ডিমের কোরমা রেসিপি | সেদ্ধ ডিমের রেসিপি | ডিমের পুডিং বানানোর রেসিপি ।
আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত মা ও বোনেরা আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আমি কিভাবে পাঁচ মিনিটে ডিমের রেসিপি বানাবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ডিমের রেসিপি খায়না এমন কোন ব্যক্তি বা মানুষ নেই বললেই চলে। রেসিপি গরম ভাত দিয়ে খেতে বেশ খুব সুস্বাদু এবং মজাদার খাবার। ডিমের রেসিপি তৈরি করাটা খুবই সহজ আপনারা আমার এই পোস্টটি পড়ে মাত্র পাঁচ মিনিটে ডিমের রেসিপি বানিয়ে ফেলতে পারবেন। মা ও বোনেরা চলুন তাহলে আমরা কিভাবে ডিমের রেসিপি বানাবো সেই কৌশল গুলো জেনে নেই।
পুডিং তৈরির উপকরণ ।
আপনাকে যে জিনিসটি প্রথমে লাগবে, একটি ইস্টিলনেস পাত্র বেছে নিতে পারেন, যেটাতে কিনা ডিমটি খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায় বা সিদ্ধ হয়ে যায়। হালকা পানি দেবেন, সে সাথে খেয়াল রাখবেন যাতে করে পাত্রটি সম্পূর্ণটাই পানিতে না ভরে যায় হালকা পানি দিলে চলবে। এর পরে আপনি পানি রাখা সে পাত্রে কয়েকটি ডিম নিয়ে নিবেন।
এরপরে সবকিছু যখন আপনার ঠিকমত হয়ে যাবে তখন একটি চুলাতে পাত্রটিকে বসে দিতে হবে।আপনার চুলাতে ডিম ভর্তি বা পানি ভর্তি পাত্রটি যখন বসানো শেষ হয়ে যাবে এরপরে এক চা চামচ লবণ পানিতে মিশে নিবেন এবং সেই সাথে কিছুটা ভিনেগার ব্যবহার করবেন। আপনি যখন ডিম এবং লবণ পানিতে ব্যবহার করবেন তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন বা লক্ষ্য করবেন ডিম সাধারণত সিদ্ধ করতে গেলে ফেটে যায় বা বের হয়ে যায় ভিতরের অংশটি বের হয়ে গেল ডিম খেতেও বেশ খারাপ লাগে বা দেখতেও খারাপ দেখায়।
সেদ্ধ ডিমের রেসিপি।
আপনি প্রথমে ভিনেগার এবং লবণ মিশে নিবেন যাতে করে আপনার ডিমের সাদা অংশটি না বের হয় এবং ডিমের খোসা ছড়ানোর সময় ভিতরে যে পাতলা সাদা পর্দাটি থাকে বা আবরণী থাকে ভিনেগার এবং লবণের জন্য সেটি আর ডিমের সাদা অংশের সাথে লেগে থাকে না। আপনি এভাবে কিছুক্ষণ পত্রটিতে রেখে ডিম কে আগুন দিয়ে জ্বালানোর পর ডিমগুলো গরম পানি থেকে তুলে একটি ঠান্ডা পানিতে কিছুখন দিয়ে রাখবেন।
আরো পড়ুন, ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম | ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়।
আপনি এতে করে বুঝতে পারবেন যে যখন ডিম সিদ্ধ করছেন গরম পানির সংস্পর্শে এসে ডিমটি অনেকটাই ফুলে উঠেছে আর যখন ঠান্ডা পানিতে ডিমটি দিবেন সেই ঠান্ডা পানি সংস্পর্শে এসে ডিমটি ছোট আকার ধারণ করতে থাকে। সেই জন্য ডিম গুলোর খোসা ছড়ানোর সময় আপনি অনায়াসে খোসা ছাড়িয়ে ফেলতে পারেন তাতে করে আপনার সাদা অংশটি ডিমের সাথে লেগে থাকবে না এবং আপনার জন্য ডিমের খোসা ছাড়া খুব সহজ হয়ে যায়।
এরপরে আপনি যে কাজটি করবেন ডিম ছিলা শেষ হয়ে গেলে একটি ছুরি বা কাঁচি দিয়ে ডিমটার দুই সাইডে কিছুটা অংশ নিয়ে চিরে ফেলবেন, যাতে করে ভিতরে মশলা জাতীয় উপাদান গুলো খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে এবং খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। সম্মানিত মা ও বোনেরা ডিমের রেসিপি বানানোর জন্য সেদ্ধ এবং খোসা ছাড়ানো তো শেষ হলো এবার আমরা ডিমগুলোকে খুব সহজেই ভেজে নিতে পারি চলুন, আমরা কিভাবে ভেজে নেব সেটুকু নিয়ে একটু আলোচনা করি।
আরো পড়ুন, আরো পড়ুন, ইন্ডিয়ান ভিসা কিভাবে করতে হয় | ইন্ডিয়ান ভিসা করতে কি কি লাগে।
