল আইডি কার্ড তখনই লাগবে যদি পিতা-মাতার ভুল সংশোধন করতে যাবেন। তা না হলে আপনার সেটি প্রযোজ্য নাও হতে পারে।
- এরপরের ধাপে লাগবে আপনার পিতামাতার যেকোন পরীক্ষার সনদপত্র। আর যদি না থাকে তাহলে সেটি নিয়ে কোন টেনশন করার কারণ নেই।
- এরপরে যা লাগবে নোটারি পাবলিকেশনের ফটোকপি।
পরবর্তীতে লাগবে এফিডেভিট এর ফটোকপি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে। অর্থাৎ আপনি যে এফিডেভিট বা নোটারী পাবলিক করেছেন সেটির ফটোকপি। আপনি যে নোটারি পাবলিকেশনের এফিডেফিট করেছেন অর্থাৎ যে পত্রিকায় আপনার বিজ্ঞাপন দিয়েছেন সে বিজ্ঞাপনে ফটোকপি সেখানে সাবমিট করে দিবেন।
আরো পড়ুন, ইন্ডিয়ান ভিসা কিভাবে করতে হয় | ইন্ডিয়ান ভিসা করতে কি কি লাগে।
এখানে বলে রাখি যদি আপনি নোটারি পাবলিকেশন এর জন্য বিজ্ঞাপনে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে বিজ্ঞাপনের দ্বারে দ্বারে না ঘুরে আপনি খুব সহজে অনলাইন থেকেই বিজ্ঞাপন করে ফেলতে পারেন।
পত্রিকায় নাম সংশোধন বিজ্ঞপ্তি।
এর জন্য আপনাকে প্রথমে চলে যেতে হবে Google ক্রমে। সেখানে লিখতে হবে, প্রচারক ডট কম। এই প্রচারক ডটকমে গিয়ে আপনাকে আপনার সবকিছু তথ্য দিয়ে নিতে হবে তো চলুন কিভাবে দিবেন আপনার তথ্য সেখানে। আমি আলোচনা করব।
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ প্রচারক ডট কম এখন বর্তমানে বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম। প্রচারক ডট কম এ আসার পর আপনি শ্রেণি ভুক্ত বিজ্ঞাপন দিন এই ঘরটি সিলেক্ট করে নেবেন।
আপনার প্রচারক ডট কমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কোন যদি ঝামেলা হয় তাহলে তাদের লাইভ চ্যাট এর ব্যবস্থা আছে সেখানে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে বা চ্যাট করে আপনার সমস্যাটি সমাধান করে নিতে পারবেন। তো সেখানে যাওয়ার পরে আপনার সামনে কিছু তথ্য চাইবে তা আপনাকে সম্পূর্ণটাই তথ্য সঠিক নিয়মে দিয়ে নিতে হবে।
সেখানে আপনাকে প্রথমে পত্রিকা বাছাই করে নিতে হবে। আপনি যে কোন পত্রিকার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনটি দিতে পারেন। ধরুন আমি একটি পত্রিকা বেছে নিলাম সমকাল ডট কম বা সমকাল। এরপর আপনাকে নাম দিতে হবে তারপরে প্রতিষ্ঠানের নাম, ফোন নাম্বার emai বিজ্ঞাপনের শিরোনাম ইত্যাদি দিয়ে নিবেন।
এ পরে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার বিজ্ঞাপনের জন্য বিজ্ঞাপন ফি বাবদ কত টাকা ধরা হয়েছে সেই ফি প্রচারক বা পত্রিকার বিকাশ নাম্বার নিচে দেওয়া থাকবে সেই নাম্বারে সেন্ড করে দিতে পারবেন। আপনার বিজ্ঞাপনের ফি সেন্ড করা হয়ে গেলে বিজ্ঞাপন পত্রিকাটি আপনার যে আবেদনের জন্য করেছেনম, সে আবেদনটি তাদের পত্রিকাতে দিয়ে দিবে।
আরো পড়ুন, ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় - ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম।
এর পরে আপনার যখন বিজ্ঞাপনের প্রচার করা কমপ্লিট হয়ে যাবে তখন আপনার সামনে যেই অ্যাপ্লিকেশনের ফরমটি আছে সেটি ফুল ফিল ভাবে ফিলাপ করা হয়ে গেলে সাবমিট অপশনে ক্লিক করে দিবেন। সাবমিট করার পর আপনার সামনে সম্পূর্ণ তথ্য আপনার চলে আসবে সেটি আপনি দেখে নিতে পারবেন খুব সহজে। এরপর আপনি চাইলেই সেটিকে প্রিন্ট করে আপনার কাছে সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। এবং সোনালী স্ক্রিনে অর্থাৎ সোনালী প্রিন্টে ক্লিক করে আপনার আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন।
আপনার কাজ সঠিকভাবেই পূরণ করা হয়ে গেলে পরবর্তীতে আপনার মোবাইল নাম্বারে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে, যে আপনি পরবর্তীতে কি প্রসে স গ্রহণ করবেন। যদি আপনার কোন কারেকশন করার থাকে বা ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনাকে কল করে আপনার ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। এবং আপনি আবেদন করার সময় যে তথ্যগুলো বা ডকুমেন্টগুলো দিয়েছিলেন। সেই ডকুমেন্টের হার্ডকপি অর্থাৎ অরিজিনাল কপি ইন্টারভিউ আপনাকে দেখাতে হবে।
সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে।
এখানে আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন যে ভাই কত দিন সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ আপনার অ্যাপ্লিকেশন টি কতদিনের মধ্যেই কারেকশন হয়ে আসতে পারে। আমি এখানে আপনাদের বলব যে আবেদন করার সাধারণত তিন মাসের মধ্যেই আপনাদের কারেকশনের কাজটি সম্পন্ন হতে পারে। অর্থাৎ তিন মাসের মত সময় লাগে তিন মাস শেষে আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে যে আপনার কাজটি ভুল সংশোধন করা হয়ে গেছে।
এরপরে আপনার ভুল সংশোধন কাজটি করা শেষ হয়ে গেলে বা আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হয়ে গেলে আপনি পরবর্তীতে অনলাইনের মাধ্যমে সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার পর আপনি যখন সার্টিফিকেট গুলো উত্তোলন করতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনার পুরনো সার্টিফিকেটগুলো বোর্ডে জমা দিয়ে নতুন সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে পারবেন।
আরো পড়ুন, আরো পড়ুন, ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত ২০২৪ | রিলস মনিটাইজেশন শর্ত।
সুতরাং আপনারা বুঝতে পারছেন একদম নতুন নিয়ম ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের সব বোর্ডগুলো থেকে আপনার ভুল সংশোধন করে ফেলতে পারবেন।
সম্মানিত পাঠক অবশ্যই আপনারা বুঝতে পারছেন যে আপনার সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিতে হতে পারে এবং কি কি কাগজপত্র জমা নিতে পারে। আমার এই পোস্টটি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে বা উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং আমি আরো ভালোভাবে আপনাদের কমিটির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যে কিভাবে আপনারা নতুন নিয়মে সার্টিফিকেট ভুল সংশোধন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা এতক্ষণ ধরে আমার এই পোষ্টটি পড়ার জন্য।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url