প্রথমত আপনাকে একটি কড়াই নিতে হবে সেখানে পরিমান মত তেল দিতে হবে। এবং কিছুক্ষণ তেলটাকে গরম করে নিবেন এর পরে ডিমগুলোকে কড়ায়ে হালকা ভাবে রেখে দিবেন। এখানে একটু বলে রাখি আপনারা যখন কড়াইয়ের তেল দিবেন তখন সাথে একটু হালকা লবণ দিয়ে নিবেন যাতে করে ডিম ভাজার সময় তেল গুলো আপনার দেখে না ছুটে আসে।রপর আপনি গরম তেলে রাখার ডিমগুলোকে হালকা ভাবে নেড়েচেড়ে যখন ভেজে নেবেন যতক্ষণ পর্যন্ত ডিমের কালার হলুদ বর্ণ লাল না হয়।
এরপর ডিমের ওপর হালকা হলুদ দিয়ে নিবেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত হলুদ বর্ণটি তার অরিজিনাল বর্ণ না ধারণ করা পর্যন্ত আপনি ডিমটি ভাজতে থাকবেন। আপনার ডিম ভাজার শেষে কালার চলে আসলে ডিম গুলোকে কড়াই থেকে উঠিয়ে নেবেন।
আরো পড়ুন, জমি ক্রয়ের পূর্বে ও পরে করণীয় | জমি কেনার আগে কি দেখতে হয়।
এদিকে আপনি একটু খেয়াল রাখবেন যখন ডিমগুলোকে গরম পাত্র থেকে উঠানোর সময় অবশ্যই চুলার আগুনের তাপটা একটু কমিয়ে দেবেন তা না হলে ডিমের শরীরে লেগে থাকা হলুদ গুলো আগুনের তাপে কড়াইয়ের সঙ্গে লেগে যেতে পারে। এরপরে আপনি সেই গরম তেলে বা গরম কড়াইয়ে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নেবেন।
কিছুক্ষণ ভাজার পরে তখন আপনি দিয়ে নিবেন হালকা পরিমাণে গরম মসলা।বেশ কিছুক্ষণ ভাজার পরে যখন পেঁয়াজের কালার স্বাভাবিক হয়ে আসবে তখন আপনি তার সাথে যোগ করবেন এক চা চামচ বাটা আদা এবং রসুন। এগুলো দেওয়ার পরে তেলের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ভেজে নেবেন। কিছুক্ষণ ভাজার পর যাতে আবার রসুন এবং পেঁয়াজের কাঁচা গন্ধটা না আসে সেদিকেও খেয়াল রাখবেন।
এরপরে আপনি বেশ কিছুক্ষণ সেগুলো ভাজার পরে আরো একটি উপাদান যোগ করবেন সেটি হল বাটা পেঁয়াজ। পরিমাণ মতো পেঁয়াজ বাটা দিয়ে সেটিকে আরো কিছুক্ষণ ভেজে নিতে হবে। তারপরে আপনি একটি পাকা টমেটো কুচি কুচি করে কেটে তার সাথে মিশিয়ে নিবেন।
আরো পড়ুন, ফেসবুক কভার ফটো সাইজ | ফেসবুক কভার ফটো ডিজাইন ।
যতক্ষণ পর্যন্ত টমেটো তেল এবং পেঁয়াজের সাথে না মিশে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সেটিকে ভাজতে থাকবেন। আপনি যত মসলাটি কষা করে ভেজে নিতে পারবেন তত খাবার ের সুস্বাদুটা বেড়ে যাবে। আমি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে ধাপে ধাপে মসলা এবং টমেটো পেঁয়াজ ইত্যাদি ব্যবহার করেছি যাতে করে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারেন। সম্মানিত মা ও বোনেরা প্রতিটি রান্না যদি একটু সময় নিয়ে ধৈার্য সহকারে রান্না করতে পারেন তাহলে খাবারের টেস্ট বা সুস্বাদু টা অনেকটাই বেড়ে যায়।
আরো পড়ুন, বিকাশ লোন কিভাবে পাওয়া যাবে - বিকাশ লোন কারা পাবে।
এরপরের ধাপে আপনি এক চা চামচ মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে হালকা ভাবে নেড়ে নেবেন। সে সাথে হালকা হলুদের গোড়া দিতে হবে, এরপরে হাফ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া, হাফ চা চামচ জিরা গুড়া, কিছু পরিমাণ কালো মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। এর পরে আপনার সবগুলো দেওয়ার শেষ হয়ে গেলে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভালোভাবে কষিয়ে নেবেন। সেই সাথে হালকা পরিমাণ পানি দিয়ে নিতে পারেন। যাতে কিনা মসলাগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নেওয়া যায় এবং মশলা গুলো পানির সাথে মিশে হালকা নরম ভাব হয়ে আসে।
ডিমের রেসিপি বানানোর জন্য আপনার যখন মসলাগুলো ভালোভাবে কষা হয়ে যাবে তখন আপনি চুলার আগুন জালটা কমিয়ে নিবেন এবং সেই সাথে পরিমান মতো টক দই দিয়ে দিবেন। কেননা আপনি যদি চুলা জ্বালানো অবস্থায় টক দই গুলো মসলার সাথে মিশানোর চেষ্টা করেন তাহলে টক দুই দেওয়ার সাথে সাথে সেগুলো ছানার মত হয়ে যায় তার জন্য আপনি চুলার জালটিকে কমিয়ে টক দই গুলো মসলার সাথে মিশিয়ে নিবেন।
এ পর্যায়ে এসে আপনি পরিমান মত লবন দিয়ে নিবেন যাতে কিনা আপনার খাবারের স্বাদটাকে বাড়িয়ে নেয়া যায়। এখানে আপনি খেয়াল রাখবেন যখন আপনি লবন দেবেন তখন আপনি চেক করে নেবেন যে পরে লবণ দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা কেননা আপনি প্রথমে ডিম সেদ্ধ করার সময় লবণ ব্যবহার করেছিলেন যদি পরে মনে হয় যে লবণ ব্যবহার করার প্রয়োজন আছে তাহলে লবণ দেবেন আর তা না হলে লবণ দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
সম্মানিত মা ও বোনেরা এ পর্যায়ে এসে আপনি ডিম গুলোকে মসলাতে হালকা ভাবে রেখে নাড়াচড়া শুরু করবেন। এরপরে আপনি যখন নাড়াচাড়া করার পরে ডিম গুলো যখন কষা কষা ভাব হয় আসবে অথবা মসলাগুলো যখন ডিম ের সর্ব শরীরে লেগে আসবে তখন আপনি হালকা করে আগুনের তাপ কমিয়ে নিয়ে ডিমগুলোকে ভেজে ফেলবেন। আপনার ডিমগুলো ভাজা শেষ হয়ে গেলে এ পর্যায়ে এসে আপনি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে নিবেন। আপনি যদি মনে করেন পানির পরিবর্তে নারিকেলের দুধও ব্যবহার করতে পারেন।
এরপরে আপনি ঢাকনা দিয়ে পাত্রটি কে ঢেকে রাখবেন। বেশ কিছুক্ষণ জাল দেওয়ার পরে আপনি ঢাকনাটা উঠিয়ে আবারো নাড়াচাড়া করে নিবেন যাতে ডিমগুলো পাত্রটিতে না লেগে যায়। এখানে আপনি খেয়াল করবেন সেদ্ধ করার সময় আপনার ডিমের পানি গুলো যখন হালকা শুকিয়ে আসবে বা মশলাটি লাল আকার ধারণ করবে তখন বুঝে নেবেন যে আপনার রেসিপিটি কমপ্লিটলি হয়ে গেছে । আপনি ডিমগুলো রান্না শেষে কিছু উপকরণ যোগ করে নেবেন।
যেমন হালকা জিরা ভাজা গুড়া, এক চা চামচ ঘি, এক চা চামচ চিনি দিয়ে আবারও ঢাকনা দিয়ে পাত্রটিকে ঢেকে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ জাল দেওয়ার পরে আবারো পাথরটিকে উঠিয়ে হালকা পরিমাণে ধইনা পাতা ব্যবহার করে নেবেন। এ পর্যায়ে এসে আপনি খেয়াল করবেন যে রান্না থেকে সুন্দর ঘ্রাণ বের হচ্ছে। ডিমগুলো নামানোর পূর্বে হালকা পরিমাণে টমেটো সস ব্যবহার করে নিবেন যাতে খাবারের সিাদ আরেকটু বেড়ে যায়। এরপরে বেশ কিছুক্ষণ আবার ও জাল দিয়ে রান্নাটা শেষ করে ফেলবেন।
আরো পড়ুন, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম - how to upload reels in facebook.
সম্মানিত মা ও বোনেরা আপনারা আমার এই পোস্টটি পড়ে অবশ্যই জানতে পারলেন যে কিভাবে ডিমের রেসিপি সুন্দরভাবে বানানো যায়। আপনারা যদি এই পোস্টটি পড়ে ডিমের রেসিপি বানানো শিখে থাকেন বা বানানোর কথা ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিজে নিজের চেষ্টা করবেন আপনারা সফলতা পাবেন।
পোস্টে পড়ে যদি আপনি সফলতা পেয়ে থাকেন বা এরকম রান্নাবান্নার টিপস আরো জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমি আর অন্য একটি পোস্টে আপনাদের অন্য একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে আবারও লিখব আপনারা যদি সেই আমাকে উৎসাহ দেন তাহলে অবশ্যই আমি আপনাদেরকে প্রকাশ করব। আপনাদেরকে ধন্যবাদ এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url